‘শিষ্টাচার’
শিষ্টাচার হচ্ছে ভদ্র, মার্জিত ও রুচিসম্মত আচরণ। একজন মানুষ ভালো না মন তা বিবেচিত হয় মূলত সে ব্যক্তির "আচরণ দেখেই। শিষ্টাচার মানুষকে সংযমী ও বিনয়ী করে তোলে। শিষ্টাচারসম্পন্ন ব্যক্তি তার অস্ত্র ও সংযত ব্যবহার দিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে। শিষ্টাচার সম্পন্ন মানুষকে সবাই শ্রদ্ধা করে। তাদের স্থান সমাজের উঁচু স্তরে, হোক সে ব্যক্তি অসুন্দর কিংবা গরীব। একমাত্র শিষ্টাচারই মানুষকে প্রকৃত ম ভূষিত করে। মানুষের সকল মানবীয় গুণের সমন্বয়ে শিষ্টাচার গড়ে ওঠে আর এর প্রকাশ ঘটে মানুষের কথাবার্তা, চলাফেরার মধ্য দিয়ে। কোনো ব্যক্তির আচার আচরণ দেখে একজন মানুষ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। কথা বলার ধরণ, চেহারার অভিব্যক্তি সবকিছুর মধ্য দিয়েই মানুষের রুচি ও স্বভাবের প্রকাশ ঘটে। একজন মানুষের পোশাকের পরিপাট্য ও পরিচ্ছন্নতা, অঙ্গভঙ্গি সবকিছুই শিষ্টাচারের লক্ষণ বহন করে। সৎ পথে থাকা, সত্য কথা বলা, অন্যের মঙ্গলে কাজ কর সবকিছুই শিষ্টাচারের অংশ। এই সবকিছুর মধ্য দিয়েই মানুষের শিষ্টাচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
কোনো মানুষই সর্বগুণ সম্পন্ন নয়। সব কাজ একা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মানুষ একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। একজন মানুষের জীবনে উন্নতির পেছনে অন্য কোনো ব্যক্তির সামান্য সহযোগীতা পালতেই পারে। এক্ষেত্রে একজন উদ্ধৃত ও রুক্ষ আচরণের ব্যক্তির অন্যের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যদিকে একজন মার্জিত ও বিনয়ী আচরণের ব্যক্তি সকলের প্রিয়। তাই তার কোনো কাজে বা বিপদে অন্যের সহমর্মিতা সহযোগিতার অভাব হয় না। একজন শিষ্টাচার সম্পন্ন ব্যক্তি তার সুন্দর ও সংযত আচরণ দিয়ে সহজেই অন্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
আজকের ছাত্র আগামী দিনে জাতির কর্ণধার। তাই একজন ছাত্রের শুধু বিদ্যা অর্জন করলেই চলবে না, তাকে বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলীও অর্জন করতে হবে। একজন খুব ভালো ছাত্র যদি শিষ্টাচার সম্পন্ন না হয় তাহলে সে শিক্ষক কিংবা সহপাঠী কারো কাছ থেকেই ভালোবাসা বা অনুপ্রেরণা পাবে না। উদ্ধত আচরণের কারণে সে সবার কাছে ঘৃণার পার হয়ে উঠবে। ফলে সে শিক্ষাজীবনে পরিপূর্ণ সাফল্য অর্জন করতে পারবে না । শিষ্টাচার একজন ছাত্রকে বিনয়ী ও নম্র করে তোলে যার মাধ্যমে সে সহপাঠী ও শিক্ষকদের হৃদয়ে সহজে স্থান করে নিতে পারে।
মানুষ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে নানা কর্মে নিযুক্ত হয়। শিষ্টাচার একজন মানুষের কর্মজীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে। শিষ্টাচার সম্পন্ন ব্যক্তি সহজেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সদ্যবাদীতা, ন্যায়পরায়ণতা, সাহসিকতা, উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি সবকিছু নিয়েই শিষ্টাচার। একজন শিষ্টাচার সম্পন্ন ব্যক্তি তার কর্মক্ষেত্রে সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করে। যা তার পদোন্নতিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মানুষের জীবনের এক একটি গুণকে এক একটি ফুলের সাথে তুলনা করা যায়। একটির পর একটি ফুল গেঁথে যেমন মালা তৈরি করতে হয় তেমনি মানুষের মানবীয় সকল গুণগুলো যত্ন সহকারে একটির সাথে অপরটির সমন্বয় সাধন করে সবগুলো একত্রিত করলে অর্জিত হয় শিষ্টাচার। শিষ্টাচার হঠাৎ করে কারো মধ্যে গড়ে উঠতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ প্রস্তুতি পর্ব। শিষ্টাচারের বীজ মূলত বপন হয় শিশুকালেই। আর এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা প্রধান। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। পরিবারের বড়রা যেরকম ব্যবহার করে শিশুরা তাই অনুকরণ করে। বাল্যকালে শিশুদের সংযম, বিনয় ও উন্নত রুচির চর্চা ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে শিষ্টাচার গড়ে তোলে।
যে ব্যক্তি শিষ্টাচার অর্জন করতে পারে না, তার মানুষ হয়ে জন্মানোর কোনো সার্থকতা নেই। শিষ্টাচারহীন উদ্ধৃত মানুষ কেবল আকৃতির দিক থেকেই মানুষ, তাদের মনুষ্যত্বের কোনো বিকাশ ঘটে না। ফলে তারা সমাজের চোখে হয়ে থাকে ক্ষুদ্র কীট-পতঙ্গ সদৃশ্য। সমাজ এদের কোনো মর্যাদায় ভূষিত করে না, কুরুচিপূর্ণ এসব মানুষকে ফেলে রাখে আস্থাকুঁড়ে। সমাজে শিষ্টাচারের অভাব নৈতিক অবক্ষয়কে ত্বরান্বিত করে। সমাজজীবন হয়ে উঠে অশান্তিপূর্ণ। নানা কদর্যতা, অন্যায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। ফলে সমাজে বসবাসকারী মানুষরা ভোগে অস্তিত্বের সংকটে। শিষ্টাচারহীনতা একটি দেশ ও জাতির উন্নয়নের অন্তরায়।
সবশেষে বলা যায় যে, শিষ্টাচারসম্পন্ন ব্যক্তির আবেদন সমাজের সব মানুষের কাছেই চিরস্থায়ী, হোক সে ব্যক্তি গরিব কিংবা অসুন্দর। শিষ্টাচারসম্পন্ন ব্যক্তি সহজেই অন্যের মন জয় করে নিতে পারে। বর্তমানে কদর্য ও পঙ্কিলতায় মলিন সমাজ বসবাসের উপযোগী করে তুলতে শিষ্টাচার অত্যন্ত জরুরী। শিষ্টাচার মানুষের ক্ষুদ্র জীবনকে তাৎপর্যময় করে তোলে, মানুষের মন থেকে আত্ম অহংকারের কালিমা মুছে মনকে করে পবিত্র; মনুষ্যত্বের চরম বিকাশ ঘটিয়ে মানুষকে উন্নীত করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় ।
হাড়হদ্দ
হাড়হদ্দ (সবকিছু) = তোমার হাড়হন্দ সবই আমার জানা আছে।
শরতের শিশির
শরতের শিশির (ক্ষণস্থায়ী) = আমাদের বন্ধুত্ব কি শরতের শিশির, যে তোর বিপদের দিনে পালিয়ে থাক?
ঢি ঢি পড়া
ডি ডি পড়া (দুর্নাম রটনা) = তোমার কেলেঙ্কারির কথায় সারা গ্রামে ডি ডি পড়ে গেছে।
তুলসী বনের বাঘ
তুলসী বনের বাঘ(ভন্ড, শয়তান) = নাম শুভ হলে হবে কী, আসলে ও তুলসী বনের বাঘ।
বকধার্মিক
বকধার্মিক (ভন্ড) = তোমার মতো বকধার্মিকের মুখে ধর্মের কাহিনি শোনা পায় ।
পূজক
পূজক = √পূঁজি + ণক (কৃৎ প্রত্যয়)।
ভাস্কর
ভাঙ্কর = ভাঙ্কর = √ভাস্ + বর (কৃৎ প্রত্যয়)
বর্ধমান
বর্ধমান = √বৃধ্ + মান (কৃৎ প্রতয়)
পার্থিব
পার্থিব = পৃথিবী + ষ্ণ (তদ্ধিত প্রত্যয়)।
গুণবান
গুণবান = গুণ + বান্ (তদ্ধিত প্রত্যয়)।
'বাঘকে' ভয় পায় না কে?
বাঘকে ভয় পায়না কে? (অপাদান কারকে ২য়া বিভক্তি)।
'ফেরদৌসী কর্তৃক' শাহনামা রচিত হয়েছে।
ফেরদৌসী কর্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছে (কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি)।
' তাকে' বল।
তাকে বল (কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি)।
' তিলে' তৈল আছে।
তিলে তৈল আছে (অধীকরণে ৭মী)। কিন্তু, তিলে তৈল হয় (অপাদানে ৭মী)।
এ 'অধীনে' দায়িত্বভাব অর্পণ করুন।
এ অধীনে দায়িত্বভার অর্পণ করুন (কর্ম কারকে সপ্তমী বিভক্তি)।
সুন্দরলতা
সুন্দরলতা = সুন্দরী যে লতা (কর্মধারয় সমাস)
মহারাজ
মহারাজ = মহান যে রাজা (কর্মধারয় সমাস)।
নীলবসনা
নীলবসনা = নীল বসন যার (বহুব্রীহি সমাস)।
পঙ্কজ
পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা (উপপদ তৎপুরুষ সমাস)।
অনাচার
অনাচার = ন আচার (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।
প্রত্যূষ
প্রত্যূষ = প্রতি + ঊষ।
সদৈব
সদৈব = সদা + এব
অন্বেষণ
অন্বেষণ = অনু + এষণ।
পরীক্ষা
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা।
ততোধিক
ততোধিক = ততঃ + অধিক
Bangladesh Bank yesterday rolled lout interoperable QR code as a part of its efforts to boost cashless transactions across the country particularly in rural areas.
= সারা দেশব্যাপী, বিশেষ করে গ্রাম এলাকাগুলোতে নগদহীন অর্থ বিনিময়কে চাঙ্গা করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল আন্তঃপরিচালনাযোগ্য একটি QR কোড চালু করে।
The COVID-19 pandemic has caused deep output losses and contributed to a sharp in poverty and unemployment in South Asia.
= কোভিড-১৯ মহামারী দক্ষিণ এশিয়ার উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এবং আকস্মিকভাবে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।