ঐতিহাসিক ৭ জুন ছয় দফা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ। পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাঙালিরা কখনো সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেনি। শুরু থেকেই পূর্ব বাংলার ওপর পশ্চিম অংশের একধরনের ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ কায়েম হয়। ওই রাষ্ট্রে বাঙালি সমস্যার প্রকৃতি ছিল জাতিসত্তাগত । এটি যথার্থভাবে চিহ্নিত করেই বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যা দ্রুত বাঙালিদের মধ্যে জাতীয় মুক্তির নবচেতনা জাগিয়ে তোলে ।
GI এর পূর্ণ রূপ Geographical Indication (বাংলা “ভৌগলিক নির্দেশক”)। GI হলো একটি নাম বা সাইন যেটা নির্দিষ্ট একটি পণ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকার (শহর বা দেশ) পণ্যের পরিচিতি বহন করে। এতে পণ্যটি ঐ দেশের পণ্য হিসেবে খ্যাতি পায় এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয় । মেধাস্বত্ব-বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা World Intellectual Property Organization (WIPO) সাধারণত ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন দেয়। তবে বাংলাদেশে WIPO'র হয়ে স্থানীয়ভাবে কাজটি করে থাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT)। বাংলাদেশ ৬ নভেম্বর ২০১৩ ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন করে। আর ২ আগস্ট ২০১৫ বিধিমালা জারি করে।
বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ১৭ নভেম্বর ২০১৬ সালে জামদানি স্বীকৃতি পায়।
৬ আগস্ট ২০১৭ পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশকে বাংলাদেশী পণ্য হিসাবে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষণা করে। এর ফলে ইলিশ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে খিরসাপাত আমকে বাংলাদেশের ৩য় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (খাদ্যদ্রব্য) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মসলিনকে বাংলাদেশের চতুর্থ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজশাহী সিল্ককে ৫ম, শতরঞ্জিকে ৬ষ্ট, চিনিগুঁড়া চালকে ৭ম, দিনাজপুরের কাটারিভোগকে ৮ম এবং বিজয়পুরের সাদা মাটিকে ৯ম জিআই পণ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বাগদা চিংড়িকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশের দশম জিআই পন্য।
বাংলাদেশের একাদশতম ভৌগোলিক নির্দেশক জিআই পণ্য রাজশাহীর বিখ্যাত ফজলি আম ( ১১ তম জিআই পণ্য,২০২২)
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৫ই জুলাই আরোও ৪টি পণ্যকে জি আই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পণ্যগুলা যথাক্রমে, বগুড়ার বিখ্যাত দই, শেরপুরের তুলসীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম।
এই দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ১৫টি।
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ হচ্ছে পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ যা ২,৯০০ এর বেশি একক রিফের সমন্বয়ে গঠিত। রিফটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের উপকূল ঘেঁষা কোরাল সাগরে অবস্থিত ।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
নায়াগ্রা জলপ্রপাত = নায়াগ্রা জলপ্রপাত উত্তর আমেরিকার নায়াগ্রা নদীর উপর অবস্থিত। মূলত তিনটি পাশাপাশি অবস্থিত ভিন্ন জলপ্রপাত নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত গঠিত। এই তিনটি জলপ্রপাতের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি, হর্সশু ফল্স বা কানেডিয়ান ফলস কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক স্টেটের সীমান্তে অবস্থিত।
বৈকাল হৃদ
বৈকাল হৃদ = বৈকাল হ্রদ রাশিয়ার সাইবেরিয়ার দক্ষিণভাগে অবস্থিত একটি সুপেয় পানির হ্রদ। এর উত্তর-পশ্চিম অংশ ইর্কুৎস্ক ওবলাস্ত এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ বুরিয়াত প্রজাতন্ত্রে পড়েছে। হ্রদটির আয়তন প্রায় ৩১,৫০০ বর্গ কিলোমিটার। এটি বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। এর সর্বাধিক গভীরতা ১,৬৩৭ মিটার। তিনশোরও বেশি নদীর পানি এসে এই হ্রদে পড়েছে ।
ডেড সী
ডেড সী = এটি এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জর্ডান ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। আর Dead Sea কে মৃত সাগর বলে। কারণ, এর পানিতে কোন মাছ বা প্রাণী বাঁচতে পারে না ।
চিম্বুক পাহাড়
চিম্বুক পাহাড় = বান্দরবান জেলার রুমা সদর এবং বান্দরবান সদরে চিম্বুক পাহাড় অবস্থিত। চিম্বুক পাহাড়কে কালা পাহাড়ও বলা হয় । এটি বাংলাদেশের ৩য় সর্বোচ্চ পাহাড়।
NICAR
NICAR এর পূর্ণরূপ হলো National Implementation Committee for Administrative Reorganization-Reform.
ECNEC
ECNEC এর পূর্ণরূপ হলো Executive Committee of the National Economic Council.
GSP
GSP এর পূর্ণরূপ হলো Generalized System of Preferences.
PRSP
PRSP এর পূর্ণরূপ হলো Poverty Reduction Strategy Papers.
UNESC
UNESCO এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization.