চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেল। উল্লেখ্য, চীনের বাণিজ্য নগরী সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন'র আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল । কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার ।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইংরেজি নাম House of the Nation. উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আইনসভার নাম হলো ‘জাতীয় সংসদ'। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ হলো এক কক্ষ বিশিষ্ট ।
বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজ করে আসছে। (United Nations Iran-Iraq Military Observer Group বা UNIIMOG) থেকে ।
উপমহাদেশে প্রথম কাগুজে মুদ্রা লর্ড ক্যানিং (১৮৫৭ সালে) চালু করেন।
মেট্রোরেলের অফিসিয়াল নাম ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (MRT). উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০.১০ কিমি; স্টেশনের সংখ্যা ১৬টি; ২৯ আগস্ট, ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয় ।
CNG এর পূর্ণরূপ Compressed Natural Gas. উল্লেখ্য, CNG হচ্ছে এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি যা পেট্রোল, ডিজেল কিংবা প্রোপেনের (LPG) পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় ।
ওরা এগারজন' চলচ্চিত্রের পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম (চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন ১৯৭২ সালে)।
‘সাবাস বাংলাদেশ' ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর ভাস্কর হলেন নিতুন কুন্ডু। উল্লেখ্য তিনি আরো ৩টি ভাস্কর্য তৈরি করেনঃ সার্ক ফোয়ারা, কদম ফোয়ারা এবং সাম্পান।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে LDC থেকে উত্তোরণ করবে।
সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে , যার আনুষ্ঠানিক নাম কনফারেন্স অব পার্টিজ-২৭ বা কপ-২৭।
রাশিয়া’ ইউক্রেন যুদ্ধ’ বিশ্ব অর্থনীতি এর প্রভাব
রাশিয়া ও ইউক্রেনের পর ইউরোপের অনেক দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ যুদ্ধের ফলে। যদিও বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়ার অবদান মাত্র ৬ শতাংশ, চলমান সংকট বিশ্ব অর্থনীতিতে অবশ্যই বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ১৯৭৩ সালে যখন বিশ্বজুড়ে ‘তেল সংকট’ দেখা দেয় তখন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মধ্যপ্রাচ্যের অবদান আজকের রাশিয়ার অবদানের চেয়েও কম ছিল। তবুও তেল সংকটে এক নাজুক অবস্থা তৈরি হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। কারণ জ্বালানির জন্য অল্প কিছু তেল, গ্যাস রফতানিকারক দেশের ওপর বিশ্ব নির্ভরশীল। আর এটাই বৈশ্বিক রাজনীতিতে রাশিয়ার প্রধান দাবার গুটি। দেশটির গ্যাস ও জ্বালানি তেলের মজুদ এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাদের সরবরাহ রাশিয়ার একটি প্রধান হাতিয়ার। ইউরোপের মোট প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ এবং জ্বালানি তেলের এক-তৃতীয়াংশ রাশিয়া একাই সরবরাহ করে। রাশিয়া ছাড়াও নরওয়ে, আলজেরিয়া ও আজারবাইজান ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানি তার প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার ৬৫ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে। এছাড়া ইতালি তার মোট গ্যাসের চাহিদার ৪৩ শতাংশ এবং ফ্রান্স ১৬ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে। ইউরোপের অন্য ছোট দেশ, যেমনঃ চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার সিংহভাগই জোগান দেয় রাশিয়া। বলা যায়, রাশিয়ার জ্বালানি শক্তিই ইউরোপের বাড়িগুলোকে উষ্ণ রাখে, কারখানাগুলো সচল রাখে আর যানবাহনগুলোকে দেয় প্রয়োজনীয় জ্বালানি। তাই রাশিয়া যদি গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহে হস্তক্ষেপ করে, ইউরোপের অর্থনীতি যে চরম জ্বালানি সংকটে পড়বে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
নবায়নযোগ্য শক্তি বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো এমন শক্তি, যা পুনরায় বা বারবার ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের ফলে শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো হলোঃ সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, জৈব শক্তি, সমুদ্র শক্তি, সমুদ্র তরঙ্গ শক্তি, সমুদ্র তাপ শক্তি, জোয়ার ভাটা শক্তি, ভূতাপ শক্তি, জলবিদ্যুৎ, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল, হাইড্রোজেন ফিউশন নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইত্যাদি।