অন্ধের যষ্টি
অন্ধের যষ্টি (অপরিহার্য অবলম্বন): শেষ বয়সে নাতিটিই বুড়ির অন্ধের যষ্টি হয়ে রইল ।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো (আরামে সময় কাটানো): বাবা যত দিন বেঁচে ছিলেন সুমন ততদিন বেশ গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়িয়েছে।
লেফাফা দুরস্ত
লেফাফা দুরস্ত (বাইরে ঠাট বজায় রেখে চলা): এই লেফাফা দুরস্ত লোকটিকে দেখে কি মনে হয় যে, ইনি কপর্দকশূন্য।
উড়ো কথা
উড়ো কথা (লোকমুখে শ্রুত; ভিত্তিহীন): সবসময় উড়ো কথায় কান দিতে নেই ।
জগা খিচুড়ি
জগা খিচুড়ি (বিশৃঙ্খল): সব জগা খিচুড়ি না পাকিয়ে এক দিক থেকে গুছিয়ে পড়ো।
সেতারের ঝংকার
সেতারের ঝংকার = কিঙ্কিনি ।
নিন্দা করার ইচ্ছা
নিন্দা করার ইচ্ছা = জগুন্সা।
নৌ চলাচলের যোগ্য
নৌ চলাচলের যোগ্য = নাব্য ।
যা নিবারণ করা যায় না
যা নিবারণ করা যায় না = অনিবারিত।
কুলর কীর্তি বর্ধনকারী যে সন্তান
কুলের কীর্তি বর্ধনকারী যে সন্তান = কুলপ্রদীপ।
অতীন্দ্রিয়
অতীন্দ্রিয় = অতি + ইন্দ্ৰিয় ।
কথাচ্ছলে
কথাচ্ছলে = কথা + ছলে ।
সদুপায়
সদুপায় = সৎ + উপায় ।
বৃহস্পতি
বৃহস্পতি = বৃহৎ + পতি ।
মনোযোগ
মনোযোগ = মনঃ + যোগ।
অদ্যবদি
অদ্যবদি = অদ্যাবধি
প্রত্মতত্ত্ব
প্রত্মতত্ত্ব = প্রত্নতত্ত্ব ।
মনিষী
মনিষী = মনীষী ।
মুমুর্ষ
মুমুর্ষু = মুমূর্ষু ।
প্রতিচীকির্ষা
প্রতিচীকির্ষা = প্রতিচিকীর্ষা ।
পদ্মা সেতু
রাতারগুল জলাবন
রাতারগুল জলাবন বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি। রাতারগুল যা বাংলার অ্যামাজন নামেও পরিচিত চিরসবুজ এই বন গুয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত এবং চেঙ্গির খালের সাথে একে সংযুক্ত করেছে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বাকি সারা বছর, পানির উচ্চতা ১০ ফুটের মতো থাকে। বর্ষাকালে এই বনে অথৈ জল থাকে চার মাস। এখানে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায় নানান বন্য প্রাণী আর পাখি। শীতে জল শুকিয়ে যায় বলে বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী সময় (জুলাই থেকে অক্টোবর) রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। সিলেট শহর থেকে রাতারগুলের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় এ বনের অবস্থান। সিলেট বন বিভাগের উত্তর সিলেট রেঞ্জে-২ এর অধীন প্রায় ৩০ হাজার ৩শ' ২৫ একর জায়গা জুড়ে এ জলাভূমি। এর মধ্যে ৫শ' ৪ একর জায়গার মধ্যে বন, বাকি জায়গা জলাশয় আর সামান্য কিছু উঁচু জায়গা। তবে বর্ষাকালে পুরো এলাকাটিই পানিতে ডুবে থাকে। শীতে প্রায় শুকিয়ে যায় রাতারগুল। তখন বনের ভেতরে খনন করা বড় জলাশয়গুলোতে শুধু পানি থাকে। পুরাতন দুটি বড় জলাশয় ছাড়াও ২০১০-১১ সালে রাতারগুল বনের ভেতরে পাখির আবাসস্থল হিসেবে ৩.৬ বর্গ কিলোমিটারের একটি বড় লেক খনন করা হয়। শীতে এ জলাশয়ে বসে নানান পাখির মিলন মেলা। রাতারগুল একটি প্রাকৃতিক বন। এরপরেও বন বিভাগ হিজল, বরুণ, করচ আর মুতা-সহ কিছু জলবান্ধব জাতের গাছ লাগিয়ে দেয় এ বনে। এছাড়াও রাতারগুলের গাছপালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ কদম, জালিবেত, অর্জনসহ জল সহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির গাছপালা। সিলেটের শীতলপাটি তৈরির মূল উপাদান মুতার বড় অংশ এই বন থেকেই আসে। বাংলাদেশ বন বিভাগ ১৯৭৩ সালে এ বনের ৫শ' ৪ একর এলাকাকে বন্যপ্রাণীর জন্য অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে।