খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্যই শুধু হুমকি নয় জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্যও হুমকি। দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে বিদেশী কোম্পানির হাইব্রিড ও জিএমও বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থা এবং কৃষকদের বিদেশী এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানির হাতে জিম্মি করে ফেলা হচ্ছে; অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণ ও বাছ-বিচারহীনভাবে রাসায়নিক সার, পেস্টিসাইড, ফাঙ্গিসাইড, হার্বিসাইড তথা বিষ ব্যবহারের মাধ্যমে মাটি, পানি, বাতাস, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সারাবিশ্ব যখন রোগবালাই ও জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন নতুন ঝুঁকি, কৃষিজমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বকে আগামী শতকের বাসযোগ্য রাখতে অর্গানিক ফার্মিং, জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার ও রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে উঠেছে, বাংলাদেশে তখন অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কীটনাশক। পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা মূল্যায়ন ছাড়াই বর্তমানে বাংলাদেশে ৪ হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের নানাজাতের কীটনাশক আমদানি ও ব্যবহার হচ্ছে। প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশে প্রায় সাড়ে ৬০০ কীটনাশক ব্র্যান্ডের নিবন্ধন রয়েছে, যেগুলোকে জনস্বাস্থ্য বান্ধব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এসবের কোনোটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই আমদানি ও ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। পানি, বায়ু, মাটি দূষণের ফলে দেশের কোটি কোটি মানুষ ইতিমধ্যে খাদ্যচক্রে বিষক্রিয়ার শিকার। কীটনাশক আকারে অপরীক্ষিত উচ্চমাত্রার রাসায়নিক বিষ ফসলি জমিতে ব্যবহারের ফলে অল্পদিনের মধ্যে মাটির উর্বরতা যেমন নষ্ট হচ্ছে, একইভাবে কীটনাশক বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে নদ-নদী ও জলাশয়ের পানির গুণাগুণ নষ্ট করে দিচ্ছে। এর ফলে ইতিমধ্যেই দেশী প্রজাতির মাছ ও পোকামাকড়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। জনস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত প্রভাব ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে অগ্রাহ্য করে শুধু কীটনাশক প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যাবলীর ওপর নির্ভর করে সরকার কীটনাশক আমদানি, বিপণন ও ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে যা আমাদের সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দেশের জীববৈচিত্র্য, কৃষি, জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কীটনাশক আমদানি ও ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বিকল্প হিসেবে পরিবেশ সহনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে তুলতে হবে।
যে গাছ একবার ফল দিয়ে মারা যায়
যে গাছ একবার ফল দিয়ে মারা যায় = ওষধি।
একই গুরুর শিষ্য যারা
একই গুরুর শিষ্য যারা = সতীর্থ।
নিজকে পন্ডিত মনে করে যে
নিজকে পন্ডিত মনে করে যে = পন্ডিতস্মন্য ।
শোনা মাত্র যিনি মনে রাখতে পরেন
শোনা মাত্র যিনি মনে রাখতে পরেন = শ্রুতিধর।
পরের অন্নে জীবন ধারণ করে যে
পরের অন্নে জীবন ধারণ করে যে = পরান্নজীবী