হাজী শরীয়তুল্লাহ ফরায়েজী আন্দোলনের উদোক্তা ছিলেন। হাজী শরীয়তুল্লাহ এর নামানুসারে শরিয়তপুর জেলার নামকরণ করা হয়েছে। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমাধীন (বর্তমানে জেলা) শ্যামাইল গ্রামের তালুকদার পরিবারে ১৭৮১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এটি ১৯ শতকে বাংলায় গড়ে ওঠা একটি সংস্কার আন্দোলন। প্রাথমিক পর্যায়ে এ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ধর্ম সংস্কার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলনে আর্থ-সামাজিক সংস্কারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ফরায়েজী শব্দটি 'ফরজ' থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত অবশ্য পালনীয় কর্তব্য । কাজেই ফরায়েজী বলতে তাদেরকেই বোঝায় যাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্তব্যসমূহ কার্যকর করা ৷
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR বা জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (United Nations High Commissioner for Refugees). ২০১৭ সালে ব্রিটিশ চ্যানেল ফোর টিভির সাংবাদিক জনাথন মিলার রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি' পুরস্কার প্রদান করে। ভাসানচর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর অন্তর্গত। এখানে, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
১৯৬৬ সালের ৫ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মিলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন এবং এই কর্মসূচীকে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তির সনদ বলে অভিহিত করেন । ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস ৭ জুন।
'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' গানটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত পরিবেশিত হয় । স্বাধীনতার পর সাংবিধানিকভাবে (অনুচ্ছেদ ৪.১) ‘আমার সোনার বাংলা’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতরূপে ঘোষিত হয় । গানের প্রথম ১০ লাইন কণ্ঠ সংগীত এবং প্রথম ৪ লাইন যন্ত্র সংগীত হিসেবে পরিবেশনের বিধান রাখা হয় ৷
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা ‘পঞ্চগড়’। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা ‘কক্সবাজার’ । উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সর্ব পূর্বের জেলা ‘বান্দরবান'। বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমের জেলা ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ'। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা ‘তেঁতুলিয়া’ । বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা ‘টেকনাফ’।
দেশের বৃহত্তম হাওর সিলেটের হাকালুকি (আয়তন ২৪,২৯২ হেক্টর) এবং ক্ষুদ্রতম হাওর হচ্ছে বুরবুক (আয়তন ৪১ হেক্টর)।
ঢাকা
১৬১০ সালে ঢাকার নামকরণ করা হয় ‘জাহাঙ্গীর নগর’।
সিলেট
‘সিলেটের' পূর্বনাম ছিলো ‘জালালাবাদ' ।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের প্রাচীন নাম ছিল বিক্রমপুর।
OPEC এর মোট সদস্য সংখ্যা ১৩টি আর এগুলো হলোঃ ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলা, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, গ্যাবন, অ্যাঙ্গোলা এবং নিরক্ষীয় গিনি । প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলো হলোঃ ইরান, ইরাক, কুয়েত, কঙ্কোপ্রজাতন্ত্র, সৌদি আরব এবং ভেনিজুয়েলা। ০১ জানুয়ারি, ২০১৯ কাতার এবং ০১ জানুয়ারি, ২০২০ ইকুয়েডর সদস্যপদ ত্যাগ করে। উল্লেখ্য, OPEC এর পূর্ণরূপ হলো Organization of Petroleum Exporting Countries. OPEC তেল রপ্তানীকারক দেশগুলোর সংস্থা। ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ সালে OPEC গঠিত হয়। এর সদরদপ্তর হলো ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া । এটির কাজ হলো OPEC ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তেলের উৎপাদন এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা ।
SDG এর পূর্ণরূপঃ Sustainable Development Goals
WTO এর পূর্ণরূপঃ World Trade Organization
ESCAP এর পূর্ণরূপঃ Economic & Social Commission for Asia and Pacific.
আমেরিকাকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফ্রান্স উপহার স্বরূপ দেয় ।
ইসরাইলের আইনসভার নাম নেসেট ।
জিব্রাল্টার প্রণালী আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশকে আলাদা করেছে এবং উত্তর আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
মাল্টা এবং সাইপ্রাস। উল্লেখ্য, ভূমধ্যসাগর (Mediterranean Sea) এর নাম শুনে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এটি চারিদিক দিয়ে ভূমি দ্বারা বেষ্টিত। এটি আংশিক সত্য। প্রকৃত পক্ষে এটি জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে যুক্ত আছে। তবে সেটুকু বাদ দিলে উত্তর ও পশ্চিমে ইউরোপ, দক্ষিণে আফ্রিকা এবং পূর্বে এশিয়া মহাদেশ দ্বারা এটি আবদ্ধ ৷ তাই এর নাম বোধহয় ভূমধ্যসাগর ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য ১৫টি (স্থায়ী ৫টি এবং অস্থায়ী ১০টি)। স্থায়ী ৫টি সদস্য দেশঃ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে।
মাদার তেরেসা নোবেল শান্তি পুরস্কার (১৯৭৯), ভারতরত্ন (১৯৮০), প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (১৯৮৫), বালজান পুরস্কার (১৯৭৮) লাভ করেন। মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে দুঃস্থ মানবতার সেবায় ভারতের কলকাতায় ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি' প্রতিষ্ঠা করেন। আর ১৯৫২ সালে এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে মুমূর্ষু রোগী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত মাদকাসক্ত, উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের জন্য আশ্রয় ও সেবা কেন্দ্র হিসেবে ‘নির্মল হৃদয়' গড়ে তোলেন ।
১৯৫০ সালে কলকাতায় মাদার তেরেসা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে একটি সেবাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কলকাতার ‘স্বর্গীয় টেরিজা’ (Blessed Teresa of Calcutta) নামে পরিচিত হন। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যেই সমাজসেবী এবং অনাথ ও দুস্থজনের বন্ধু হিসেবে তার খ্যাতি সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর তিনি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। প্রথমে ভারতে ও পরে সমগ্র বিশ্বে তার এই মিশনারি কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ম্যালকম ম্যাগাজিনের বই ও প্রামাণ্য তথ্যচিত্র ‘সামথিং বিউটিফুল ফর গড' তার সেবাকার্যের প্রচারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল সেসময়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবদান বাঙালি কখনো ভুলবে না । তিনি দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষের পাশে, অকাতরে প্রাণের মায়া ভুলে। একাত্তরের ডিসেম্বরে মাদার তেরেসা খুলনা ও ঢাকার কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসব ক্যাম্পে পাকসেনারা একটানা বাংলাদেশি নারীদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল। এসব দেখে মুষড়ে পড়েন তিনি। ঢাকায় ফিরে খোলেন 'মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ' এর একটি শাখা। তখন বেশিরভাগ যুদ্ধশিশুকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো, ফেলে দেওয়া হতো ডাস্টবিনে। মাদার তেরেসা ওই সময় পরম মমতায় যুদ্ধ শিশুদের কোলে তুলে নেন, পাঠিয়ে দেন কলকাতা, ফ্রান্স ও সুইডেনে।