যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ
1.

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

                                                                                                   বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা

প্রকৃতির নন্দনকাননের সৌন্দর্যমন্ডিত কোনো সার্থক চিত্রশিল্পীর নিখুঁত চিত্রকর্মের সঙ্গে তুলনীয়। বদ্বীপ সদৃশ এ বঙ্গভূমির রয়েছে বিচিত্র ভূ-ভাগ এবং সমুদ্র গুনিত বিস্তীর্ণ উপকূল। সমুদ্র তটরেখা ও ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন যা বিদেশি পর্যটকসহ দেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আছে সমান্তরাল ভূমি, পাহাড়-পর্বত, জলপ্রপাত, চা-বাগানের আহামরি দৃশ্য, সবুজ গালিচার মতো শস্য ক্ষেত, মাঠ-প্রান্তর। আর বিশেষ করে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে রূপালি সব ছোটোবড়ো নদী। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণের অভাব নেই। শুধু 'দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া' ......... একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু'। 

অপূর্ব সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশ যার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যের কোনো অভাব নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। সুন্দরবন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের অকৃত্রিম সৌন্দর্য, সিলেটের সবুজ অরণ্যসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত, যা আর পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। ১২০ কিঃমিঃ দীর্ঘ সৈকতটিতে কাদার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না । তাই তো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতের চেয়ে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর রয়েছে অপার সম্ভাবনা। বর্তমানে কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে নেয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড়ে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আকর্ষণে কক্সবাজারে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে বর্তমান সরকার। প্রতি বছর এতে বাড়তি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ তিনটি ট্যুরিজম পার্ক হল সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক। 

সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এর মোট বনভূমির ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে সঙ্গে এ বনের জীববৈচিত্র্য এটিকে পৃথিবীর অন্য যে কোনো পর্যটন কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্ররূপে উপস্থাপন করেছে। সুন্দরবনকে জালের মতো জড়িয়ে রেখেছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, খাল, শত শাখা নদী, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। সুন্দরবনের নামের সঙ্গে যেই বিষয়টি নিবিড়ভাবে জড়িত, তা হল বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বনভূমিটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানা ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির, ডলফিন ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল যা পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে অধিক পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম মূলত তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের মূল উপকরণ হল পাহাড়ে ঘেরা সবুজ প্রকৃতি যা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে পর্যটকদের কাছে ধরা দেয়। এটি যেন ক্ষণে ক্ষণে প্রকৃতির রূপ বদলানোর খেলা। এখানে শীতে যেমন এক রূপ ধরা দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে, ঠিক তেমনি বর্ষায় অন্য এক রূপে হাজির হয়। শীতে পাহাড় কুয়াশা আর মেঘের চাদরে যেমন ঢাকা থাকে, তার সঙ্গে থাকে সোনালি রোদের মিষ্টি আভা। আবার বর্ষায় চারদিক জেগে ওঠে সবুজের সমারোহ। এ সময় প্রকৃতি ফিরে পায় আরেক নতুন যৌবন। বর্ষায় মূলত অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিস্টদের পদচারণা সবচেয়ে বেশি থাকে এ পার্বত্য অঞ্চলে। তখন এখানে ঝরনা, হ্রদ কিংবা নদীপথগুলো নতুন রূপে সেজে ওঠে যা দেখার জন্য অসংখ্য পর্যটক এখানে ভিড় করেন। এর সঙ্গে আছে পাহাড়ের মানুষের ভিন্নধর্মী জীবনাচরণ যা আমাদের চেয়ে অনেকটা আলাদা। 

নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল। এ শহরে রয়েছে উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান। এ অঞ্চলে আসা পর্যটকদের মন জুড়ায় সৌন্দর্যের রাণী খ্যাত জাফলং, নীলনদ খ্যাত স্বচ্ছ জলরাশির লালাখাল, পাথর জলের মিতালিতে বয়ে যাওয়া বিছনাকান্দির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, পাহাড় ভেদ করে নেমে আসা পাংথুমাই ঝরনা, সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল, মিনি কক্সবাজার' হাকালুকি এবং কানাইঘাটের লোভাছড়ার সৌন্দর্য।

বাংলাদেশের হাওর অঞ্চল পর্যটনের আরেক সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এ সাতটি জেলার ৭ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে ৪২৩টি হাওর নিয়ে হাওরাঞ্চল গঠিত। হাওর অঞ্চলের সাগরসদৃশ বিস্তীর্ণ জলরাশির এক অপরূপ মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা নৌকায় বসে বিস্তীর্ণ নীল জলরাশির মায়ায় ভেসে বেড়াতে পারেন। হাওরের কোলঘেঁষে থাকা সীমান্ত নদী, পাহাড়, পাহাড়ি ঝরনা, হাওর-বাঁওড়ের হিজল, করচ, নল, খাগড়া বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নানা প্রজাতির বনজ, জলজপ্রাণী আর হাওর পারের বসবাসকারী মানুষের জীবন-জীবিকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার মতো খোরাক মিলবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের। 

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিরাজমান। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমরা পর্যটন শিল্পে পিছিয়ে আছি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সবপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার- প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ
2.

যুক্তি, প্রযুক্তি ও নৈতিকতা

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago
যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ
3.

আমার মা

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago
যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ
4.

বাংলাদেশের সামাজিক উৎসব

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago
যেকোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ
5.

নদীতীরে ঘাট

Created: 3 months ago | Updated: 1 week ago

প্রথাগত ব্যাকরণে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দসমূহকে একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়। উৎস বা উৎপত্তি অনুসারে বাংলা শব্দভান্ডারকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। 
এগুলো হলোঃ তদ্ভব শব্দ (যেমনঃ হাত, পা, মাথা, কান), অর্ধতৎসম শব্দ (যেমনঃ গিন্নি, জোছনা, নেমন্তন্ন); তৎসম শব্দ (যেমনঃ চন্দ্র, সূর্য, হস্ত); দেশি শব্দ (যেমনঃ পেট, ঢেঁকি, কুলা); বিদেশি শব্দ (যেমনঃ কাগজ, খাতা চেয়ার, আনারস)।

যেকোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিন:
7.

`বৃক্ষ' শব্দের পাঁচটি সমার্থক শব্দ লিখুন?

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

'বৃক্ষ' শব্দের ৫টি সমার্থক বা প্রতিশব্দ হলো- গাছ, তরু, বিটপী, পাদক, মহীরুহ।

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

৫টি উপসর্গঃ

উপসর্গকার্নিমখাসালাফুল
শব্দের উদাহরণকারখানানিমরাজিখাসমহললাপাত্তাফুল-হাতা

বানান শুদ্ধ করুনঃ
9.

শশান

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

শ্মশান = শ্মশান। 

বানান শুদ্ধ করুনঃ
10.

বিদ্যান

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

বিদ্যান = বিদ্বান

বানান শুদ্ধ করুনঃ
11.

পুরুস্কার

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

পুরুস্কার = পুরস্কার

বানান শুদ্ধ করুনঃ
12.

প্রতিদ্বন্দীতা

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

প্রতিদ্বন্দীতা = প্রতিদ্বন্দ্বিতা

বানান শুদ্ধ করুনঃ
13.

আনাহত

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

আনাহত = অনাহুত; অনাহত।

অর্থ নির্দেশ করে বাগধারা দিয়ে বাক্য রচনা করুনঃ
14.

শাপে বর

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

শাপে বর (অনিষ্টে ইষ্ট লাভ) = তার অপকার করতে গিয়ে বরং হাজার টাকা লাভ হলো, একেই বলে শাপে বর।

অর্থ নির্দেশ করে বাগধারা দিয়ে বাক্য রচনা করুনঃ
15.

দক্ষিণ হস্তের ব্যাপার

Created: 3 months ago | Updated: 1 week ago

দক্ষিণ হস্তের ব্যাপার (ভোজন) = দক্ষিণ হস্তের ব্যাপারটা এখনও সারা হল না?

অর্থ নির্দেশ করে বাগধারা দিয়ে বাক্য রচনা করুনঃ
16.

ঘুণাক্ষর

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

ঘুণাক্ষর (সামান্য ইঙ্গিত) = এমনভাবে কাজটা করবে যেন ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে না পারে।

অর্থ নির্দেশ করে বাগধারা দিয়ে বাক্য রচনা করুনঃ
17.

গুড়ে বালি

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

গুড়ে বালি (আশায় নৈরাশ্য) = সরকারি চাকরি পাওয়াটা আমার জন্য গুড়ে বালি নয়।

অর্থ নির্দেশ করে বাগধারা দিয়ে বাক্য রচনা করুনঃ
18.

