জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জামালপুর || অফিস সহায়ক (13-05-2022) || 2022

All

সকল বিষয়

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ।

সংক্ষেপে উত্তর দিন:
2.

শাহনামা এর লেখক কে?

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

শাহনামা পারস্যের (বর্তমান ইরান) কবি ফেরদৌসীর দ্বারা লিখিত একটি দীর্ঘ মহাকাব্য ।

Created: 3 months ago | Updated: 16 hours ago

‘ঞ্ছ’ যুক্ত বর্ণে ঞ + ছ বর্ণ আছে।

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

‘পরিচ্ছেদ' এর সন্ধি বিচ্ছেদ পরি + ছেদ।

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

একাদশে বৃহস্পতি' এর অর্থ সৌভাগ্যের বিষয় ।

সংক্ষেপে উত্তর দিন:
6.

‘অপলাপ’ শব্দের অর্থ কী?

Created: 3 months ago | Updated: 13 hours ago

অপলাপ' শব্দের অর্থ  অস্বীকার ।

Created: 3 months ago | Updated: 18 hours ago

‘বীর’ শব্দের বিপরীত লিঙ্গ বীরাঙ্গনা ।

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ।

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

‘যে জমিতে ফসল জন্মায় না' তাকে এককথায় উষর বলে।

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

গঠনভেদে শব্দ ২ প্রকার। এ দুটি হলোঃ মৌলিক শব্দ এবং সাধিত শব্দ। উল্লেখ্য, অর্থমূলক শ্রেণিভেদে ৩ প্রকার। এই ৩টি হলোঃ যৌগিক, রূঢ়ি এবং যোগরূঢ়। উৎসমূলক শ্রেণিভেদে ৫ প্রকার । এগুলো হলোঃ তৎসম, অর্ধ-তত্মম, তদ্ভব, দেশি এবং বিদেশ ।

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে

মূলভাবঃ কথা না, কাজেই মানুষের পরিচয়। বড় বড় কথা বললে বড় হওয়া যায় না, বড় হতে হলে মহৎ কর্ম করতে হবে ।

সম্প্রসারিত ভাবঃ সমাজ-সভ্যতা বিকাশের জন্য কর্মের প্রয়োজন । মহৎ কিছু কর্ম দ্বারা দেশ ও জাতির উন্নয়ন সম্ভব। এ মহৎ কর্ম সাধনের জন্য আমাদের প্রয়োজন সৎ কর্মীর। কিন্তু আমাদের সমাজে সৎ কর্মীর খুব অভাব। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা মুখে অনেক বড় বড় আওড়ায় কিন্তু কোনো কাজ করে না। তারা বুলি দ্বারা বিশ্ব জয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কোনো প্রচেষ্টা নেই, উপরন্তু অন্যের কাজের সমালোচনা করে। এ ধরনের মানুষ সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তারা নিজেরাও কাজ করে না, অপরদিকে সৎ কর্মীদের কাজের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যদি তারা নিজে কাজ করত বা অন্যের কাজের সহায়তা করত তবে দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হতো। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের উন্নতির পেছনে রয়েছে কর্মীর প্রচেষ্টা। মহামানবেরা কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে রেখে গেছেন। তারা বন্ধু আশার বাণী শোনাননি, তারা কর্ম ও নিষ্ঠার সমন্বয় ঘটিয়ে সৎ কর্ম সাধন করেছেন। বিশ্বের মানুষ তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। আমাদের উচিৎ তাদের পথ অনুসরণ করা। নিজেকে কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা। সমাজের প্রতিটি মানুষের ভালো কিছু কর্ম ছাড়া সৃষ্টি হয় একটি সুন্দর সমাজ। তাই আমাদের কর্মে মনোনিবেশ করতে হবে।

পরিবেশ দূষণ

ভূমিকাঃ আকাশ, বাতাস, জল, উদ্ভিদজগত, প্রাণীজগত সবকিছু নিয়ে আমাদের পরিবেশ। এগুলির কোনোটিকে বাদ দিয়ে আমরা বাঁচতে পারি না। মানুষ তার বিদ্যা, বুদ্ধি দিয়ে এবং অনলস পরিশ্রমে তার চারপাশের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে সাজিয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বেশি মণিমানিক্য সংগ্রহ করে মানুষ উষর মরুভূমির বুকেও ফুটিয়েছে সোনালী ফসল। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আর স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষের লোভে প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ নানান ভাবে দূষিত হচ্ছে। যেমনঃ বায়ু, জল, মাটি, শব্দ ইত্যাদি দূষণের ফলে মানুষের জীবনেও এসেছে নানা রকম দূরারোগ্য ব্যাধি ।

বায়ুদূষণ ও মানবজীবনে তার প্রভাবঃ আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম ও প্রধান হলো বায়ু বা বাতাস যা ছাড়া প্রাণীজগত এক মুহূর্ত ও বাঁচতে পারে না। বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হল নিউক্লীয় আবর্জনা, কয়লা পুড়িয়ে কার্বন-ডাই অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া, কলকারখানার দূষিত গ্যাস, যানবাহনের জ্বালানি পোড়া গন্ধ বাতাসে মিশে বাতাস দূষিত হচ্ছে। দূষণের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হতে হচ্ছে।

জলদুষণ ও তার প্রতিক্রিয়াঃ জলের আর এক নাম জীবন। জল ছাড়া কোনো জীব বাঁচে না। অথচ সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কলকারখানার সংখ্যা বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সেই কলকারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থমিশ্রিত জল নদীর জলে মিশে নদীর জলকে দূষিত করছে। এছাড়া শহরের সমস্ত নর্দমার জল ও নদীতে পড়ে নদীর জলকে দূষিত করছে। ফলে জলবাহিত রোগের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবাহিত রোগে আজ মানুষ বড় বিপন্ন ৷

শব্দদূষণ ও তার প্রতিক্রিয়াঃ কলকারখানার উচ্চশব্দ, যন্ত্রচালিত গাড়ির হর্ন, বাজি-পটকার শব্দ মাইক্রোফোনের আওয়াজে মানুষের শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানসিক বিপর্যয়, রক্তচাপ বৃদ্ধি, স্নায়বিক অস্থিরতা ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি করছে।

মাটিদূষণঃ বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে সবুজবিপ্লব এসেছে। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে জমিতে নানা প্রকারের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, এর ফলে মাটি দূষিত হচ্ছে। সারা বছর জমিতে সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বহু নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর গতিকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে, এতে একদিকে যেমন নদীর জল দূষিত হচ্ছে অপরদিকে মৃত্তিকা দূষণ ও হচ্ছে। রাসায়নিক সার দ্বারা প্রস্তুত কৃষিজাত সামগ্রী থেকে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। 

পরিবেশ দূষণের প্রতিকারঃ পরিবেশ দূষণ আজ সারা পৃথিবীর একটি বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। সব রকম দূষণ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে একমাত্র উদ্ভিদ। সবুজ উদ্ভিদ বা গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় গাছ বাতাস থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আর বাতাসে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। যে অক্সিজেন প্রাণীজগতের বাঁচার জন্য অপরিহার্য্য । তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকবে। কলকারখানা থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবস্থা গ্রহণ, যথা কলকারখানার বা নর্দমার তরল যাতে নদীর জলে না মেশে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শব্দদূষণ কমানোর জন্য শব্দ নিরোধক যন্ত্রের ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের প্রয়োগ বেশি করে এবং কীটনাশকের পরিমাণ কমিয়ে মৃত্তিকা দূষণ রোধ সম্ভব। সর্বোপরি যানবাহনে পেট্রল বা ডিজেল পোড়ানোর পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবহার করতে পারলে দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

উপসংহারঃ পরিবেশ দূষণ একটা গুরুতর সমস্যা। আজ মানব সভ্যতার অস্তিত্ব বিঘ্নিত। এই গভীর সংকটের মোকাবিলা | করার জন্য আমাদের প্রত্যেকেই সচেতন হতে হবে এবং নজর দিতে হবে যাতে পরিবেশের দূষণের মাত্রা না বাড়ে। কারণ বিজ্ঞান যতই উন্নত হোক বা প্রযুক্তিবিজ্ঞান যতই আমাদের উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাক না কেন মানুষের জন্যে সভ্যতা মানুষের হাতেই যদি বিনাশ হয় তাহলে কি লাভ- কারণ বনে আগুন লাগলে দেবালয় কি এড়ায়? এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যে আমাদের সবাইকেই হাত মিলিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে হবে।

রহিম দুই ঘণ্টা যাবত একটি গল্পের বই পড়ছে। বইটি বাংলাদেশেল একজন বিখ্যাত লেখক লিখেছেন। বেইটিতে মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক গল্পগুলো রহিমের খুব ভাল লেগেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আমাদের মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের এই মহৎ অবদান এদেশের মানুষ চিরকাল শ্রদ্ধাভারে শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করবে। 

=Rahim has been reading a book for two hours. The book is written by a famous author of Bangladesh. Rahim liked the stories about liberation war in the book very much. The heroic freedom fighters have sacrificed their lives for my motherland. The people of this country will remember their noble contribution with reverence for ever.

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

He plays football. 

= Let him play football. 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

He speaks the truth. 

= Does he speak the truth? 

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

What a fool he is! 

=  He is a great fool. 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

Every mother loves her child. 

= There is no mother but loves her child. 

Created: 3 months ago | Updated: 22 hours ago

Wasn't I sincere to my duties?  

=  I was sincere to my duties? (আমি আমার দায়িত্বে নিষ্ঠাবান ছিলাম)।

Write the past participle form of the following verbs:
19.

Fly

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

Fly (ওড়া; উড়ে যাওয়া) এর Past participle হলো Flown.

Write the past participle form of the following verbs:
20.

Cost

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

Cost (দাম হওয়া) এর Past participle Cost.

Write the past participle form of the following verbs:
21.

Begin

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

Begin (শুরু করা) এর Past participle হলো Begun.

Write the past participle form of the following verbs:
22.

Sell

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

Sell (বিক্রি করা) এর Past participle হলো Sold

Write the past participle form of the following verbs:
23.

Win

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

Win (জয়ী হওয়া) এর Past participle হলো Won

13.05.2022 

The Deputy Commissioner,
Manikgonj.
Subject: Application for relief for the flood affected people.
Dear Sir,

We, the inhabitants of Shibalaya Upazila, would like to attract your attention to the flood that has recently visited in our locality. The flood has broken all the records of the past. The sufferings and the miseries of the flood affected people know no bounds. Many people have become homeless. Thousands of people have taken shelter on roads, boats and embankments. They are now living under the open sky without any civil amenities. Nevertheless, cholera, typhoid, diarrhaea, dysentery etc have broken out in an epidemic form. So they are badly in need of foods, medicines, clothes, shelters and pure drinking water. These people are eagerly waiting for your assistance.

Sincerely yours
Md. Shafiqul Islam On behalf of the people of
Ulail Union, Shibalaya, Manikgonj.

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

দেওয়া আছে, x=4+3

= 1x = 14 + 3 = 4 - 34 + 34 - 3 = 4 - 342 - 32 = 4- 34-3 = 4 - 31= 4 - 3

এখন দেওয়া আছে , x3 +1x3=x + 1x3-3 × x  × 1x x + 1x

= x + 1x3 -3 x + 1x =4+ 3 + 4 - 33 - 3 4 + 3 + 4 - 3 = 243 -3 × 24 = 8 × 4 × 4 - 64 = 32 × 2 - 6×2 = 64 - 12 = 52

১০% ক্ষতিতে বিক্রয়মূল্য = ১০০ - ১০ = ৯০ টাকা

বিক্রয়মূল্য ৯০ টাকা' হলে, ক্রয়মূল্য = ১০০ টাকা

∴ বিক্রয়মূল্য ৬২৫ টাকা হলে, ক্রয়মূল্য =  × = ৬৯৪.৪৪ টাকা

দিন বাকী = (২৪ - ১২) = ১২ দিন

অবশিষ্ট লোক = (৩০ - ১৫) = ১৫ জন

৩০ জন লোক অবশিষ্ট কাজ করে = ১২ দিনে

১৫ জন লোক অবশিষ্ট কাজ করে = (×) দিনে

= ২৪ দিনে

মনে করি, দৈর্ঘ্য x মিটার এবং প্রস্থ y মিটার

∴ ২(x + y) = ৩৬ 

⇒ x + y = ১৮ . . . . . . .. . (i)

এবং xy= ৮০

  x-y = x+y2 -  × xy =  -  ×  =  -  =   . . . . . . . . (ii)

(i) নং থেকে (ii) সমীকরণ যোগ করে পাই

x+y =  x-y = x =   x = 

আবার, (i) নং থেকে (ii) সমীকরণ বিয়োগ করে

x+y =  x-y = y =   y =   y = 

∴ দৈর্ঘ্য ১০ মিটার এবং প্রস্থ ৮ মিটার।

ধরি, ভগ্নাংশটির লব x এবং হর y

∴ ভগ্নাংশটি = xy

প্রশ্নমতে, x+7y = 2 . . . . . . . . (i)

এবং  xy-2 = 1  .. . . . . . . . .  (ii)

সমীকরণ (i) নং হতে পাই,

x+7y = 2  x + 7 = 2y  x = 2y - 7 . . . . . .  . . .. . . (iii)

x এর মান (ii) নং সমীকরণে বসাই,

xy-2 = 1  x = y- 2  2y - 7 = y-2  y = 5

y এর মান (iii) নং সমীকরণে বসাই,

x = 2y - 7

 x = ( 2 × 5 )  7 = 10 - 7 = 3

∴ নির্ণেয় ভগ্নাংশ 35 (উত্তর) ।

ভূমি একটি মৌলিক প্রাকৃতিক সম্পদ, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবিকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের মতো একটি ভূমি বুভুক্ষু দেশের জন্য, যেখানে মাথাপিছু জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্ন।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন, শিল্পায়ন, নগরায়ণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও অন্যান্য উন্নয়নযজ্ঞের জন্য প্রতিনিয়ত জমির প্রয়োজন হচ্ছে । নদীগর্ভেও বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ জমি। এসব কারণে প্রতি বছর মোট জমির ১ শতাংশ বা প্রায় ৮২ হাজার হেক্টর জমি কমে যাচ্ছে। তাই দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি সচল রাখতে ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার ও
ব্যবস্থাপনা জরুরি ।

ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও সামরিক শাসনামলের পুরাতন ভূমি আইনসমূহ সংস্কারপূর্বক সেগুলোকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও উন্নয়ন চাহিদার প্রয়োজনে নতুন কিছু আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত প্রতারণা ও নানাবিধ অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভূমিসংক্রান্ত অপরাধ আইন, কৃষিজমি সুরক্ষা ও পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ভূমি ব্যবহার আইন, হয়রানিমুক্তভাবে অনলাইনে জমির খাজনা প্রদানের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ভূমির সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি সংস্কার আইন ইত্যাদি নতুনভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে। অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় জটিলতা নিরসনে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করার জন্য

বিধিমালা করা হচ্ছে। ভূমি অফিসে হয়রানি ও কাজের দীর্ঘসূত্রিতার উল্লেখযোগ্য কারণ দালালের দৌরাত্ম্য, দলিলপত্রের জাল-জালিয়াতি এবং প্রচলিত এনালগ সেবা পদ্ধতি। এসব অনিয়ম দূর করার অন্যতম উপায় হচ্ছে সেবাসমূহের অটোমেশন। একটি উচ্চ মানসম্পন্ন ইন্টারঅপারেবল সফটওয়্যারের মাধ্যমে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমজাতীয় সেবার সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের ভূমিসেবাকে অটোমেশন করা হবে।

ইতিমধ্যে অনেকগুলো সেবার অটোমেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া সারা দেশে ই-নামজারি শুরু হয়েছে। এখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে ঘরে বসেই অনলাইনে ই-নামজারির আবেদন করা যায়। ই-নামজারির সফল প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশের প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। জমির মালিকানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণক হচ্ছে খতিয়ান বা পর্চা, যা জমি ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরের সময় প্রয়োজন হয়। রেকর্ডসমূহ অনেক পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় সেগুলো রেকর্ডরুমসমূহে সংরক্ষণ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সিএস রেকর্ড অনেক পুরাতন হওয়ায় এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যেগুলো আছে সেগুলো এত দুর্বল যে ধরা বা নাড়াচাড়া করা যায় না। ফলে একদিকে এগুলো সংরক্ষণের অযোগ্য হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে নাগরিকদেরও সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই সব খতিয়ান (প্রায় সাড়ে ৪ কোটি) ডিজিটাইজড করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২১টি জেলার সব খতিয়ান অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। এখন এসব জেলার নাগরিকগণ অনলাইনে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে তাদের জমির খতিয়ান দেখতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ সাপেক্ষে অনলাইনেই তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

জমির খাজনা প্রদানের জন্য ভূমি অফিসে গেলে অনেক ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণসহ ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৯টি জেলায় পাইলটিং করা হচ্ছে, যা পর্যায়ক্রমে সারা দেশে চালু করা হবে। ফলে অনলাইন বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমির খাজনা প্রদান করা যাবে ।

যত্রতত্র ঘরবাড়ি, ইটভাটা, শিল্পকারখানা ও অপরিকল্পিত স্থাপনা করার ফলে একদিকে মূল্যবান তিন ফসলি জমি হারিয়ে যাচ্ছে; অন্যদিকে বন্যা, জলাবদ্ধতা বৃদ্ধিসহ প্রতিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই জোনিং ম্যাপ তৈরির জন্য হাইরেজুলেশন স্যাটেলাইট ইমেজ, রিমোট সেন্সিং ডাটা ও জিপিএসসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই জোনিং ম্যাপে কৃষি, জলাধার, বন, পাহাড়, বসতি, শিল্প, অর্থনৈতিক এলাকা ইত্যাদি চিহ্নিত করা থাকবে। ভূমি ব্যবহার আইন প্রয়োগ করে দেশের মূল্যবান কৃষিজমি, জলাধার, বনভূমি ও পাহাড়-টিলা রক্ষা করা হবে এবং শিল্পায়ন তথা উন্নয়নকাজের জন্যও প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান করা হবে ।

ভূমি জরিপে দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা একটি ব্যাপক চর্চিত বিষয়। তাই জরিপকাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে সরকার ডিজিটাল জরিপের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন থেকে প্রচলিত ম্যানুয়াল জরিপের পরিবর্তে ডিজিটাল জরিপ করা হবে যা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে বা বিডিএস নামে পরিচিত হবে। এই জরিপে ইটিএস মেশিন, ড্রোন, জিপিএস ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বিধায় শুদ্ধতার হার অনেক বেশি হবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে ১০-২০ বছর সময় লাগত, সেখানে ডিজিটাল জরিপে মাত্র ২-৩ বছর সময় লাগবে।

সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি হলে তার প্রতিকার বা সেবাসংক্রান্ত জরুরি তথ্য জানার জন্য ভূমিসেবা হটলাইন চালু করা হয়েছে। এই হটলাইনের সঙ্গে জাতীয় ৩৩৩ হটলাইনের সমন্বয় করা হবে। ভূমিসংক্রান্ত যাবতীয় ফি অনলাইনে পরিশোধের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে চালু করা হয়েছে। ফলে নাগরিকগণ ভূমিসংক্রান্ত সব ফি মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া ভূমি মালিকদের একক শনাক্তকারী নম্বর প্রদান করা হবে, যাতে সারা দেশে তার সব জমি একক হোল্ডিং ও খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে জমির সিলিং সীমা এড়ানো, খাজনা ফাঁকি দেওয়া এবং জমির তথ্য গোপন করা সম্ভব হবে না ।

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মনোগ্রামে  ৪টি তারকা আছে ।

Created: 3 months ago | Updated: 13 hours ago

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বর্তমান গোপালগঞ্জ (সাবেক ফরিদপুর) জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন।
33.

NAPE এর পূর্ণরূপ কী?

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

NAPE এর পূর্ণরূপ National Academy for Primary Education.

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন।
34.

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি?

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বর।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন।
35.

র‍্যাডক্লিফ রেখা কী?

Created: 3 months ago | Updated: 11 hours ago

১৯৪৭ সালে স্যার সাইরিন র‍্যাডক্লিফ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে 'লাইন অব কন্ট্রোল' সীমারেখার দিয়ে বিভক্ত করেন। র‍্যাডক্লিফ লাইনগুলো হলোঃ বাংলাদেশ-ভারত; বাংলাদেশ-মিয়ানমার; ভারত-পকিস্তান।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন।
36.

ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর নাম লিখুন। 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

৪টি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত। এগুলো হলোঃ ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা এবং শেরপুর ।

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের গণভবন। আর রাষ্ট্রপতির বাসভবনের নাম 'বঙ্গভবন'।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন।
38.

রাশিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত? 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

রাশিয়া এশিয়া (৭৭%) এবং ইউরোপ (২৩%) উভয় মহাদেশে অবস্থিত।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন।
39.

বাংলাদেশ কবে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ।

Created: 3 months ago | Updated: 6 hours ago

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

নকশিকাঁথা জামালপুরের বিত্তহীন দরিদ্র নারীদের আত্নবিশ্বাসী করে তুলেছে। স্বউদ্যোগে নকশিকাঁথা বুনিয়ে স্বাবলম্ভী হচ্ছে হতদরিদ্র নারীরা। হাতের কারুকাজ করা নকশীকাঁথা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। জেলায় ইতোমধ্যে ১০ হাজার নারীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। নারীদের সূচীকর্মের নান্দনিক ঐতিহ্য নকশিকাঁথা এখন শুধু ব্যবহারের জন্যই নয়, মানুষের কাছে সৌখিন ও সৌন্দর্যের উপাদানে পরিণত হয়েছে। বিত্তহীন দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্ভী হওয়ার পথ দেখিয়েছে সূচীকর্ম। নকশিকাঁথার ঐতিহ্যকে লালন করে হস্তশিল্পের প্রসার ঘটেছে জামালপুরে। নান্দনিকতার ছাপ পড়েছে হস্তশিল্পেও। নকশিকাঁথা পাশাপাশি পরিধানের বস্ত্র হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে নারীদের হাতের করুকাজ করা থ্রীপিছ, শাড়ি, ওড়না, বেড কভার, কুশন কভার, ওয়াল মেট, বালিশের ওয়ার, শাল ও চাদর। নকশিকরা পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টিসার্ট গেঞ্জিসহ নানা রকমের পরিধানের বস্ত্রের প্রতিও আকর্ষণ বেড়েছে। চাহিদার ব্যাপ্তি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দিনে দিনে বস্ত্র খাতে নকশিকাঁথা তথা হস্তশিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটছে ।

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

১৯৭২ সালের মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ৪৪ হেক্টর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ সৌধের স্থাপত্য নকশা অতুলনীয়। এটি একটি বিশাল বিমূর্ত ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যের উচ্চতা একশত পঞ্চাশ ফুট। এতে মোট সাতটি ফলক আকৃতির স্তম্ভ রয়েছে। এই সাতটি ফলকের মাধ্যমে বাংলাদেশের শক্তি সংগ্রামের সাতটি স্তরকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যূত্থান, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ- এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসাবে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধটির সাতটি ফলক ত্রিকোণ আকারে উপরে উঠে গেছে। মূল সৌধের বাম পাশে সৌধ চত্বর। এখান স্বাধীনতা যুদ্ধে নাম না জানা ১০ জন শহীদের ১০টি সমাধি রয়েছে। ডান পাশে রয়েছে পুষ্পবেদি। তিনদিক ঘিরে থাকা কৃত্রিম লেক ও চারদিকের সবুজের সমারোহ সমগ্র এলাকাটিকে করেছে আরো সৌন্দর্য মন্ডিত।

Related Sub Categories