ভোগে নয়, কর্ম সম্পাদনই প্রকৃত সুখ
ভাব-সম্প্রসারণঃ জীবনের পরিপূর্ণ সার্থকতার পেছনে রয়েছে সমষ্টিগত সহযোগিতা। জীবনের সার্থক বিকাশ ও পরিপূর্ণ সফলতার জন্য সকলের সঙ্গে সহযোগিতা মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাতে হবে । কাউকে পেছনে ঠেলে একা সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা অনুচিত।
মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, সেহেতু সমাজ জীবনে মানুষ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, ফলে পরস্পরের সহযোগিতা ছাড়া কেউ চলতে পারে না। কিন্তু সমাজে এক শ্রেণির মানুষ রয়েছে, যারা স্বার্থবুদ্ধি, সঙ্কীর্ণতা ও অনুদারতাবশত অন্যদের কথা না ভেবে, তাদের পেছনে ফেলে রেখেই এগিয়ে যেতে চায় । সে শুধু নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার হীনপ্রয়াসে ব্যস্ত থাকে, ব্যস্ত থাকে নিজের উন্নতি বিধানে । মানুষ যখন নিজের স্বার্থকে প্রধান্য দেয় তখন অপরের ক্ষতি সাধনে তৎপর হয়, অন্যেরর বড় হওয়ার পথেও বাধার সৃষ্টি করে। ফলে ব্যাক্তি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা জাতির অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে রাখে। তাছাড়া বঞ্চিত ও অবহেলিত শ্রেণির মধ্যে ধূমায়িত অসন্তোষ অনেক সময় বিদ্রোহ- বিপ্লবে রূপ নেয়। কারণ, যাকে নিচে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় প্রকৃত অর্থে এই এগিয়ে যাওয়াটা নিষ্কন্টক নয়। বস্তুত কাউকে নিচে ফেললে সে নিচ থেকে আটকে রাখে । তখন ওপরে ওঠার সুযোগ থাকে না। তেমনি কাউকে পেছনে ফেললে সে পেছন থেকে টেনে ধরে। তখন সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায় না। তাই টানাটানি যদি পরিহার করা যায় তাহলে উভয়ের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। সুতরাং কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া
সম্ভব। এর মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত ।
একা বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যায় না। সেজন্য সকলকে সুযোগ দিতে হবে, সকলের জন্য ভাবতে হবে। 'আগে-পিছে'র প্রতিযোগতায় না গিয়ে সবাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেননা সকলের সম্মিলিত উদ্যোগের ফলে শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়, লক্ষ্য অর্জনে সফল হওয়া যায়।
যারে তুমি নিচে ফেল , সে তোমারে বাঁধিবে নিচে পশ্চাতে রেখছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।
নৈসর্গিক এর বিপরীত শব্দ কী?
নৈসর্গিক এর বিপরীত শব্দ কৃত্রিম ।
সন্ধি বিচ্ছেদ করুন: পরীক্ষা
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা।
‘জয়ের জন্য যে উৎসব' এক কথায় কী হবে?
‘জয়ের জন্য যে উৎসব' এক কথায় জয়োৎসব।
‘আমি সাক্ষী দিয়েছি’ বাক্যটির শুদ্ধরূপ লিখুন
‘আমি সাক্ষী দিয়েছি'
= আমি সাক্ষ্য দিয়েছি।
‘খাল কেটে কুমির আনা’ বাগধারা এর অর্থসহ বাক্য লিখুন।
খাল কেটে কুমির আনা' ( নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনা ) বাক্যঃ মিলি বখাটে ছেলেটার সাথে বিবাদ করে যেন খাল কেটে কুমির এনেছে।
‘এত শঠতা, এত যে ব্যথা
তবু যেন তা মধুতে মাখা।' এই বাক্যে 'মধুতে' কোন কারক? → করণ কারক ।
‘এত শঠতা, এত যে ব্যথা তবু যেন তা মধুতে মাখা।' এই বাক্যে ‘মধুতে’ করণ কারক ।