একুশের চেতনা ও শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা
অমর একুশ বাঙালির ইতিহাসে শুধু একটি তারিখ নয়; একুশ হলো একটি চেতনার বীজমন্ত্র । একুশকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বাঙালির জাতিসত্তায় যে চেতনার জন্ম হয়েছিল, তা ছিল এক অবিনাশী চেতনা। এই চেতনার পথ ধরে ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচন এবং ১৯৭১-এ আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই গর্বের একুশ হয়েছে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার স্মৃতি চিহ্নিত এই দিনটি সংগ্রামের জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় উজ্জ্বল এবং রক্তাক্ত আত্মত্যাগের মহিমার ভাস্বর। জাতিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণের অস্তিত্ব ও ভাগ্যকে জুড়ে দেয়া হয়েছিল কৃত্রিম ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে। সে সময় পাকিস্তানে শতকরা ৫৬ জনের মুখের ভাষা বাংলা হলেও সংখ্যালঘিষ্ঠদের মুখের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়া হয়। ঠিক তখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব বাংলার দামাল ছেলেরা। ভাষার প্রতি বাঙালির চিরঞ্জীব ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে ক্রমান্বয়ে জোরালো হয়ে ওঠে বাংলা ভাষার মর্যাদা আদায়ের দাবি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির এই বৈষম্য আর অপমানের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম সরব জবাব ।
একুশ কেবল বাংলা ভাষার লড়াই ছিল না। একুশ ছিল বাংলাদেশীদের সার্বিক মুক্তির সংগ্রাম। বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির অস্তিত্ব রক্ষার সেই লড়াইয়ের সাথে ওতপ্রোথভাবে জড়িয়ে ছিল শিক্ষা, সমাজ ও অর্থনীতির লড়াইও। একুশ ছিল বাংলার মানুষের এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম। আজ পৃথিবীব্যাপী এ দিনটি পালিত হচ্ছে মাতৃভাষার চর্চা ও মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার চেতনায়। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে আমরা এক অকৃত্রিম আবেগের সৌধ নির্মাণ করেছি। যার সাথে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও জাতিচেতনামূলক আন্দোলনের চালিকাকেন্দ্র হয়ে আছে সর্বত্র। প্রতিটি গণ- আন্দোলনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেদিন পূর্ব বাংলার অধিকারবঞ্চিত মানুষের প্রথম সংগঠিত সংগ্রামের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। জাতিগত শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে একুশ আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। পরে প্রতিটি গণ-আন্দোলনের প্রেরণাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে ওই আন্দোলন। একুশের পথ ধরেই আমরা বারবার পেরিয়ে এসেছি সঙ্কটের নানা আবর্ত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীজমন্ত্র পেয়েছি মহান ভাষা আন্দোলন থেকে । আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চেতনার বিকাশে একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতিসত্তার স্বরূপ আবিষ্কার করে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় একুশের চেতনা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাসে দেখা যায়, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা স্বীকৃতি পেলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তারা বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটানোর নানা অপপ্রয়াসে লিপ্ত থাকে । বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে একটা নতুন ভাষা তৈরি করা, বাংলা বর্ণমালা তুলে রোমান হরফে বাংলা প্রবর্তন করা ইত্যাদি । তাদের হীন পদক্ষেপ ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা। বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, গবেষণা ও বিকাশে এ প্রতিষ্ঠানের অবদান অসামান্য। বাঙালির একুশের চেতনার বিশেষ দিক ছিল জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষ বাংলা ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করবে; প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহৃত হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও বাংলা ভাষার প্রচলন হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা 'বাংলা'। কিন্তু সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে বাঙালির হাতেই বাংলা ভাষা উপেক্ষার শিকার। শিক্ষাঙ্গনে ও অফিস-আদালতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপনে ইংরেজি ভাষার দখলদারি ব্যাপক হারে আজ পরিলক্ষিত। আজ আমাদের দেশে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাংলার গুরুত্ব ক্রমেই কমছে। অন্য দিকে, বিশ্বায়নের প্রভাবে আমাদের মানসিকতায় বিদেশীয়ানার প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণে বিদেশী ভাষার আশ্রয় নেয়ার, বিয়ে বা জন্মদিনের আমন্ত্রণপত্রে বিদেশী ভাষার ব্যবহার, দৈনন্দিন কাজকর্মে, কথাবার্তায় বিদেশী ভাষা ব্যবহার, বিজ্ঞাপন ও বিজ্ঞপ্তিফলকে বিদেশী ভাষাকে অনেক গুরুত্ব দেয়া। অনেকেই আমরা ভুলে গেছি যে, সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে মাতৃভাষার উন্নতির রয়েছে অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র। সম্ভবত সে কারণেই এ জায়গাটিতে আমাদের পিছুটান ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। অনেকেই আমরা ভুলতে বসেছি, বাঙালির পরিচয়ের মূলভিত্তি তার ভাষা । অথচ বাংলা ভাষা যথাযথ গুরুত্ব না পেলে তার শক্তি একদিন ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাবে। একুশের চেতনাই আমাদের সব যড়যন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের প্রেরণা। আমাদের অগ্রযাত্রার মূলমন্ত্র ২৫ কোটি মানুষের মুখের ভাষার ওপর আস্থা স্থাপন করেই বলিঃ ভাষা আন্দোলনের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর আমাদের ইতিহাসের একটি রক্ত-রঙিন দিন নয়, এদিন এখন পেয়েছে বিশ্বস্বীকৃতি। একুশ আমাদের জন্য গৌরব ও প্রেরণার। একুশের তাৎপর্যকে ধারণ করতে হলে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা আধিপত্যবাদবিরোধী চেতনা ও শক্তির দিকে আমাদের ফিরে তাকাতেই হবে। সেখানেই আমাদের মুক্তি নিহিত। যা এ অর্জন বাংলাদেশের মানচিত্রকে উজ্জ্বল করেছে বিশ্ব মানচিত্রে।
পদ্মা সেতু
যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর সকল বড়ো বড়ো কাজের মূলে রয়েছে নারী ও পুরুষের যৌথ ভূমিকা ও অবদান । পুরুষের পাশে থেকে সব সময় নারী তাদের কাজে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। তবু নারীর ভূমিকার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি; ইতিহাসের পাতায় তাদের ভূমিকা যথাযথ লিপিবদ্ধ হয়নি।
26.06.2022
সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম
প্রিয় হাসান
আশা করি ভালো আছো, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি ভালো আছি। গত সপ্তাহে আমি তোমার পত্রটি হাতে পেয়েছি। সেখানে তুমি আমার এলাকায় বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন সম্পর্কে জানতে চেয়েছো। তাই আমি আমার এলাকায় পালতি বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ সম্পর্কে তোমাকে লিখবো ।
বিগত বছরগুলোর মতো এ বছর সীতাকুন্ড রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সবুজ বাঁচাও কমিটি'র উদ্যোগে ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত মহা আড়ম্বরে অরণ্য সপ্তাহ পালন হয়ে গেল। এলাকায় মানুষের পাশাপাশি বহু বাইরের মানুষ এই মহৎ কাজে আগ্রহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিল। অরণ্য সপ্তাহ ৬ জুন সূচনা করেন বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী । তিনি এই অরণ্য সপ্তাহ পালন এর তাৎপর্য সকলের সামনে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে সম্পাদক নূর হোসেন অরণ্য সপ্তাহ পালন পরিবেশ রক্ষায় কতখানি জরুরি তা জানান। এই অনুষ্ঠানে ৮ জুন যোগ দেন মাননীয় সাংসদ। সংস্থার উদ্যোগে প্রতিদিন এখান থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন চারাগাছ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। রাস্তার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ৭ দিন তারা প্রায় ২০০০ চারাগাছ বিলির ব্যবস্থা করেছিল। ‘সবজ বাঁচাও কমিটি'র এই কর্মপ্রয়াস ও উদ্যোগ এলাকায় প্রচুর উদ্দীপনা ও সাড়া ফেলেছে।
আজ এখানেই শেষ করছি, নিজের লেখাপড়ার দিকে খেয়াল রেখো। মা-বাবাকে সালাম দিও।
ইতি
রিজুয়ান আকন্দ
The most common causes of deforestation are cutting and burning the forestlands. Though the forest lands are cut and burnt for the sake of agriculture and habitant, environment is affected negatively. The removal of trees causes the birds and other animals living on them to leave the place. It also causes serious damage to the soil, as trees give protection to the soil as well.
= বৃক্ষ নিধনের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো বৃক্ষ কর্তন ও বনভূমি পোড়ানো। যদি বসবাস আর চাষাবাদের জন্য বন নিধন করা হয়, তবে পরিবেশের উপর এর মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। বৃক্ষ নিধনের অর্থ হলো পশু-পাখির বাসস্থান ধ্বংস করা । এটা মাটির মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে কারণ গাছ মাটিকেও ধারণ করে থাকে।
'চন্দ্র' শব্দের ৫টি প্রতিশব্দ লিখুন
'চন্দ্র' শব্দের ৫টি প্রতিশব্দঃ চাঁদ, সুধাংশু, বিধু, শশী, হিমাংশু।
অন্য উপায় নেই যার
অন্য উপায় নেই যার = অনন্যোপায় ।
ইহলোক বিষয়ক
ইহলোক বিষয়ক = ঐহিক।
ভ্রমরের শব্দ
ভ্রমরের শব্দ = গুঞ্জন।
আকাশে চড়ে যে
আকাশে চড়ে যে = খেচর; আকাশচারী
অনেকের মধ্যে এক
অনেকের মধ্যে এক = অন্যতম।
The Victory Day. [Hints: Introduction - Historical background - Consequence - Significance of the Victory Day - Conclusion]
Introduction: Victory day is a national holiday in Bangladesh celebrated on 16 December to commemorate the defeat of the Pakistan Armed Forces in the Bangladesh Liberation War in 1971 and the Independence of Bangladesh. It commemorates the Pakistani Instrument of Surrender, wherein the commander of the Pakistani Forces, General AAK Niazi, surrendered to the Mukti Bahini and their Indian allies, ending the nine-month Bangladesh Liberation War and 1971 Bangladesh genocide and marking the official secession of East Pakistan to become the new state of Bangladesh.
Historical background: The general elections of 1970 had made Bangabandhu sheikh mujibur rahman, chief of awami league which bagged 167 seats out of 169, the sole spokesman of the people of East Pakistan and majority leader in the Pakistan National Assembly. But the Pakistan civil and military ruling clique had refused to transfer power to the majority leader Sheikh Mujibur Rahman and his party. Sheikh Mujib also refused to yield to the pressure put on him for undue accommodation. Sheikh Mujib's historic address on 7 March 1971 made this point quite clear to the Pakistani military junta. Then began the civil disobedience movement. Meanwhile talks started between Sheikh Mujib and President Yahya Khan to resolve the outstanding issues. While holding talks, the Pakistani military junta was bringing more troops to Bangladesh, and at the same time wantonly killing innocent civilians all over the country. This clearly showed that they were totally insincere about handing over power to the elected representatives of East Pakistan. No sooner the talks failed, the genocide began with the Pakistan army's crackdown on the people of East Pakistan on the midnight of 25 March 1971. The Bangali soldiers serving in the then Pakistan Armed Forces and para militia forces declared instantly their solidarity with the people's liberation war. Genocide, 1971 The Pakistan Army was ordered to launch operation on Bangali people at midnight of 25 March. According to the plan for operation Search Light two headquarters were established. Major General Rao Farman Ali with 57 Brigade under Brigedier Arbab was responsible for operation in Dhaka city and its suburbs while Major General Khadim Raja was given the responsibility of the rest of the province. Lieutenant General Tikka Khan assumed the overall charge of the operation.
Consequence: The general elections of 1970 had made Bangabandhu sheikh mujibur rahman, chief of awami league which bagged 167 seats out of 169, the sole spokesman of the people of East Pakistan and majority leader in the Pakistan National Assembly. But the Pakistan civil and military ruling clique had refused to transfer power to the majority leader Sheikh Mujibur Rahman and his party. Sheikh Mujib also refused to yield to the pressure put on him for undue accommodation. Sheikh Mujib's historic address on 7 March 1971 made this point quite clear to the Pakistani military junta. Then began the civil disobedience movement. Meanwhile talks started between Sheikh Mujib and President Yahya Khan to resolve the outstanding issues. While holding talks, the Pakistani military junta was bringing more troops to Bangladesh, and at the same time wantonly killing innocent civilians all over the country. This clearly showed that they were totally insincere about handing over power to the elected representatives of East Pakistan. No sooner the talks failed, the genocide began with the Pakistan army's crackdown on the people of East Pakistan on the midnight of 25 March 1971. The Bangali soldiers serving in the then Pakistan Armed Forces and para militia forces declared instantly their solidarity with the people's liberation war. Genocide, 1971 The Pakistan Army was ordered to launch operation on Bangali people at midnight of 25 March. According to the plan for operation Search Light two headquarters were established. Major General Rao Farman Ali with 57 Brigade under Brigedier Arbab was responsible for operation in Dhaka city and its suburbs while Major General Khadim Raja was given the responsibility of the rest of the province. Lieutenant General Tikka Khan assumed the overall charge of the operation.
Significance of the Victory Day: For the people of Bangladesh, December 16 our Victory Day holds great significance that cannot be described in mere words. People made their utmost sacrifices to make we emerged victorious against the autocratic Pakistan regime. We all know Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and his Awami League (AL) party won the 1970 national elections with a clear majority. However, the Pakistan authorities were averse to hand over power to AL. Bangabandhu had the support of all Bengalis. He declared in his famous speech on March 7, 1971: "This time, our struggle is for our freedom. This time, our struggle is for our independence. Joy Bangla." The speech made the whole Bengali nation realise the importance of an independent Bangladesh. The barbaric Pakistani army launched a heinous attack on people in Dhaka on March 25 in 1971. The next day, on March 26, our independence was declared and our Liberation War began. After nine months of fighting by our valiant freedom fighters, with the help of Indian armed forces, we defeated the Pakistan army. On December 16, 1971, Pakistani forces led by General Niazi finally surrendered in Dhaka. The new nation of Bangladesh was born. It was a great triumph against a brutal occupying force that had unleashed a reign of terror, killing nearly 3 million Bangladeshis during the 9-month war. Every year, to mark this glorious day, a number of different programmes are organised. People from all walks of life attend the events, which give both the elderly and the young people a chance to remember and learn about the history of our beloved motherland. As a Bangladeshi citizen, the significance of our Victory Day it is a matter of great pride for us.
Conclusion: The 1971 liberation war of Bangladesh against Pakistan continues shaping the mindset of Bangladeshi people until present day. This bloodstained historical event has constructed Bangladeshi sense of nationalism and has forged their contemporary Constitution. The Bangladesh we see today is essentially the fruit of the liberation war of 1971. In order to understand ongoing Bangladeshi politics and the socio-economic sphere, it is required to analyse the history of Pakistani colonialism and the events surrounding the 1971 liberation war that turned Bangladesh into an independent sovereign State.
26.06.2022
Vill & P.O: Sitakund
Thana: Sitakund
Dist: Chittagong
My Dear Rouf
As Salamu Alaikum. Hope you are well. I am also fire by the grace of Allah. Today I will write you about the importance of using standard Bangla. Geographical difference is one of the main reasons behind the diversity of a particular language. The different forms of a language that arise due to geographical differences are known as dialects. Every language has some regional characteristics, which form its various regional dialects. However, a standard form of a language understood by all is necessary and desirable. This standard form of a language is usually used around the city or town areas. Bangla also has a standard form, which is widely known as Pramita Bangla. As the dialects have their own respect and dignity, the standard form demands the same.
But unfortunately, there is a chaotic situation in Bangladesh with the use of standard and regional forms of Bangla. These different forms are often being mixed by the language users, along with English and Hindi. The main reasons behind this chaos are a lack of social awareness and a lack of specific functions.
People have insufficient information and knowledge about the use of standard language and dialects. A dialect may be used in informal environments, but one should use the standard form of Bangla in a formal environment. People do not wear the same outfit in all environments. The dress for a wedding ceremony and a milad mahfil are different. Again, the dress of Pahela Boishakh, which is a cultural heritage of Bengali people, and the dress of Ekushey February, the event that gave birth to our national consciousness are different.
The television channels of the country can play a positive and important role in creating social awareness and presenting exemplary models in the introduction of standard Bangla. If the use of standard Bangla in our television channels and other mass media increases, the common man will try to imitate it. However, regional languages may also be used on television, depending on the situation or demand of the character of a drama. No more today. Wishing you best luck.
Yours loving
Niamot
আসুন আগে Passage টির বাংলা জেনে নেইঃ চেষ্টা ছাড়া জীবনে সফলতা আসে না। সংগ্রাম বা প্রতিযোগিতা না থাকলে জীবনে মজা পাওয়া যায় না। প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকলে খেলায় মজা পাওয়া যায় না। কে জিতলো বা কে হারলো সেটা বড় বিষয় নয়, বরং প্রতিযোগিতা যত বেশি হয় মজাও ততো বেশি হয়। উভয়পক্ষই সমান না হলে সে খেলার বিজয়ীর কোনো গুরুত্ব থাকে না। কাজেই বলা হয়ে থাকে জীবন একটি দীর্ঘস্থায়ী পরীক্ষাক্ষেত্র যা আমাদের কাছে হয় আনন্দদায়ক কিংবা নিরানন্দের। আসুন এবার প্রশ্নের সমাধানে যাইঃ
a) Life without struggle or competition loses its interest.
b) Games become dull if there is no real competition.
c) Greater enjoyment in games depend upon equal contestants. The more vigorous the contestants, the greater the enjoyment.
d) Unless both sides are almost equally matched, a victory is not a true triumph.
e) To writer, life is a prolonged test that may be pleasant or unpleasant to us.
An open secret
An open secret (সর্বজনবিদিত গোপন বিষয়): Corruption in land sector is an open secret.
In black and white
In black and white (লিখিত): They made a complaint against the guard in black and white.
Curry favour
Curry favour (তোষামদ করে কারো অনুগ্রহ লাভের চেষ্টা করা): Hamid knows how to curry favour with officers.
Dead against
Dead against ( তীব্র বিরোধী): I am dead against his proposal.
Eye for an eye
Eye for an eye (সমুচিত প্রতিশোধ): He fulfilled eye for an eye upon the killer of his father.
They live ___ catching fish.
They live on catching fish.
বাক্যের অর্থঃ তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে ।
I have no prejudice _____ him.
I have no prejudice against him.
বাক্যের অর্থঃ তার বিরুদ্ধে আমার কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই ।
We will do it bit ____ bit.
We will do it bit by bit.
বাক্যের অর্থঃ ধীরে ধীরে আমরা এটা করবো ।
She does not agree ___ her friend.
She does not agree with her friend.
বাক্যের অর্থঃ সে তার বন্ধুর সাথে একমত নয়
His father will look ____ the matter.
His father will look into the matter.
বাক্যের অর্থঃ তার বাবা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ।
Access : Excess
Access (প্রবেশ): Do you have access to a computer.
Excess (অতিরিক্ত): The full excess fare had to be paid
Die : Dye
Die (মারা যাওয়া): Plants die if they do not get water.
Dye (রং করা): She dyed the cloth red.
Pray : Prey
Pray (প্রার্থনা করা): Pray to the Almighty Allah.
Prey (শিকার): The deer fell a prey to the lion.
Tale : Tell
Tale (গল্প; কাহিনি): It is a delightful children's tale.
Tell (বলা): He tells the news to his mother.
Emerge : Immerse
Emerge (প্রকাশিত হওয়া; বেরিয়ে আসা): The economy has started to emerge from recession.
Immerse (ডুবানো; নিমজ্জিত করা): Immerse the paper in water for 20 minutes.
একটি কম্পিউটার সিস্টেম দুটি বিভাগে বিভক্ত: হার্ডওয়্যার (Hardware) এবং সফ্টওয়্যার (Software)। কোন হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটার সিস্টেমের শারীরিক এবং দৃশ্যমান উপাদানগুলিকে বোঝায়। যেমনঃ মনিটর (Monitor), সিপিইউ (CPU), কীবোর্ড (Keyboard) এবং মাউস (Mouse)। অন্যদিকে সফ্টওয়্যার হলো, কিছু নির্দেশাবলী যা কম্পিউটারকে কী করতে হবে তা বলে। সফ্টওয়্যার একটি কম্পিউটার সিস্টেমের অপারেশনের সাথে যুক্ত প্রোগ্রাম, পদ্ধতি এবং রুটিনগুলির সম্পূর্ণ সেট নিয়ে গঠিত। নির্দেশাবলীর একটি সেট যা একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে একটি কাজ সম্পাদন করার নির্দেশ দেয় তাকে একটি প্রোগ্রাম বা সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম বলা হয়। অপারেটিং সিস্টেমের জন্য লেখা সফটওয়্যারের উদাহরণ হলঃ Ms Word, Excel, Power Point, Google Chrome, Photoshop, MySQL ইত্যাদি । সফটওয়্যারঃ কম্পিউটার সফটওয়্যার হল নির্দেশাবলী এবং প্রোগ্রামগুলির একটি সেট যার সাহায্যে ব্যবহারকারী কম্পিউটারে নির্দিষ্ট ধরণের কাজ সম্পাদন করতে পারে। সফটওয়্যার ছাড়া ব্যবহারকারী কম্পিউটারে কাজ করতে পারে না। কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার এর উদাহরণ হলোঃ Google chrome, VLC media player, Photoshop, MS office, Microsoft edge ইত্যাদি।
প্রথম গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' প্রকাশকাল ১৮ জুন ২০১২ সালে। দ্বিতীয় গ্রন্থ 'কারাগারের রোজনামচা' প্রকাশকাল ১৭ মার্চ ২০১৭ সালে। তৃতীয় গ্রন্থ 'আমার দেখা নয়াচীন' আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ যা ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়।
