আধুনিক সভ্যতায় ইন্টারনেট
ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন, তা এর বাস্তবের ব্যবহারিক রূপের তুলনায় অতি সামান্যত বলা হবে। জনসাধারণের মধ্যে আবির্ভাবের শুরুতে প্রথম প্রথম বিশেষত তথ্যের আদান-প্রদান করার জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার হত। তারপর দিন যত এগিয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের বহুমুখিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে।
আজ পৃথিবীতে ইন্টারনেটের ব্যবহার এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে একে মানুষের বেঁচে থাকার এক অন্যতম প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করার সময় হয়েছে বলে অনেক সমাজ বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তাদের মতে, ইন্টারনেট হলো আমাদের আধুনিক সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এক প্রযুক্তি যা ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল কাজই অসম্পূর্ণ। আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে শিক্ষা, ব্যবসা, যোগাযোগ, ব্যাংকিং, চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের একান্ত প্রয়োজনীয়তা আজ বিদ্যমান। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবস্থা মাত্র এক মিনিটের জন্য বঙ্গ হলে পৃথিবীকে যে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তা কল্পনাতীত। ইন্টারনেটের সেই গভীর জটিল ব্যবহারিক প্রয়োগের মধ্যে না ঢুকে, প্রতিদিনের জীবনে এর কিছু সাধারণ ব্যবহার সংক্ষেপে আলোচনার চেষ্টা করা হলো।
শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমানে সর্বজনবিদিত। ইন্টারনেটের চরিত্র বিশ্লেষণ করলেই এর কারণ সহজে অনুধাবন করা যায়। ইন্টারনেট হল তথ্যের এক সুবিশাল ভান্ডার। সেই তথ্যভান্ডার থেকে যেকোনো প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক তথ্য খুব সহজেই পাওয়া যায়। তাই এই মাধ্যম পৃথিবীর যে কোন মানুষের কাছে মহাজ্ঞানী এক শিক্ষক রূপে নিমেষেই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারে। এছাড়া প্রথাগত শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের ফলে ফর্ম পূরণ, ফল প্রকাশ, নোটিশ প্রদান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
অনলাইন এডুকেশনঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক অবদান হল অনলাইন এডুকেশন সিস্টেম। এ ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসেই সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা লাভ আজ সম্ভবপর হচ্ছে। তাছাড়া অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীতে বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ প্রতিকূল সময়েও শিক্ষাকে মানুষের কাছে অতি সহজে পৌঁছে দিতে সাহায্য করছে।
তথ্য আদানপ্রদানেঃ বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট তথ্যের আদান-প্রদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিল এর এর জন্মলগ্নেই। প্রথমে প্রতিরক্ষা এবং পরে সর্বসাধারণের জন্য তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ সমস্ত চিরাচরিত রীতিকে ভেঙে এক সরল এবং অত্যন্ত সুবিধাজনক ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটিয়েছে। ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল হল তারই সামান্য এক নমুনা। ই-মেইলের মাধ্যমে এক মুহূর্তে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ন্যূনতম খরচে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভবপর হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াঃ তথ্যের আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সর্বাধুনিক অবদান হল সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে তথ্যের আদান-প্রদান তথা যোগাযোগব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের সঙ্গে চ্যাটিং ভিডিও কল ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
বিনোদনে: বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষ আজ প্রতিদিনকার বিে ইন্টারনেটকেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে থাকে। বিনোদনের সমস্ত উপাদানই ইন্টারনেটকে কাজে উপভোগ করা সম্ভব। যেমনঃ রেডিও, ভিন্ন ভিডিও গেম, ম্যাগাজিনে ইন্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে OTT প্ল্যাটফর্মের কথা আজ সর্বজনবিদিত। ইউটিউব, নোটক্লিক্স, হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম এর OTT প্লাটফর্ম আর স্বল্প খরচে মানুষের কি এনে হাজির করেছে। এই বা ভিত্তি করে গড়ে अনুষের জীবন জী পৃথিবীর বিভিন্ন পারে পুতিয়ে থাকা বিি প্রতিভা এই মাধ্যমের ব্যবহারে নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে।
ব্যবসা বাণিজ্যে: ইন্টারনেট ব্যবসা বাণিজ্যকে দিয়েছে এক নতুন দিশা। বাবসা এখন অনলাইনে। প্রয়োজনের সব কিছু কেনা থেকে হোটেল বুকিং, গাড়ি বুকিং, খাওয়ার অর্ডার বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট বহুল ব্যবহৃত ।
ই-শপিং: ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ই-শপিং এর ধারণা প্রসার লাভ করেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই এই ব্যবস্থ লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণিকে বাদ দিয়ে তুলনামূলকভাবে স্বল্প দামে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া পুরনো জিনিস বেচাকেনা, অনলাইন রিক্রুটমেন্ট এর ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। শুধুমাত্র এই ইন্টারনেটকে ভিত্তি করেই বর্তমান যুগে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ও বাণিজ্য, যা আবারও অন মানুষের জীবন ও জীবিকা অর্জনে সহায়তা করছে প্রতিনিয়ত। ইন্টারনেটের ব্যবহারকে শুধুমাত্র এই কটি গণ্ডির মধ্যে ফেললেই তা সমাপ্ত হয় না। এই মাধ্যমের ব্যবহার এবং ব্যপ্তি বহুমুখী। এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক দৃষ্টির অগোচরে থেকে ইন্টারনেট প্রতিদিন বিশ্ব পরিচালনায় এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যায়।
ইন্টারনেটের অপব্যবহারঃ সবকিছুর মতো ইন্টারনেটেরও ভালো এবং খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। দিন দিন ক্র ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়েছে এর অপব্যবহার। এই প্রযুক্তির জন মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে হলেও এর অপব্যবহারকে সম্পূর্ণ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনলাইন বিনোদনের প্রতি অত্যন্ত আসক্তি শিশুদের শৈশবকে আজ বহুমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাছাড়া ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার শিশুদের নিরাপত্তাকেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুরি হচ্ছে ব্যাক্তিগত তথ্য। ভুল খবর ছড়িয়ে পড়েছে মুহূর্তেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কোন তারিখ?
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার হতে ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মুক্তি লাভ করেন এবং ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন।
বঙ্গবন্ধু রচিত ২টি গ্রন্থের নাম লিখুন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ২টি বই 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' এবং "কারাগারের রোজনামচা'।
২টি সার্চ ইঞ্জিন এর নাম লিখুন?
২টি সার্চ ইঞ্জিন এর নাম গুগল (Google) এবং ফায়ারফক্স (Mozila Firefox).
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কী?
হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের যাবতীয় যন্ত্রপাতিকে হার্ডওয়্যার বলে। যেমনঃ মনিটর, কী-বোর্ড, মাউস, প্রিন্টার ইত্যাদি।
সফটওয়্যার: কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগানোর জন্য তৈরি বিভিন্ন প্রোগামকে সফটওয়্যার বলা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
গীতাঞ্জলী' গ্রন্থটির জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।