ইতিহাসের বাঁক নির্ধারণে ৭ই মার্চের বজ্রকণ্ঠ ভাষণ
মেট্রোরেল প্রকল্প ও অগ্রসর বাংলাদেশ
মেট্রো রেল মূলত একটি দ্রুত পরিবহণব্যবস্থা যা বিশ্বের অনেক বড় শহরে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় গণপরিবহণের জন্য ‘ঢাকা মেট্রো রেল’ হলো ‘জাইকা’-এর অর্থায়নে একটি সরকারি প্রকল্প। প্রকল্পটি রাষ্ট্রায়ত্ত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) পরিচালনা করছে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০০৪ সালে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গড় গতি ছিল প্রায় ২১ (২১.২ কিমি/ঘণ্টা), কিন্তু ২০১৫ সালে তা ৬ (৬.৮ কিমি/ঘণ্টা) এ নেমে আসে। ফলস্বরূপ, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাসে যেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার বেশি। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। এটি প্রত্যাশিত যে এ ধরনের পরিবহণ মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন করে এবং তাদের উৎপাদনশীল সময় বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু করার জন্য সরকার ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট' নামে একটি প্রকল্পের ধারণা নিয়ে কাজ করছিল । অবশেষে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে, ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট' বা 'মেট্রো রেল' প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দ্বারা অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের জন্য মোট ৫টি রুট লাইন প্রস্তাব করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এমআরটি লাইন ১, ২, ৪, ৫ এবং ৬। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর অর্থায়নে ‘দ্য ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট সার্ভে (ডিএইচইউটিএস ১)' মূল্যায়ন করা হয় এবং ‘এমআরটি লাইন-৬' নামে মেট্রো রেলের জন্য প্রথম এমআরটি রুট নির্বাচন করা হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় আনুমানিক ২.৮২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে জাইকা ০.০১ শতাংশ সুদের হারে প্রায় ৭৫ শতাংশ বা ২.১৩ বিলিয়ন ডলার প্রদান করছে । বাকি ২৫ শতাংশ তহবিল দেবে বাংলাদেশ সরকার । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুন ২০১৬ সালে নির্মাণ কাজের সূচনা করেন । প্রাথমিকভাবে, ‘এমআরটি লাইন ৬'-এর দৈর্ঘ্য ২০.১ কিলোমিটার হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছিল, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত, যা পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়, যার ফলে রুটটির দৈর্ঘ্য আরও ১.১৬ কিলোমিটার বৃদ্ধি পায়। এটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ২১.২৬ কিমি.। রুটে মোট ১৭টি স্টেশন থাকবে এবং রুটে ২৪টি ট্রেন সেট চলবে। ২৯ আগস্ট ২০২১-এ, প্রথম ট্রায়াল রান দিয়া বাড়ি থেকে উত্তরা পর্যন্ত পরিচালিত হয়। মেট্রোরেল উত্তরা-আগারগাঁও রুটে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা মেট্রো রেলে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০,০০০ যাত্রী বা প্রতিদিন ৯৬০,০০০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।।
যানজটের কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় । ২০১৮ সালে পরিচালিত বুয়েটের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঢাকা শহরের যানজটের জন্য বার্ষিক ৪.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, যা জাতীয় বাজেটের ১০ শতাংশ এর বেশি। ২০১৭ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় যানজটের কারণে প্রতিদিন ৩.৮ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। নষ্ট কর্মঘণ্টার মূল্য বিবেচনায় নিলে ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক আকার ধারণ করে যা জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের মতে, ঢাকার যানজট ৬০ শতাংশ কমাতে পারলে বাংলাদেশ ২.৬ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারে। এ ছাড়া ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, মেট্রো রেল প্রকল্পটি প্রতি বছর ২.৪ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে যা জাতীয় জিডিপির ১.৫ শতাংশ এর সমান। তা ছাড়া মেট্রো রেল ঢাকার ১৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জন্য যাতায়াত সহজ করবে এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে গতিশীল করবে, যা অর্থনীতিতে একটি বড় ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে।
মেট্রো রেল পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর লোকবলের প্রয়োজন হবে, যা বাংলাদেশে অনেক কাজের সুযোগ তৈরি করবে। ইউএনবির মতে, প্রতিটি মেট্রো রেলস্টেশনে একটি অপারেটিং রুম, টিকিট কাউন্টার, লাউঞ্জ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, প্রার্থনার স্থান, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, এসকেলেটর, লিফট এবং আরও অনেক কিছু থাকবে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নতুন কর্মচারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তা ছাড়া, স্টেশনগুলোর আশপাশের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে ব্যবসা পরিচালনার জন্য একদল কর্মীর প্রয়োজন হবে। এসব কর্মসংস্থান আর্থিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে এবং শেষ পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
মেট্রো রেলের কারণে, ট্রানজিট ব্যবস্থা বাড়বে এবং স্টেশনগুলোর আশপাশে অসংখ্য ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত ব্যবসা গড়ে উঠবে। তদ্ব্যতীত, উন্নত পরিবহণ পরিকাঠামোর কারণে, নতুন সংস্থাগুলো বিকাশের সুযোগ পাবে, অন্যদিকে বর্তমান ব্যবসাগুলো উপকৃত হবে। সামগ্রিকভাবে, স্টেশন এবং রুটের কাছাকাছি স্থাপন করা এ ব্যবসাগুলো দেশের জিডিপিতে যথেষ্ট অবদান রাখবে।
পিক আওয়ারে বাস না পাওয়া, অতিরিক্ত ভিড়, অল্প ব্যবধান, বাস কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ঢাকা শহরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। ট্যাক্সি এবং সিএনজি ছিল বাসের বিকল্প। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া, ‘মিটার ভাড়া' ব্যবহার না করার প্রবণতা, যাতায়াতের অনুরোধ কমে যাওয়া, সিএনজিতে ছিনতাই ও মলম পার্টির উৎপাত এবং চালকদের দুর্ব্যবহার জনগণের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ।
ঢাকাবাসীর যাতায়াতের একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হবে মেট্রোরেল। কারণ এটি প্রচুর যাত্রী বহন ক্ষমতাসহ একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহণ সুবিধা প্রদান করবে, এটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০,০০০ যাত্রী বহন করবে এবং প্রতি ৪ মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে একটি ট্রেন যাতায়াত করবে। তা ছাড়া, বিদ্যমান গণপরিবহণ ব্যবহারে নারীরা প্রায়ই হয়রানির সম্মুখীন হন। এর মধ্যে রয়েছে পিক টাইমে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়, শারীরিক বা মৌখিক হয়রানি, আসনের স্বল্পতা, নিরাপদে বাসে উঠা বা নামা এবং উপযুক্ত পরিবহন খোঁজা। এসব কারণে নারীরা বিদ্যমান পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছে। সুতরাং, তারা মেট্রো রেলে ভ্রমণে আরও আগ্রহী হবে। ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে ।
মেট্রো রেল আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি নতুন যুগে আবদ্ধ করবে। উন্নত দেশগুলোয় মেট্রো রেল এবং অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন মাধ্যমগুলোকে একত্রিত করে একটি উন্নত রুট সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যাতে মানুষ শুধু একটি পেমেন্ট কার্ডের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে মেট্রোরেলে ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। সিস্টেমটি ধীরে ধীরে সব ধরনের পাবলিক ট্রান্সপোর্টে প্রসারিত করা যেতে পারে। এটি দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশন আনার পাশাপাশি ধীরে ধীরে নগদবিহীন অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ও প্রতিকার ।
২৮.০৬.২০২২
কলেজ ছাত্রাবাস, ঢাকা
প্রিয় রফিক,
আশা করি আল্লাহর অশেষ দয়ায় ভালো আছো। আমি আল্লাহ পাকের রহমতে ভালো আছি। করোনাভাইরাসের বিস্তার এবং প্রাণহানি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা অগণিত । তাই নিজেকে কিভাবে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখবে তা নিয়ে আজ তোমাকে লিখছি ।
গণপরিবহন এড়িয়ে চলা কিংবা সতর্কতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাস, ট্রেন কিংবা অন্য যে কোন ধরণের পরিবহনের হাতল কিংবা আসনে করোনাভাইরাস থাকতে পারে। সেজন্য যে কোন পরিবহনে চলাফেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা এবং সেখান থেকে নেমে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করবে। যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলবে কিংবা বাড়তি সতর্কতা মেনে চলবে। ব্যাংক নোট বা টাকায় নানা ধরণের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করার ঘটনা নতুন নয়। এমনকি ব্যাংক নোটের মাধ্যমে সংক্রামক নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। করমর্দন এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তুমি যে ব্যক্তির সাথে কোলাকুলি এবং করমর্দন করছেন, তিনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে সেটি তোমার দেহে সংক্রমিত হতে পারে। হাত না ধুয়ে নিজের মুখমণ্ডল স্পর্শ করবে না। এটি হলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে ।
আজ আর না । ভালো থেকো। বাবা মাকে সালাম দিও।
ইতি
তোমার বড় ভাই
লিসান
বিশ্ব একটি বড় পাঠশালা। এখানে প্রতিটি মানুষই ছাত্র। যুগ যুগ ধরে বিশ্বের এই মহাপাঠশালা থেকেই মানুষ অর্জন করেছে অভিজ্ঞতালব্ধ বিপুল জ্ঞান ।
We are the inhabitants of an independent country. Freedom is the right of man. But no nation can achieve it without effort. Again, the people of a country must be determined to defend it. It is secret duty of every citizen to defend the freedom of his motherland.
= আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী। স্বাধীনতা ব্যক্তির অধিকার। কিন্তু, কোনো দেশই চেষ্টা ছাড়া এটি অর্জন করতে পারে না। আবার, একটি দেশের জনগণকেও এটি রক্ষায় কাজ করতে হয়। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা প্রত্যেক নাগরিকের একটি গোপন দায়িত্ব
বিরাম চিহ্ন বলতে কী বুঝায়? ব্যাকরণে এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করুন।
বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তির কিংবা বাক্যে আবেগ (হর্ষ, বিষাদ), জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য গঠনে যে ভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখবার জন্য যে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তা-ই যতি বা বিরাম বা ছেদচিহ্ন।
বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাঃ (
ক) বাক্যের অর্থ যথাযথরূপে প্রকাশ করা। (খ) বাক্যের পদগুলো নির্দিষ্ট ছক বা রীতি অনুযায়ী সাজিয়ে তোলা। (গ) বাক্যের পদ বিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি স্থাপন করা। (ঘ) বাক্যের পদগুলোর মধ্যে ভাবের সঙ্গতি
রক্ষা করা। (ঙ) বক্তার অর্থবহ বাক্য শ্রোতার নিকট নির্দিষ্ট ভাবে পৌঁছে দেওয়া।
প্রত্যয়যোগে কীভাবে শব্দ গঠিত হয়? উদাহরণসহ ৫টি নিয়ম আলোচনা করুন।
প্রত্যয়যোগে ৫টি শব্দ গঠন হলোঃ
অ-প্রত্যয় | অন্-প্রত্যয় | অক-প্রত্যয় | আই-প্রত্যয় | আ-প্রত্যয় |
√ধর্ + অ = ধর | √কাঁদ + অন = কাঁদন | √মুড় + অক = মোড়ক | √চড়ু + আই = চড়াই | √পড় + আ = পড়া |
উদাহরণসহ সন্ধি ও সমাসের ৫টি পার্থক্য লিখুন।
সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্যঃ
পাশাপশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। | পরস্পর অর্থসংগতিপূর্ণ দুই বা ততোধিক পদ মিলে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমনঃ সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন। |
সন্ধিতে প্রতিটি শব্দের অর্থ বজায় থাকে। | সমাসে কখনো পূর্বপদ, কখনো পরপদ, কখনো উভয় পদ ও কখনো অন্য পদের অর্থ প্রাধান্য পায়। যেমনঃ চাঁদের ন্যায় মুখ = চাঁদমুখ। |
সন্ধির মিলন মূলত উচ্চারণগত বা ধ্বনির মিলন । সন্ধিতে পদের বিভক্তি লোপ পায় না, বরং সংকুচিত হয়। | সন্ধির মিলন মূলত উচ্চারণগত বা ধ্বনির মিলন । সন্ধিতে পদের বিভক্তি লোপ পায় না, বরং সংকুচিত হয়। সমাসে |
সন্ধিতে শব্দগুলো ক্রমপরিবর্তিত না হয়ে যুক্ত হয়। | সমাসে সাধারণত পূর্বপদের বিভক্তি চিহ্ন লোপ পায়। যেমনঃ দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত । |
সন্ধিতে দুই বর্ণের মধ্যে যোগ চিহ্ন (+) ব্যবহার করতে হয়। | সমাসে পদক্রম বিভিন্ন সময় নানা রূপ ধারণ করে। |
সন্ধির মিলন মূলত উচ্চারণগত বা ধ্বনির মিলন । | সমাসে দুই পদের মধ্যে অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়। |
Your Memorable Day [Hints: Introduction What is meant by memorable day - Your memorable day - Significance of that day - Conclusion]
Introduction: Life is a sum of memories, events, moments, and experiences. Some memories in life are sweet and some are bitter. Everyone has a memorable day in the life. I have also a memorable day in my life. It is a part of my life. Sometimes I go back to my memorable days. It makes me remember the sweet memory of my life. I feel the day very much. I miss the day.
What is meant by memorable day: When we say memorable, we refer to something that we cannot forget easily or something that left us excited. A memorable day is a day that one can recall easily as it is engraved in the memory.
Your memorable day: A description of the day I distinctly remember the day, my joy then knew no bounds. I was in my village home after the School Final Examination was over. I was in a happy mood for relaxation. Then suddenly my good eight-hour sleep was broken by shouts of joy. My mother and brothers and sisters were all calling out my name in various tones of endearment and ecstasy. I jumped up and rushed out of the room and found a telegram passing from hand to hand with congratulations. It conveyed the happy message that I had passed the School Final Examination creditably. My joy then knew no bounds. The rest of the day passed off in dizzy raptures. Relatives came to congratulate me; I went to pay my respects to elders, to earn the blessing of my village teachers. I was patted and pampered by the ladies of the house especially, with demands for treating all to sweets. I was at once reminded of those lines of Wordsworth- "Bliss was it in that dawn to be alive, but to be young 'k as very heaven!" The suggestion came from elders that Pujas had to be offered to the village and household deities blessing, had to be received with due solemnity. And yet, as I recall that red-letter day, I ask myself if I should have been so happy. But still, the fact remains that was my first success. I was beside myself with happiness. Soon However, I realized how my responsibility increased for carrying on further studies to build my career properly. It is a sum of sweets memory. It will be ever fresh in my mind. It is a part of my life. I never forget the day.
28.06.2022
Sitakund, Chittagong
Dear Shilpi
I am quite well here and hope that you will also be hale and hearty. I am writing this letter to tell you about the bad impact of Facebook on young generation. Facebook already changed the way people interact with each other. Facebook allow people to communicate and remain in contact with friends as well as meet new people.
Users also share videos, photos, music, documents and many other things. But Facebook does have negative effects as well. It has reduced the amount of face to face socializing and replace it with online interaction. People that frequently use Facebook sites are also prone to social isolation which can lead to depression and decreased social skills.
I hope you will use social media sites as per the need because excessive use of it can cause wastage of time and energy. Give my regards to mother and dad.
Yours ever,
Ratul
Passage টিতে আমাদের বহুল পরিচিত সেই নৌকার মাঝি আর একজন দার্শনিকের কথপোকথন তুলে ধরা হয়েছে। তাই আসুন গতানুগতিক অনুবাদ না করে সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে চলে যাইঃ
a) Impractical knowledge that the gentleman gathered from text books made him proud.
b) The first question was, 'have you read any history or geography"?
c) The gentleman ignored the boatman by saying 'your life is hardly worth living'.
d) The gentleman was in fear as he did not know how to swim. That's an opportunity for a boatman to retort his humiliation. And the boatman said, 'you know many things but don't know how to swim and save your life'.
e) Don't be pretentious and be pragmatic in learning.
In case of
In case of (কারণে): These lamps light in case of emergency.
Leave no stone unturned
Leave no stone unturned (চেষ্টার কোনো ত্রুটি না করা): The doctor said he will leave no stone unturned to find a cure for his illness.
We should have an easy access ____ information technology.
We should have an easy access to information technology.
বাক্যের অর্থঃ তথ্য প্রযুক্তিতে আমাদের সহজেই প্রবেশাধিকার থাকা উচিৎ।
The word impossible is found only ____ the dictionary.
The word impossible is found only in the dictionary.
বাক্যের অর্থঃ অসম্ভব শব্দটি কেবল ডিকশনারিতেই পাওয়া যায়
She was very tactful ____ it.
She was very tactful about it.
বাক্যের অর্থঃ এ বিষয়ে সে খুব কৌশলী ।
A bus collided ____ a car.
A bus collided with a car.
বাক্যের অর্থঃ একটি বাসের সাথে একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছিল।
He stepped ____ the room.
He stepped into the room.
বাক্যের অর্থঃ সে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছিল।
They sailed away ____ the south.
They sailed away for the south.
বাক্যের অর্থঃ দক্ষিণের উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করেছিল
হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলনের উদোক্তা ছিলেন। হাজী শরীয়তুল্লাহ এর নামানুসারে শরিয়তপুর জেলার নামকরণ করা হয়েছে। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমাধীন (বর্তমানে জেলা) শ্যামাইল গ্রামের তালুকদার পরিবারে ১৭৮১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এটি ১৯ শতকে বাংলায় গড়ে ওঠা একটি সংস্কার আন্দোলন। প্রাথমিক পর্যায়ে এ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ধর্ম সংস্কার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলনে আর্থ-সামাজিক সংস্কারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ফরায়েজী শব্দটি 'ফরজ' থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত অবশ্য পালনীয় কর্তব্য । কাজেই ফরায়েজী বলতে তাদেরকেই বোঝায় যাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্তব্যসমূহ কার্যকর করা ৷
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR বা জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (United Nations High Commissioner for Refugees). ২০১৭ সালে ব্রিটিশ চ্যানেল ফোর টিভির সাংবাদিক জনাথন মিলার রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি' পুরস্কার প্রদান করে। ভাসানচর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর অন্তর্গত। এখানে, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
১৯৬৬ সালের ৫ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মিলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন এবং এই কর্মসূচীকে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তির সনদ বলে অভিহিত করেন । ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ৭ জুন।
'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' গানটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত পরিবেশিত হয় । স্বাধীনতার পর সাংবিধানিকভাবে (অনুচ্ছেদ ৪.১) ‘আমার সোনার বাংলা’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতরূপে ঘোষিত হয় । গানের প্রথম ১০ লাইন কণ্ঠ সংগীত এবং প্রথম ৪ লাইন যন্ত্র সংগীত হিসেবে পরিবেশনের বিধান রাখা হয় ৷
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা ‘পঞ্চগড়’। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা ‘কক্সবাজার’ । উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সর্ব পূর্বের জেলা ‘বান্দরবান'। বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ'। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা ‘তেঁতুলিয়া’ । বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা ‘টেকনাফ’।
দেশের বৃহত্তম হাওর সিলেটের হাকালুকি (আয়তন ২৪,২৯২ হেক্টর) এবং ক্ষুদ্রতম হাওর হচ্ছে বুরবুক (আয়তন ৪১ হেক্টর)।
ঢাকা
১৬১০ সালে ঢাকার নামকরণ করা হয় ‘জাহাঙ্গীর নগর’।
সিলেট
‘সিলেটের' পূর্বনাম ছিলো ‘জালালাবাদ' ।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের প্রাচীন নাম ছিল বিক্রমপুর।
OPEC এর মোট সদস্য সংখ্যা ১৩টি আর এগুলো হলোঃ ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলা, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, গ্যাবন, অ্যাঙ্গোলা এবং নিরক্ষীয় গিনি । প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলো হলোঃ ইরান, ইরাক, কুয়েত, কঙ্কোপ্রজাতন্ত্র, সৌদি আরব এবং ভেনিজুয়েলা। ০১ জানুয়ারি, ২০১৯ কাতার এবং ০১ জানুয়ারি, ২০২০ ইকুয়েডর সদস্যপদ ত্যাগ করে। উল্লেখ্য, OPEC এর পূর্ণরূপ হলো Organization of Petroleum Exporting Countries. OPEC তেল রপ্তানীকারক দেশগুলোর সংস্থা। ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে OPEC গঠিত হয়। এর সদরদপ্তর হলো ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া । এটির কাজ হলো OPEC ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তেলের উৎপাদন এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা ।
SDG এর পূর্ণরূপঃ Sustainable Development Goals
WTO এর পূর্ণরূপঃ World Trade Organization
ESCAP এর পূর্ণরূপঃ Economic & Social Commission for Asia and Pacific.
আমেরিকাকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফ্রান্স উপহার স্বরূপ দেয় ।
ইসরাইলের আইনসভার নাম নেসেট ।
জিব্রাল্টার প্রণালী আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশকে আলাদা করেছে এবং উত্তর আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
মাল্টা এবং সাইপ্রাস। উল্লেখ্য, ভূমধ্যসাগর (Mediterranean Sea) এর নাম শুনে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এটি চারিদিক দিয়ে ভূমি দ্বারা বেষ্টিত। এটি আংশিক সত্য। প্রকৃত পক্ষে এটি জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে যুক্ত আছে। তবে সেটুকু বাদ দিলে উত্তর ও পশ্চিমে ইউরোপ, দক্ষিণে আফ্রিকা এবং পূর্বে এশিয়া মহাদেশ দ্বারা এটি আবদ্ধ ৷ তাই এর নাম বোধহয় ভূমধ্যসাগর ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য ১৫টি (স্থায়ী ৫টি এবং অস্থায়ী ১০টি)। স্থায়ী ৫টি সদস্য দেশঃ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে।
মাদার তেরেসা নোবেল শান্তি পুরস্কার (১৯৭৯), ভারতরত্ন (১৯৮০), প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (১৯৮৫), বালজান পুরস্কার (১৯৭৮) লাভ করেন। মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে দুঃস্থ মানবতার সেবায় ভারতের কলকাতায় ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি' প্রতিষ্ঠা করেন। আর ১৯৫২ সালে এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে মুমূর্ষু রোগী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত মাদকাসক্ত, উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের জন্য আশ্রয় ও সেবা কেন্দ্র হিসেবে ‘নির্মল হৃদয়' গড়ে তোলেন ।
১৯৫০ সালে কলকাতায় মাদার তেরেসা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি সেবাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কলকাতার ‘স্বর্গীয় টেরিজা’ (Blessed Teresa of Calcutta) নামে পরিচিত হন। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যেই সমাজসেবী এবং অনাথ ও দুস্থজনের বন্ধু হিসেবে তার খ্যাতি সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর তিনি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। প্রথমে ভারতে ও পরে সমগ্র বিশ্বে তার এই মিশনারি কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ম্যালকম ম্যাগাজিনের বই ও প্রামাণ্য তথ্যচিত্র ‘সামথিং বিউটিফুল ফর গড' তার সেবাকার্যের প্রচারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল সেসময়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান বাঙালি কখনো ভুলবে না । তিনি দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের পাশে, অকাতরে প্রাণের মায়া ভুলে। একাত্তরের ডিসেম্বরে মাদার তেরেসা খুলনা ও ঢাকার কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসব ক্যাম্পে পাকসেনারা একটানা বাংলাদেশি নারীদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল। এসব দেখে মুষড়ে পড়েন তিনি। ঢাকায় ফিরে খোলেন 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ' এর একটি শাখা। তখন বেশিরভাগ যুদ্ধশিশুকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো, ফেলে দেওয়া হতো ডাস্টবিনে। মাদার তেরেসা ওই সময় পরম মমতায় যুদ্ধ শিশুদের কোলে তুলে নেন, পাঠিয়ে দেন কলকাতা, ফ্রান্স ও সুইডেনে।