নয় ছয়

Created: 3 months ago | Updated: 2 weeks ago

নয় ছয় (অপব্যয়) = অযোগ্য লোকের হাতে পড়ে ব্যবসার টাকা নয় ছয় হয়ে গেল।

সৃষ্টির প্রথম থেকেই সৃষ্টিকর্তা জীবের আবেদন-নিবেদনের প্রতি অমনযোগী নন। আজও ঠিক তেমন-ই আছেন। কোন কালেই তিন তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিরূপ হন না।

তারিখঃ ০৯.০২.2021 
পরিচালক 
রিসেন্ট পাবলিকেশন্স লিমিটেড 
৪০, বাংলাবাজার 
ঢাকা-১১০০ 

বিষয়ঃ ভিপি ডাকযোগে বই পাঠানোর অনুরোধ। 

জনাব, 
শুভেচ্ছা নেবেন। অনুগ্রহপূর্বক আপনাদের প্রকাশিত নিচের তালিকাভুক্ত বইগুলো এক কপি করে নিম্নবর্ণিত ঠিকানায় ভিপি ডাকযোগে পাঠিয়ে বাধিত করবেন। এই সঙ্গে আগাম হিসেবে ১,০০০ টাকা মানি অর্ডার করে পাঠালাম। বই পাওয়ার পর বাকি টাকা পরিশোধিত হবে। আপনার ব্যবসায়ের উন্নতি হোক। ধন্যবাদান্তে 

বিনীত নিবেদক 
সোহেল হোসেন 
প্রথম বর্ষ (বাণিজ্য শাখা) রোল নং ১৫ 
রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, রাজবাড়ী। 
প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকাঃ 
০১. জলাঙ্গী : শওকত ওসমান। 
০২. উপমহাদেশ : আল মাহমুদ। 
০৩. হাঙর নদী গ্রেনেড : সেলিনা হোসেন। 
০৪. নিষিদ্ধ লোবান : সৈয়দ শামসুল হক। 
০৫. রাইফেল রোটি আওরাত : আনোয়ার পাশা।

সিংড়া, নাটোর
০৯-০২-২০২১

প্রিয় পল্লব বর, 
তোমার বাবার মৃত্যুর মর্মান্তিক সংবাদ বহন করে আসা চিঠিটি পেয়ে আমি স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করছি, একইসঙ্গে তোমার বেদনাহত মুখখানিও আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমার মনের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুভব করলাম পিতৃবিয়োগের ঘটনাটি তোমার জন্যে কতখানি দুঃখের এবং বেদনার। এত তাড়াতাড়ি তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা যে আমি ভাবতেও পারিনি। কিন্তু মৃত্যু কাউকে বলে কয়ে আসে না বলে চিরন্তন এ সত্যকে মেনে নিতেই হয়। তাছাড়া তুমি তো জানো, 'সকল প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিতে হইবে' এটাও চিরন্তন সত্য। তাই ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া কী-ই বা করার আছে। বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করাই প্রতিটি মানুষের জন্যে মঙ্গলজনক। পরম করুণাময়ের কাছে শুধু এটাই দোয়া করছি, তুমি যেন জীবনের এই বুক-ভাঙা ঘটনার শোক কাটিয়ে উঠতে পারো। 

বন্ধু, এই চরম বিপদের দিনে তোমাকে ভেঙে পড়লে চলবে না। একদিন সবাইকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। জীবনের এই চরম সত্যকে উপলব্ধি করে তোমার মনোবল বৃদ্ধি করো। দোয়া করি, দ্রুত তুমি তোমার দুঃখ বেদনাকে অতিক্রম করে পড়াশোনায় মন দিতে পারবে। আমি তোমার আব্বার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। আব্বু-আম্মুও এ ঘটনা জেনে খুবই মর্মাহত হয়েছেন। আমাকে নিয়ে আগামী শুক্রবারেই আব্বু তোমাদের দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তুমি ভালো থাকো।

ইতি
তোমারই
প্রতাপ বর

প্রেরক:
নাম: প্রতাপ বর
ঠিকানা: বেলোয়া, রনবাঘা, সিংড়া, নাটোর
প্রাপক:
নাম: পল্লব বর
ঠিকানা: সাভার, ঢাকা।

Related Sub Categories