জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ভূমিকাঃ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আজ অবধি যুগে যুগে এমন কিছু ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটেছে, যাদের হাত ধরে মানবতার মুক্তির সনদ রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের সাথে যার নাম অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত তিনি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বসম্মোহনীদের নামের তালিকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বাগ্রে। আর এমন ব্যক্তিত্বের আঙুলের ইশারায় পৃথিবীর বুকে মহাবিপ্লব সংঘটিত হয়।
জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বর্তমান গোপালগঞ্জ (সাবেক ফরিদপুর) জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান ।
শৈশবজীবনঃ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ছোট সময়ে আমি খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম'। খেলাধুলা করতাম, গান গাইতাম এবং খুব ভাল ব্রতচারী করতে পারতাম।” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন তাঁর ‘শেখ মুজিব আমার পিতা' গ্রন্থে বলেন, “আমার আব্বার শৈশব কেটেছিল টুঙ্গিপাড়ার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে, মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে। বর্ষার কাদাপানিতে ভিজে ।
শিক্ষাজীবনঃ ১৯২৭ সালে বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন মাত্র ৭ বছর তখন তাঁকে স্থানীয় গিমাডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর ১৯২৯ সালে অর্থাৎ ৯ বছর বয়সে তাঁকে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি মিশনারি স্কুলে পড়ালেখা করেন। কিন্তু ১৯৩৪ সালে তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হলে প্রায় ৪ বছরকাল তাঁর পড়ালেখা বন্ধ থাকে। অতঃপর ১৯৩৭ সালে আবারও তিনি মিশনারি স্কুলে ভর্তি হন। এ স্কুল থেকেই তিনি ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং বেকার হোস্টেলে বসবাস শুরু করেন। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৪ সালে আইএ এবং ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে ঢাকা - বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন ও নেতৃত্বদানকে কেন্দ্র করে বৈরী অবস্থার সৃষ্টি হলে আইন বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই তাঁর ছাত্রজীবনের সমাপ্তি ঘটে।
বৈবাহিক জীবনঃ ১৯৩৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমান শেখ ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘর আলোকিত করেছে তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিবাহ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন, “আমার যখন বিবাহ হয় তখন আমার বয়স বার তেরো বছর হতে পারে। আমি শুনলাম আমার বিবাহ হয়েছে,তখন কিছুই বুঝতাম না। রেণুর বয়স তখন বোধহয় তিন বছর হবে” ।
মুসলিম সেবা সমিতিঃ বঙ্গবন্ধুর একজন স্কুল মাস্টার একটা সংগঠন গড়ে তোলেন যার সদস্যরা বাড়ি-বাড়ি ঘুরে ধান, চাল, টাকা, জোগাড় করে গরিব মেধাবী ছেলেদের সাহায্য করতেন। বঙ্গবন্ধু সেই দলের অন্যতম সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, মাস্টার সাহেব গোপালগঞ্জে একটা 'মুসলিম সেবা সমিতি' গঠন করেন, যার দ্বারা গরিব ছেলেদের সাহায্য করতেন। মুষ্টির চাল উঠাভেন প্রত্যেক মুসলমানের বাড়ি থেকে। প্রত্যেক রবিবার আমরা থলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে চাউল উঠিয়ে আনতাম এবং এই চাউল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার অন্যান্য খরচ দিতেন”। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) এছাড়া তার দানশীলতা সম্পর্কে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, 'দাদির কাছে শুনেছি আব্বার জন্য মাসে কয়েকটা ছাতা কিনতে হতো কারণ আর কিছুই নয়। কোন ছেলে গরিব, ছাতা কিনতে পারে না, দূরের পথ রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট হবে দেখে, তাদের ছাতা দিয়ে দিতেন। এমনকি পড়ার বইও মাঝে মাঝে দিয়ে আসতেন।' (শেখ মুজিব আমার পিতা)
প্রাক রাজনৈতিক জীবনঃ শৈশব থেকেই তিনি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতেন। অন্যায় কিংবা অন্যায়কারী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রতিদান করতে বিন্দুপরিমাণ বিচলিত হতেন না। তিনি রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করেই দেশ ও জাতির অঘোষিত বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তাঁর চোখে-মুখে একটিই স্বপ্ন- বাঙালি জাতির অধিকার পুনরুদ্ধার করা যা ১৭৫৭ সালে পলাশি প্রান্তরে হারিয়ে যায়।
বৈপ্লবিক রাজনৈতিক জীবনঃ ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। রাজনীতি যেন তাঁর রক্তে মিশে আছে। তিনি উপলব্ধি করতেন যে, রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমেই বৃহৎ কল্যাণ সম্ভব। তাইতো এ দেশের সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি সবসময় অগ্রভাগে ছিলেন। গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য সাত দিন কারাভোগ করেন। নেতৃত্বগুণের কারণে ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলী (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) প্রতিষ্ঠা করেন। ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পিকেটিং এর সময় গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানীর সাথে ভূখা মিছিলে নেতৃত্ব দান কালে গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আওয়াম মুসলিম লীগ এর জন্ম হলে কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যুগা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরে বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা উত্থাপন করেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি বৃহৎ অংশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটান। ১৯৬৮ সালে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাভোগ করেন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতার হন।
