বাংলা বর্ণমালা বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
৫০টি (১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ)।
‘কলম’ কোন ভাষার শব্দ?
কলম' শব্দটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে।
‘বিপদ এবং দুঃখ এক সময়ে আসে’ কোন ধরনের বাক্য?
'বিপদ এবং দুঃখ এক সময়ে আসে' যৌগিক বাক্য ।
‘কবর’ কবিতাটি কার রচনা?
পল্লী কবি জসীম উদদীন রচিত 'কবর' কবিতা। উল্লেখ্য, মুনীর চৌধুরীর অনূদিত নাটক হলো 'কবর' ।
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলা হয়?
স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে 'কার' বলে। উল্লেখ্য, ‘অ' ভিন্ন স্বরবর্ণগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত হলে পূর্ণরূপের সংক্ষিপ্ত রূপ পরিগ্রহ করে। স্বরবর্ণের এই ধরনের সংক্ষিপ্তরূপকে 'কার' বলে।
‘চক্ষুদান করা’ বাগধারাটির অর্থ কী?
চক্ষুদান করা বাগধারাটির অর্থ চুরি করা ৷
'শুভেচ্ছা’
শুভেচ্ছা = শুভ + ইচ্ছা ।
’নয়ন’
নয়ন = নে + অন ।
বচন অর্থ কী?
বচন অর্থ সংখ্যার ধারণা।
‘বইপড়া’ কোন সমাস
তৎপুরুষ সমাস (বইকে পাড় = বইপড়া)।
‘পা থেকে মাথা পর্যন্ত’
পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক ।
‘যা অধ্যয়ন করা হয়েছে'
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে = অধীত ।
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে নির্মিতব্য মেট্রো রেল ব্যবস্থাই হলো ঢাকা মেট্রো রেল। ঢাকা মেট্রো রেল ব্যবস্থাকে ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট সংক্ষেপে এমআরটি (MRT) হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। বলা হচ্ছে এটি পুরো শহরের ট্রাফিক সমস্যা অনেকটা কমিয়ে আনবে।
মেট্রোরেল প্রকল্প বর্ণনাঃ ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার মেট্রো রেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন পায়। ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা দেবে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ও বাকিটা সরকার বহন করবে। মেট্রো রেলের প্রতিটি পিলারের ব্যাস হবে দুই মিটার, ভূমিস্থ অংশের ভিত্তি হবে তিন মিটার ও উচ্চতা হবে ১৩ মিটার। একটি পিলার থেকে আরেকটির দূরত্ব হবে ৩০ থেকে ৪০ মিটার। পিলারের ওপরে দুটি লাইন থাকবে এবং লাইনগুলোর প্রস্থ হবে প্রায় ৯১ মিটার। ট্রেন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। ঘণ্টায় দরকার হবে। ১৩৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।
যাতায়াত বর্ণনাঃ মেট্রো রেল ব্যবস্থায় প্রথম ধাপে ট্রেন চলাচল করবে ২৪টি। থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলো। প্রতি ট্রেনে থাকবে ছয়টি বগি। একটি ট্রেনে এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বসে যেতে পারবেন ৯৪২ জন, অন্যরা দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন। একটি স্টেশনে ট্রেন অবস্থান করবে ৪০ সেকেন্ড। যাত্রীরা ফুটপাত থেকে সিঁড়ি, এসকেলেটর কিংবা লিফটে উঠতে পারবেন ট্রেনে ।
রুটম্যাপঃ মেট্রো রেলের চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো- উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহঃ
ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) ২০২৪ সালের মধ্যে তিনটি পথে মেট্রো রেল চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো, উত্তরা-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-খিলগাঁও হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত, গুলশান-মিরপুর-মোহাম্মদপুর- ধানমণ্ডি-তেজগাঁও-রামপুরা-বাড্ডা-বারিধারা হয়ে গুলশান পর্যন্ত এবং উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী হয়ে রোকেয়া সরণি- খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত।