বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড || সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর (03-06-2022) || 2022

All

ভাবসম্প্রসারণ করুন ( যে কোন একটি)
1.

দুর্জন বিদ্ব্যান হইলেও পরিত্যাজ্য

Created: 4 weeks ago | Updated: 7 hours ago
ভাবসম্প্রসারণ করুন ( যে কোন একটি)
2.

ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যেতের বিকাশ

Created: 4 weeks ago | Updated: 7 hours ago

ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যতের বিকাশ ৷

ভাব-সম্প্রসারণঃ মনুষ্যত্বই মানুষের মহাপরিচালক। আর ত্যাগের মহিমাই পারে মানুষের এ মনুষ্যত্বের উৎকর্ষ ও বিকাশ ঘটাতে। ত্যাগের মাধ্যমে সম্পদ চলে যায়, ফিরে আসে আনন্দ, ভ্রাতৃত্ব আর মনুষ্যত্ব। ত্যাগের মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা, ত্যাগই মানুষের একমাত্র আদর্শ হওয়া উচিত। 

জগৎসংসারে ভোগ ও ত্যাগ দুটি বিপরীতমুখী দিক । ভোগ ও ত্যাগের দরজা সবার জন্যেই উন্মুক্ত । মানুষ ভোগে আনন্দ পেলেও তৃপ্তি পায় না। কিন্তু ত্যাগের মাধ্যমে আনন্দ ও তৃপ্তি দুটোই লাভ করা যায়। তাই ভোগ নয়, ত্যাগই জীবনের লক্ষ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। ত্যাগ মনুষ্যত্বকে বিকশিত করে। মনুষ্যত্বের কল্যাণেই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা ও শ্রেষ্ঠ । শুধু মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই মনুষ্যত্ব লাভ করা যায় না। মানুষকে তার স্বীয় চেষ্টায় এ মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হয়। মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। ভোগের মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে না। ভোগ মানুষকে জড়িয়ে ফেলে পঙ্কিলতা, গ্লানি ও কালিমার সঙ্গে। তাদের অর্জিত সম্পদ নিজের স্বার্থ ব্যতীত সমাজের অন্য কোনো কাজে আসে না। তাই, পরের দুঃখে তাদের হৃদয়-মনও কাঁদে না। তারা স্বার্থান্ধ ও সংকীর্ণচিত্ত বলে সমাজে মর্যাদাহীন। ত্যাগ মানুষকে নিয়ে যায় মনুষ্যত্বের উদার ভূমিতে। পরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আদর্শ ও উদ্দেশ্য মনুষ্যত্বের মধ্যেই নিহিত থাকে। মনুষ্যত্বের গুণে মানুষ নিজের স্বার্থের কথা ভুলে গিয়ে পরার্থে, দীনদুঃখীদের জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পায়। স্বামী বিবেকানন্দ মাদার তেরেসা প্রমুখ ব্যক্তির চরিত্র ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । ত্যাগের মাধ্যমেই তাদের মনুষ্যত্ব তথা মানবিক গুণাবলি ফুলে উঠেছে। ভোগ ও সুখ নিয়ে মানুষের নানারকম ধারণা। সুখের জন্যে অনেকেই বিলাস-ব্যসনে মত্ত হয়ে ওঠে এবং ভোগ। বিলাসের নানা উপকরণের আয়োজন করে। কিন্তু কোনোভাবেই ভোগাকীর্ণ জীবন সুখের সন্ধান দেয় না। কেননা ভোগই যদি এঁরাও জীবনে প্রকৃত সুখী হতে পারেন না। একমাত্র মহৎ কর্মের মধ্য দিয়েই সুখ পাওয়া যায়। দেশব্রতী, মানব্ৰতী কর্মেই মানুষ করে জীবনের সার্থকতা। দেশের জন্যে মানবতার জন্যে যাঁরা আত্মত্যাগ করেন তাদের মতো সুখী আর কে আছে? বস্তুত পরের জন্যে স্বার্থ ত্যাগ করার মধ্যেই মানুষের মানবিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠ প্রকাশ ।

জীবনের পরম শান্তি দেবে আর নেবে মিলাবে মিলিবে'র মধ্যে নিহিত। যথার্থ সুখ পরিভোগ প্রবণতার মধ্যে পাওয়া যায় ন পাওয়া যায় নিরন্তর কাজের মধ্যে। দেশব্রতী ও মানব্রতী ভূমিকার মধ্যে।

চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি। খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলো রচনা করেছিলেন।

স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস বাধাহীনভাবে একই সঙ্গে মুখ ও নাক দিয়ে বেরিয়ে এলে যেরকম ধ্বনি হয় তাকে বলা হয় অনুনাসিক বা সানুনাসিক স্বরধ্বনি। যেমনঃ অঁ-পঁয়ত্রিশ, আঁ-হাঁস, অ্যা-স্যাঁতসেঁতে ।

এ, ঐ, ও, ঐ কারের পর এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয় এবং ও, ঐ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয় । যেমনঃ ভৌ + উক = ভাবুক; পৌ + অক = পাবক ।

নারী এর পুরুষবাচক শব্দ হলো নর ৷ উল্লেখ্য, এয়ো, সধবা এ দুটি হলো নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ ।

বৈশিষ্ঠ এর শুদ্ধ বানান হলো ‘বৈশিষ্ট্য'।

সমার্থক শব্দ-জোড়  চুরি-ডাকাতি

‘কৃশ' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ  স্থুল

কর্তা যা করে বা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে কর্মকারক বলে। যেমনঃ তুমি বই পড়; এখানে ‘বই কর্মকারক। যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দান করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমনঃ দরিদ্রকে ধন দাও। ক্রিয়ার সময়, বিষয় ও স্থানকে অধিকরণ কারক বলে । যেমনঃ শিশুরা খেলা করছে। সুতরাং প্রশ্নে ‘ঔষধ’ কর্মকে কেন্দ্র করে দেয়া ক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ায় ‘ঔষধ' শব্দটি কর্মকারক (শূন্য বিভক্তি)।

রাজপথ’ এর ব্যাসবাক্য ‘পথের রাজা’। উল্লেখ্য, পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয় তাই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস ।

Related Sub Categories