রাজনীতিতে অংশগ্রহণঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর “শেখ মুজিব আমার পিতা” গ্রন্থে উল্লেখ করেন, 'গোপালগঞ্জ স্কুল খেকে ম্যাট্রিক পাস করে তিনি কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে পড়তে যান। তখন বেকার হোস্টেলে থাকতেন। এই সময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদীর সংস্পর্শে আসেন। হলওয়ে মনুমেন্ট আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন সক্রিয়ভাবে। এই সময় থেকে তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু হয়।
ছাত্রলীগ গঠনঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থে বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি তারিখে ফজলুল হক মুসলিম হলের এ্যাসেম্বলি হলে এক সভা ডাকা হলো, সেখানে স্থির হল একটা ছাত্র প্রতিষ্ঠান করা হবে। যার নাম হবে ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ' ।
আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনঃ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেন, “শেষপর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেন বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল। শুধু কর্মীরা না, অনেক রাজনৈতিক নেতাও সেই সম্মেলনে যোগদান করেন। সকলেই একমত হয়ে নতুন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করলেন; তার নাম দেওয়া হলো, 'পূর্ব পাকিস্তান
আওয়ামী মুসলিম লীগ' । মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, জনাব শামছুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং আমাকে করা হলো জয়েন্ট সেক্রেটারি”।
ভাষা আন্দোলনঃ ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন আইন পরিষদে 'পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নেবে' বলে ঘোষণা দিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে ওই ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। ২ মার্চ ফজলুল হক মুসলিম হলে ভাষার প্রশ্নে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবক্রমে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গড়ে ওঠে। ১১ মার্চ হরতাল চলাকালে সচিবালয়ের সামনে থেকে তিনি গ্রেফতার হন। তারপর ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন আবারও ঘোষণা করে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু' । এ ঘোষণার প্রতিবাদে বন্দি থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে রাজবন্দী মুক্তি এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি দিবস হিসেবে পালন করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু এ দাবিতে জেলখানায় অনশন শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকার রাজপথে মিছিল বের করলে ওই মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ফলে সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত ও সফিউরসহ অনেকেই শহিদ হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জেলে বসে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ১৩ দিন অনশন অব্যাহত রাখেন। তারপর ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলখানা থেকে তিনি মুক্তিলাভ করেন।
যুক্তফ্রন্টঃ ১৯৫৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরেবাংলা, ভাষানী ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ারদীর নেতৃত্বে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চারটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর শেরেবাংলা একে ফজলুল হক সরকার গঠন করেন। বঙ্গবন্ধু সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে সমবায় ও কৃষিঋণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন।
কারাগার থেকে কারাগারেঃ ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির চারদিন পর বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়। প্রায় ১৪ মাস আটক রাখার পর মুক্তি পান তিনি। তবে আবার জেলগেট থেকে তাঁকে আটক করা হয়। প্রায় দুই বছর কারাগারে থাকেন এসময়। ১৯৬১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি মুক্তি পান। ১৯৬২ সালে জননিরাপত্তা আইনে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । পরবর্তীতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন প্রকাশিত হলে বঙ্গবন্ধু এর সমালোচনা করেন এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। ৭ মার্চ ২০১৭ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবনে মোট ৪৬৮২ দিন কারাভোগ করেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে ৭ দিন এবং পাকিস্তান আমলে ৪৬৭৫ দিন। বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবস্থায় ১৯৩৮ সালে প্রথম কারাগারে যান।
ঐতিহাসিক ছয় দফাঃ ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের আইয়ুব বিরোধী রাজনৈতিক দল সমূহের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। ছয় দফা দাবির প্রথম দফা ছিল 'লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে'।
আগরতলা মামলাঃ পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মরত ও প্রাক্তন সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা ভারত সরকারের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্ত ানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা শহরে ভারতীয় পক্ষ ও আসামি পক্ষদের মধ্যে এ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ থাকায় একে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বলা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে এ মামলা এবং এর প্রতিক্রিয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন ৩৫ জনকে আসামি করে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২১-ক ধারা এবং ১৩১ ধারায় মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলায় শেখ মুজিবকে ১ নম আসামি করা হয় এবং 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং' নামে মামলাটি পরিচালিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার অচিরেই মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
গণঅভ্যুত্থানঃ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, বাঙালির ম্যাগনাকার্টা। ১৯৬৭ সালের ১৬ জুন নির্ভীক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনের ইত্তেফাক পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ২৩ জুন রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু কে প্রধান আসামী করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা করে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়। ফলে সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্র সমাজ ঐতিহাসিক ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে। ৮ জানুয়ারি ৮টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত হয়। ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। আন্দোলন তীব্র হয় । ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুজ্জোহা কে হত্যার ফলে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২৪ জানুয়ারি সারা দেশে গণ আন্দোলন হয় ।
গণঅভ্যুত্থানঃ ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, বাঙালির ম্যাগনাকার্টা। ১৯৬৭ সালের ১৬ জুন নির্ভীক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেনের ইত্তেফাক পত্রিকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ২৩ জুন রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু কে প্রধান আসামী করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা করে তাদের উপর নির্যাতন করা হয়। ফলে সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্র সমাজ ঐতিহাসিক ১১ দফা দাবি উত্থাপন করে। ৮ জানুয়ারি ৮টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত হয়। ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। আন্দোলন তীব্র হয় । ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুজ্জোহা কে হত্যার ফলে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২৪ জানুয়ারি সারা দেশে গণ আন্দোলন হয় ।
বাংলাদেশ নামকরণঃ ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ারদীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামীলীগের জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, “জনগণের পক্ষ থেকে আমি ঘোষণা করছি, আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম পূর্বপাকিস্তানের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ” হবে” ।
৭০ এর নির্বাচনঃ ১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা, স্লোগান ছিল 'জয় বাংলা' আর ঘোষণাপত্র ছিল ছয় দফা। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন লাভ করে। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি লাভ করলেও আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় না। এ জন্যই ১৯৭০ সালের নির্বাচনকে পাকিস্তানের মৃত্যুর বার্তাবাহক বলা হয় ।
অসহযোগ আন্দোলনঃ ১৯৭০ সালের নির্বাচন ছিল এক ব্যক্তি এক ভোট নীতির প্রথম নির্বাচন। ৩ মার্চ ১৯৭০ সালে আ. স. ম. আবদুর রব বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা' উপাধি প্রদান করেন। এই সমাবেশে বক্তৃতাকালে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।
৭ই মার্চের ভাষণঃ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে রোজ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। সময় বিকাল ৩টা ২০ মিনিট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা বলেন, এর ব্যাপ্তিকাল ছিল ২৩ মিনিট তবে ১৮-১৯ মিনিট রেকর্ড করা হয়। রেকর্ড করেন এ এইচ খন্দকার এবং চিত্র ধারণ করেন আবুল খায়ের এমএনএ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ম তফসিলে জাতির পিতার এ ভাষণ সন্নিবেশিত হয়। এ ভাষণেই বঙ্গবন্ধু বলেন “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই”। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। যথাঃ
১. প্রথমে মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে।
২. সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে ।
৩. যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে।
৪. জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
১৩ নভেম্বর ২০১৭ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ২৬টি বাক্যের বিশ্লেষণ করে “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: রাজনীতির মহাকাব্য” শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রন্থটি প্রকাশ করে-তথ্য ও যোগাযোগ | প্রযুক্তি বিভাগ। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে “ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ” বা “বিশ্ব প্রামাণ্যের ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৪২৭ টি নথি এতে যুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি ইউনেস্কো ঘোষিত ৭৮টি ঐতিহাসিক দলিলের মধ্যে ৭ই মার্চের ভাষণ ৪৮ তম। ইউনেস্কোর এযাবৎ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৪২৭টি প্রামাণ্য ঐতিহ্যের মধ্যে প্রথম অলিখিত ভাষণ এটি। স্বীকৃতির সময় ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ছিলেন ইরিনা বোকোভা। ৭ মার্চের ভাষণকে আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে যুদ্ধকালে দেয়া বিশ্বের অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তৃতা বলা হয় ।
