মনের কথা লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সকল সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে বর্ণ বলে।
বাংলা বর্ণ দুই প্রকার; যথা স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমনঃ অ, আ, ক, খ
সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধি দুই প্রকার যথা : স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি ।
লঘুৰ্মি
লঘুৰ্মি = লঘু + ঊর্মি ।
নাতবৌ
নাতবৌ = নাতি + বৌ ।
তদন্ত
তদন্ত = তদ্ + অন্ত ।
বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দকেই পদ বলে ।
পদ মোট ৫ প্রকার; বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া ।
ধাত্রী
ধাত্রী = ধাতা
সুকেশ
সুকেশ = সুকেশা, সুকেশী, সুকেশিনী
অরণ্য
অরণ্য = অরণ্যানি
গরিয়সী
গরিয়সী = গরীয়ান ।
যে সকল শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণির সংখ্যা বুঝায়, তাদেরকে বচন বলে ।
বচন দুই প্রকার। যথা: একবচন ও বহুবচন। একবচন : যে সকল শব্দ দ্বারা একটি মাত্র ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায় তাকে একবচন বলে। বহুবচন: যে সকল শব্দ দ্বারা একাধিক ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায়
তাকে বহুবচন বলে ।
একটি সমাপিকা ক্রিয়া ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া মিলিত হয়ে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে ।
মানবসভ্যতা বিকাশে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি। সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। তাই নারী ও পুরুষ চিরকালের সার্থক সঙ্গী। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সমাজের বা জাতির উন্নতির জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীরও যে বরাট ভূমিকা রয়েছে তা অনস্বীকার্য।
যে সমাজের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নারী সে সমাজে নারীকে উপেক্ষা করে কোনো প্রকার উন্নতি সাধন করা সম্ভব নয়। তাদেরকেও সব কাজে সমদায়িত্ব নিতে হবে। ইসলাম ধর্ম সমাজে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এবং শিক্ষার অধিকারসহ সকল অধিকার দান করেছে। সারা বিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও কঠিন কর্তব্য সম্পাদন ও দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে । ঘরে ও বাইরে তারা কর্মমুখর জীবনের স্বাদ লাভ করছে। পারিবারিক জীবনে তারা সুখ-শান্তির মাধ্যমে পুরুষের জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তোলে। এতে পুরুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জাতীয় জীবনে উন্নতির পথ প্রশস্ততর হয়। সেই সাথে নারীসমাজ পুরুষের সঙ্গে জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সমাজ জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই নারীসমাজ পিছিয়ে নেই। জীবনের সর্বত্র নারীর অবদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু পারিবারিক জীবনেই নয়, কর্মজীবনেও নারী জাতি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। মানুষ এখন এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে মেনে নিয়েছে যে, মানব সভ্যতা গড়ার পেছনে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ফলে নারীর মর্যাদাও পুরুষের সমপর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। কাউকে বাদ দিয়ে কেউ এককভাবে কৃতিত্বের দাবিদার নয় ।
পুরুষের শৌর্য-বীর্য আর নারী হৃদয়ের সৌন্দর্য, প্রেম-ভালোবাসার সম্মিলনেই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে। তাই নারী, পুরুষের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়েই কেবল পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব।
Boiled rice is our staple food. It is served with a variety of vegetables, curry, lentil soups, fishs and meat. Fish is the main source of protein, Fishes are now cultivated in ponds. Also, we have fresh-water fishes in the lakes and rivers.
= সিদ্ধ চাল আমাদের প্রধান খাদ্য। এটি বিভিন্ন শাক-সবজি, তরকারি, মশুর ডাল, মাছ এবং মাংসের সাথে পরিবেশন করা হয়। মাছ হচ্ছে প্রটিনের প্রধান উৎস। বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। এছাড়াও নদীতে এবং হ্রদে আমাদের মিঠা পানির মাছ আছে।