স্বাধীনতার ঘোষণাঃ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীরা নিরীহ মানুষদের উপর অমানুষিক অত্যাচার শুরু করে। শুধু ঢাকাতেই ৫০ হাজারের বেশী মানুষ হত্যা করে তারা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম এম এ হান্নান নিজের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের ভূমিকাতে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার পরপরই আমাদের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হানা দেয় এবং আমার পিতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিঃ দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমারা স্বাধীনতা লাভ করি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রেসকোর্সের ময়দানে আত্মসমর্পন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ। আর এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সংবিধান রচনাঃ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের পর ২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকার ঢাকায় এসে শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ঙ. রহমান সংবিধান রচনায় মনোনিবেশ করেন। ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান Re 'অস্থায়ী সংবিধান' আদেশ জারি করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। ১০ এপ্রিল ১৯৭২ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট সংবিধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং একমাত্র মহিলা সদস্য ছিল রাজিয়া বানু। খসড়া কমিটি ৪৭টি বৈঠকের মাধ্যমে খসড়া চূড়ান্ত করে। ১২ অক্টোবর ১৯৭২ সালে খসড়া সংবিধান গণ পরিষদে উত্থাপন করা হয় এবং ৪ নভেম্বর ১৯৭২ (১৮ কার্তিক ১৩৭৯) তা গৃহীত হয়। প্রতি বছর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয় । ১৫ ডিসেম্বর সংবিধানে স্বাক্ষর করা হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে তা কার্যকর হয়।
সংবিধান সংশোধন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর রেসকোর্স ময়দানে এক ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষনা দেন। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আমলে সংবিধান মোটঃ বার সংশোধন করা হয়। যুদ্ধবন্দীদের বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে প্রথম সংশোধনী আনা হয়। রাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টি, মেয়াদ ও জরুরী অবস্থার বিধান রেখে ২য় সংশোধনী আনা হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তির আলোকে ৩য় সংশোধনী আনা হয় । এবং ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত Sol সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।
অসমাপ্ত আত্মজীবনীঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখিত আত্মজীবনী মূলক প্রথম গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'। ২০১২ সালের জুন মাসে বইটি দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড' থেকে প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রচ্ছদ সমর মজুমদার এবং গ্রন্থস্বত্ব ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট' ।
১৯৬৭-১৯৬৯ সালে কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু বইটি লেখেন। বইটি লিখতে বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা দেন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালে ফজলুল হক মনির ড্রয়ার থেকে এর মূল পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট সাব জেলে থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বইটির ভূমিকা লেখেন। বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস সহ বাল্যকাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিজের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন।
কারাগারের রোজনামচাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত আত্মজীবনী মূলক দ্বিতীয় গ্রন্থ 'কারাগারের রোজনামচা'। ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান। বইটি ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ঐতিহাসিক বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়। পাণ্ডুলিপি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু এর নাম দিয়েছিলেন “থালাবাটি কম্বল/জেলখানার সম্বল"। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা বইটির নামকরণ করেন ‘কারাগারের রোজনামচা' গ্রন্থটিতে ১৯৬৬-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের চিত্র তুলে ধরেছেন। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ শিল্পী তারিক সুজাত। বঙ্গবন্ধু এই গ্রন্থটিতে তাঁর জেল জীবনের পাশাপাশি জেল যন্ত্রণা, কয়েদীদের অজানা কথা, অপরাধীদের কথা, কেন তারা এই অপরাধে লিপ্ত হলো তার কথা, তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আওয়ামীলীগ নেতাদের দুঃখ দুর্দশা, সংবাদ মাধ্যমের অবস্থা, শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতন প্রভৃতি তুলে ধরেছেন। বইটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বইটির গ্রন্থস্বত্ব হচ্ছে 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট'।
বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাষী ও রসিক মানুষ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সভায়ও সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। তিনিই প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা 'জুলিও কুরী' পুরস্কার লাভকরেন।
ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডঃ ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল কালরাত। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপথগামী একটি অংশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের ঐতিহাসিক বাড়িতে এক কুখ্যাত হামলা চালিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ব্যতীত নিকটাত্মীয়স্বজনসহ সপরিবারে শহিদ হন তিনি ।
উপসংহারঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহানুভবতা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন “আমি হিমালয় দেখিনি, আমি দেখেছি শেখ মুজিবকে”। তাই বলতে হয় “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরি, যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান” ।
বাংলা নববর্ষ
আমার প্রিয় লেখক
তথ্যপ্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
Perhaps a smile is the only thing in the world that has no bad effect. Many wise persons have described the smile as another essence of heavenly beauty. A happy smile, with all its sour-catching power can bear any shock at any time. In presenting a good smile, a pleasing appearance is not necessarily needed. A smile can be a good substitute for a good and attractive face.
= সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র জিনিস হচ্ছে হাসি যার কোনো কুপ্রভাব নেই। অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি হাসিকে স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আরেক নির্যাস বলে বর্ণনা করেছেন। একটি সুখময় হাসি, যে কোনো সময় যেকোনো শোকাতুর বিষয়কেও মেনে নিতে পারে। একটি সুন্দর হাসি দেওয়ার জন্য মনোরম প্রীতিকর চেহারার খুব একটা দরকার নেই। একটি সুন্দর হাসি ভালো এবং আকর্ষনীয় চেহারার উত্তম বিকল্প হতে পারে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশের একটি এলাকা ভ্রমণ করে এসে, তা বর্ণনা করে প্রবাসী বন্ধুকে একটি পত্র লিখুন ।
১৫.০১. ২০১৯
সদর রোড, বরিশাল
প্রিয় সানজিদা
আমার সালাম নিও। আশা করি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। গতকাল তোমার চিঠি পেয়েছি। তুমি আমার কক্সবাজার ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছো। আমিও তোমাকে আমার ভ্রমণ সম্পর্কে জানাতে খুবই আগ্রহী।
কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি পর্যটন শহর। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। কক্সবাজার চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কি. মি. দক্ষিণে অবস্থিত এবং ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কি. মি.। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুকাময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি. মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। তুমি জেনে খুশি হবে যে, বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। বিধাতা যেন বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছেন বালুর আঁচলে। সমুদ্র সৈকতে প্রবেশ করতেই কানে ভেসে আসে সাগরের উত্তাল গর্জন। সাগরের বুকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে মোহনীয় আবেশ তা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দুর্বার বেগে আকর্ষন করে। বালুচরে অনেক সময় দেখা যায় লাল রঙের রাজ কাকড়া। গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে জেলেদের ফিরে আসার দৃশ্য সত্যিই জ্যাক অপরূপ। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে হোটেল, মোটেল, কটেজ ইত্যাদি। পর্যটকদের জন্য রয়েছে ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ মার্কেট ইত্যাদি। এখানে আরো রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অনেকগুলো পয়েন্ট রয়েছে, সেগুলো হলো লাবনী পয়েন্ট, সী ইন পয়েন্ট, কলাবতী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বালিকা মাদ্রাসা পয়েন্ট এবং Solt ডায়বেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট। এখানে বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন ও সাগরের আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ দেখা যায় ৷ এখানকার প্যাগোডা গুলো খুবই দর্শনীয়। এখানে একটি আবহাওয়া অফিস, একটি বাতিঘর এবং রাখাইন, মারমা সহ অনেক উপজাতির বসবাস রয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম এ সমুদ্র সৈকত চিত্ত বিনোদনের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এখানে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য রয়েছে স্পিড বোট, বিচ বাইক, ওয়াটার স্কুটার, আকাশে উড়ে বেড়ানোর জন্য প্যারাসুট ইত্যাদি। এছাড়াও বিশেষ দিনগুলোতে কনসার্ট ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে । তুমি আমাদের দেশে আসলে অবশ্যই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য নিমন্ত্রণ রইলো ।
ছোটদের আমার স্নেহ দিও আর বড়দের প্রতি রইলো সালাম। তোমার অবস্থা জানিও। বিশেষ আরকি?
ইতি
তোমার বন্ধু
শাওন
‘ফেসবুক’ ব্যবহারের সুফল কুফল জানিয়ে আপনার ছোট ভাইকে একটি পত্র লিখুন।
বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা বানারে পাঁচটি নিয়ম লিখুন।
নাগরীক
নাগরীক = নাগরিক
সংগা
সংগা = সংজ্ঞা
মিমাংসা
মিমাংসা = মীমাংসা
আষার
আষার = আষাঢ়
আশক্তি
আশক্তি = আসক্তি
গিতাঞ্জালি
গিতাঞ্জলি = গীতাঞ্জলি
মন্ত্রীসভা
মন্ত্রীসভা = মন্ত্রিসভা
সমাস কাকে বলে? বাংলা ভাষায় সমাসের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করুন।
সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ বা একপদীকরণ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে ।
বাংলাভাষায় সমাসের প্রয়োজনীয়তাঃ
ভাষা সংক্ষিপ্তকরণঃ সমাস ভাষাকে সংক্ষেপ করে। যেমন: মাস্টার সাহেবের ঘরে আশ্রিত জামাই বাষ্প চালিত যানে ঢাকা গেলেন। না বলে সংক্ষিপ্তাকারে আমরা বলতে পারি - মাস্টার সাহেবের ঘরজামাই বাষ্পযানে ঢাকা গেলেন।
নতুন শব্দ গঠনঃ সমাস নতুন নতুন শব্দ গঠন করে। যেমন: জায়া ও পতি মিলে নতুন শব্দ দম্পতি
ভাষার শ্রুতিমধুরতা বৃদ্ধিঃ সমাস ভাষাকে শ্রুতিমধুর, প্রাঞ্জল ও ছন্দময় করে তোলে। যেমনঃ 'রাজা সিংহ চিহ্নিত আসনে বসে আছেন' না বলে ‘রাজা সিংহাসনে বসে আছেন' বললে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয়।
তুলনাকরণঃ দুই পদের মধ্যে তুলনা বোঝাতেও সমাস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন: বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু সহচর শব্দ গঠনঃ সমাসের মাধ্যমে সহচর শব্দ গঠিত হয়। যেমন: সোনা ও রুপা = সোনারুপা ।
কৈ মাছের প্রাণ
কৈ মাছের প্রাণ (সহজে মরে না এমন) - এত অসুখ হওয়ার পরেও লোকটি মরেনি, কৈ মাছের প্রাণ দেখছি ।
মগের মুল্লুক
মগের মুল্লুক (অরাজক দেশ) - এটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছো যে যা ইচ্ছা তাই করবে?
গরিবের ঘোড়া রোগ
গরিবের ঘোড়া রোগ (সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ) - শুনলাম আজকাল তুমি নাকি থিয়েটারে যাচ্ছ? তোমার মতো গরিবের এমন ঘোড়া রোগ হবার কারণ কি?
তাসের ঘর
তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী) - স্বল্প বয়সের করিমের মৃত্যুর কারণে করিমের মায়ের সব স্বপ্ন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে গেলো ।
অক্কা পাওয়া
অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া) - অনেক নির্যাতনের ফলে চোরটা শেষ পর্যন্ত অক্কা পেলো ।
একই গুরুর শিষ্য
একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ
চৈত্র মাসের ফসল
চৈত্র মাসের ফসল = চৈতালি
অক্ষির সম্মুখে
অক্ষির সম্মুখে = চাক্ষুষ
জানার ইচ্ছা
জানার ইচ্ছা = জিজ্ঞাসা
অতি দীর্ঘ নয় যা
অতি দীর্ঘ নয় যা = নাতিদীর্ঘ
Rohingya Crisis
Career Of women
There is no plant life in the deep sea because there is dark, cold and hostile environment.
The fishes and sea-animals live in the deep sea by developing strange forms and habits which help them in their struggle for existence
The dragon-fish swallows its prey six times larger than itself by expanding its stomach
Most of the deep sea fishes produce their own light which illuminates their surrounding and help them to find food.
120/1, Shahjahanpur, Dhaka
15 January 2019
My dear Mominul
Thanks for your letter and it was great to hear from you. It has been quite long since we have met and since our winter vacations have just started I have planned a small tour to Faridpur. Next 20th January, I will be leaving Dhaka and will catch up with you in Savar. All my intimate friends will join us to the tour. You Know, Faridpur is a district in south-central Bangladesh under the part of Dhaka Division. It is one of the oldest districts in Bangladesh. The district is located on the banks of the Padma river. The old name of this area was 'Fatehabad'. Faridpur district is a main administrative unit of Dhaka division after Dhaka. This area is well known because this is the birth place of many saints, political persons and some religious people.
Faridpur have some historical sites to cultural attractions and local attractions which must impress a tourist. Such as- Chaudarashi Zamindar Bari at Sadarpur, Faridpur District Court, Kamarkhali Gorai Bridge, Gerda Shaheb Para, one of the famous poet in Bangladesh Jasimuddin's House, Modhukhali Sugar Mill, Baisrashi Babu Bari Palace, Chandrapara Darber Sharif, Hazrat Shah Farid Mosque, Pathrail Shahi Mosque and Dighi, Basudeva Mandir, Bishwa Zaker Monjil, Mathurapur Temple, etc. We will continue with our tour and our first stop will be Kanaipur Jomidar bari. After that, we will journey towards Kobi Joshim Uddin house, Dholarmor, Faridpur Nodi Gobeshona Institute, Chandra para Dorbar sharif, Bishwa Jaker monjil. We will also be visiting the Modhukhali Sugar mill and many more exciting places.
I know you are a huge fan of nature so this fun-filled trip will provide you with a huge dose of the outdoors. You do not have to worry about anything since I have the accommodation, meals and transportation all planned
I hope you will soon reply to my letter and join me on this trip.
Best Regards,
Niamul
Ushoshi takes ___ her moter.
Ushoshi takes after her moter.
He is blessed ___ a child.
He is blessed with a child.
She has retired ___ bed.
She has retired to bed.
You should abstain ___ smoking.
You should abstain from smoking.
I have no pen to write ----.
I have no pen to write with.
What is the time your watch?
What is the time in your watch?
= What is the time by your watch?
We informed the matter to the police.
We informed the matter to the police.
= We informed the police of the matter.
He is good in health
He is good in health.
= He is in good in health.
He offered me fresh basket of flowers.
He offered me a fresh basket of flowers.
= He offered me a basket of fresh flowers.
I shall discuss about the matter.
I shall discuss about the matter.
= I shall discuss the matter.
In no time
In no time(শীঘ্রই): He reached the bottom of the steps in no time.
come round
Come round (আরোগ্য লাভ): Why don't you come round and see us one evening?
A far cry
A far cry (বিশাল ব্যবধান/পার্থক্য): Life on a farm is a far cry from what I've been used to.
as soon as
As soon as (যত তাড়াতাড়ি সম্ভব): The tree began to decay as soon as it was cut down.
catch sight of
Catch sight of (হঠাৎ দেখা): We catch sight of a small plane circling the mountain.
ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের মূল কারণগুলো হলো-
বায়ুতে সিসা ও কার্বন মনো-অক্সাইড এর মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি। এছাড়াও নাইট্রোজেন অক্সাইড ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড সালফার ডাই-অক্সাইড সহ বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর উপাদান বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য উপাত্তের সমাহার বা সমাবেশকে বলা হয় ডাটাবেস/ডাটাবেজ।
রোবট সোফিয়া হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি রোবট যা মানব আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি সামাজিক যোগাযোগ করতে সক্ষম। রোবট সোফিয়া এর নির্মাতা হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিক্সের কর্ণধার ডেভিড হ্যানসন। হলিউড অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মতো দেখতে। তিনি বাংলাদেশে আসে ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে। সৌদি আরব ২৫ অক্টোবর ২০১৭ সালে তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে ।
অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স হতে যদি ইনস্যুলিন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে Diabetes রোগ হয়। ইনস্যুলিন রক্তের গ্লুকোজকে ভেঙে শক্তি উৎপাদন করে। আর অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স হতে যদি ইনস্যুলিন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ দেহে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা সৃষ্টি করে যাকে Diabetes বলে। রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য Diabetes রোগীকে Insulin দেয়া হয়।
ডেঙ্গু হলো এডিস মশা বাহিত একটি রোগ ।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ: তীব্র জ্বর ও মাথা ব্যথা; শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন: মাংসপেশী, কোমর, অস্থি সন্ধি ইত্যাদিতে প্রচণ্ড ব্যথা; শরীরে র্যাশ উঠা ইত্যাদি ।
নাটোর জেলা ও নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে কম ৷
সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদে সাংবিধানিক প্রাধান্যের বিষয়ে বর্ণিত আছে।
৭। (১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।
(২) জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস্য হয়, তা হলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আইনের খসড়া প্রস্তাবকে 'বিল' বলা হয়।
অর্থ বিল: অর্থবিল বলতে নিম্নলিখিত যে কোন বিষয় সংক্রান্ত বিধিকে বোঝায় ৷
কর আরোপ, কর নিয়ন্ত্রণ, কর রদ বদল, কর মওকুফ বা রহিতকরণ, সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণ বা কোন গ্যারান্টিদান, সরকারের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সংক্রান্ত আইন সংশোধন, সংযুক্ত তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ, অনুরুপ তহবিল থেকে অর্থদান বা অর্থ নির্দিষ্ট-করণ, সংযুক্ত তহবিলের উপর দায় আরোপ বা রহিত-করণ, সরকারি তহবিলে অর্থ প্রাপ্তি, অর্থ রক্ষণাবেক্ষণ বা দান, সরকারের হিসাব-নীরিক্ষা, কোনো জরিমানা বা অন্য কোন অর্থদন্ড আরোপ বা রদবদল, লাইসেন্স ফি বা অন্য কোন কাজের জন্য ফি, স্থানীয় প্রশাসন বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ধার্য-কৃত কর আরোপ বা রদ অথবা রহিতকরণ।
যে কোন শ্রেষ্ঠ ভাষণমাত্রই প্রচণ্ড উদ্দীপনাময়; মুহূর্তে মানুষকে নবচেতনায় জাগিয়ে তুলে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে তাদের প্রস্তুত করতে পারঙ্গম। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে নজিরবিহীনভাবে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্যারিসে অনুষ্ঠিত এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে 'বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা সংস্থাটির 'মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে' অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭০ সালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে ১৯৭০ সালের নির্বাচন যে ভূমিকা রেখেছিলো তার কতিপয় উল্লেখ করা হলো-
পদ্মা নদীর উপর নির্মীয়মাণ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। ২০১৯ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা (প্রাথমিক ভাবে যা ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা)। পদ্মা সেতু নির্মাণের এ বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশীয় অর্থায়নে যোগান দেওয়া হবে। পদ্মা সেতু যোগ করেছে মাওয়া (মুন্সিগঞ্জ) এবং জাজিরা (শরিয়তপুর)। সেতুটির মোট পিলার ৪২টি এবং স্প্যান ৪১টি।
বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য নদীর নাম লিখুন ।
বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য নদীর নাম হলো সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও কর্ণফুলী ।
করতোয়া, হালদা ও গোমতী নদীর উৎপত্তি স্থান ও পতিত মুখের নাম লিখুন ৷
নদীর নাম করতোয়া হালদা গোমতী উৎপত্তিস্থল সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ির বদনাতলী পর্বত শৃঙ্গ ভারতের ত্রিপুরা পাহাড়ের ডুমুর পতিত মুখ কাটাখালি হয়ে বাঙ্গালী নদী চট্টগ্রামের রাউজানে কর্ণফুলী নদী কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মেঘনা নদী
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তিন ধর্মের তীর্থস্থান হিসেবে স্বীকৃত জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণায় ফিলিস্তিনসহ সমগ্র বিশ্ব পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার ফলে ঐ অঞ্চলে যে সকল সমস্যা হতে পারে তা নিম্নরূপঃ
১. এ ঘোষণার ফলে ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ে আরো জোরালো চেষ্টা করবে। ফলে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাবে।
২. ইসরাইলীরা আরো বেশি দমন-নিপীড়ন চালাবে। ফলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে।
৩. এ ঘোষণার ফলে মূলত ঐ এলাকায় চলমান নির্যাতনের স্বীকৃতি দেওয়া হলো ।
এক দেশ বা অঞ্চলকে অন্য দেশ বা অঞ্চলের সাথে বৈশ্বিকভিত্তিতে একীভূত করাকে বিশ্বায়ন বলে। জাতীয় অর্থনৈতিক কাঠামোকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিশ্বায়ন শব্দটি বেশি ব্যবহৃত
হয়ে থাকে।
Free Trade-এর স্বপক্ষের যুক্তিগুলো নিম্নরূপ:
→ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
→ দ্রব্যমূল্যের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
→ ক্রেতা স্বল্প মূল্যে দ্রব্য ক্রয় করতে পারে।
→ বিক্রেতা তার পণ্যের যথাযথ মূল্য পায়।
→ মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ৷
→ বিশ্ব বাজারে টিকে থাকার জন্য উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়
→ উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকে।
→ উৎপাদনের আয় বৃদ্ধি পায় ৷
ইউরো জোন বলতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৯টি সদস্য রাষ্ট্রের একটি মুদ্রা ইউনিয়ন যা তাদের প্রচলিত এবং একমাত্র বৈধ টেন্ডার হিসাবে একক মুদ্রা ইউরো গ্রহণ করেছে । ইউরো মুদ্রার জনক রবার্ট মুন্ডেল । তিনি ১৯৯৯ সালে ইউরো মুদ্রা চালু করলে ১৪টি দেশ ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করে এবং বর্তমান সদস্য দেশ ১৯টি।
ইউরো জোনের আওতাভূক্ত সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯টি।
ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী পাঁচটি দেশের নাম: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ৷
বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত।
বিশ্বব্যাংক বলতে মূলত IBRD কে বোঝায় যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮৯টি। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে।এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডিসিতে।
বিশ্বব্যাংক গঠনের তিনটি উদ্দেশ্যঃ
১. বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন।
২. অনুন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে সাহায্য করা।
৩. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশগুলোকে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সাহায্য করা।
উত্তর কোরিয়া কর্তৃক বর্তমানে যে সামরিক মহড়া চলছে তাতে ঐ অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। যদিও ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ১২ জুন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন এর মধ্যে শাস্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সামরিক মহড়া ও মিসাইল উৎক্ষেপণ শাস্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে, উভয় দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়বে। যার ফলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে এ ধরণের মহড়া শান্তি বিনষ্টের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে । (২০১৯)