নওগাঁ জেলার সোমপুর বিহার পাহাড়পুর বিহার নামেও পরিচিত। এটি একটি বৌদ্ধ বিহার। এতে ৬৩টি মূর্তি পাওয়া যায়। ময়নামতি বিহার বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। লালমাই অঞ্চলের প্রাচীনতম সভ্যতার চলা নিদর্শন হলো ময়নামতি প্রত্নস্থল। এটি মূলত প্রাচীন নগরী ও বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসস্তূপের অবশিষ্টাংশ। বিক্রমপুর বিহার হলো বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার, বিক্রমপুরের অন্তর্গত মাহমুদনগর গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার ।
মৌসুমী জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Monsoon Climate): মৌসুমী জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যে হলো ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে দিক পরিবর্তন। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে এটি জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে গ্রীষ্মকাল বৃষ্টিবহুল এবং শীতকাল প্রায় বৃষ্টিহীন অবস্থায় থাকে। বায়ুর চাপ, তাপ, প্রবাহ এবং বৃষ্টিপাত দ্বারা এ জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নিরূপন করা হয়। সাধারণত মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে তিনটি ঋতু সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। এগুলো হলোঃ শীতল ও শুষ্ক শীতকাল, উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং আর্দ্র বর্ষাকাল। মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলভুক্ত অঞ্চলের সব ঋতুতেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তবে বর্ষাকালেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনের কার্যালয় উহানের পৌর স্বাস্থ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতির বরাত দিয়ে জানায় যে, উহানে বেশ কয়েকটি অজানা ভাইরাল নিউমোনিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে এ রোগের বিস্তারিত প্রকাশ করে এবং সব সদস্য রাষ্ট্রকে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকতে উপদেশ দেয়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি চীনের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, একটি নতুন করোনাভাইরাস এ নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১ ফেব্রুয়ারি এ রোগের নামকরণ করে কোভিড-১৯। এ ঘটনার পরে বাংলাদেশে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তার জাতীয় রেপিড রেসপন্স টিমকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়, ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিকে রোগটি নির্ণয়ের জন্য প্রস্তুত করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা মহামারি নিয়ন্ত্রণে তাদের নিয়মিত প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ২০ জানুয়ারি, ২০২০ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে একটি অনুশীলন মহড়ার আয়োজন করে। ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ যখন চীনের উহান থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়, তখন এ মহড়ার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে ।
২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিট সরবরাহ শুরু করে। আইইডিসিআর-ও এক সপ্তাহের মধ্যে কিট পেয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ।
রোগ নজরদারি করা ও অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব তদন্ত করার সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আইইডিসিআর। সে অনুযায়ী কারও কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিয়েছে এবং তাদের কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া দেশে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে কিংবা ওইসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন সব ব্যক্তিদের রোগতাত্ত্বিক তদন্ত করে আইইডিসিআর। সন্দেহ হলে তাদের নাক-গলার রস সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিটি রোগী ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকে এভাবে রোগতাত্ত্বিক তদন্ত, বাড়িতে চিকিৎসা, প্রয়োজনে হাসপাতালে প্রেরণ, রোগীর অবস্থার অনুসরণ, সেরে ওঠা নিশ্চিত করার জন্য আবার নমুনা পরীক্ষা করা ও সেরে ওঠার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত খবর রাখা ইত্যাদি কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করে আইইডিসিআর। জনগণকে আসন্ন বিশ্বমারি সম্পর্কে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, বাংলাদেশে রোগের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণের জিজ্ঞাসার জবাব দেওয়ার জন্য আইইডিসিআর প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হতো। কোভিড-১৯ বিশ্বমারি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে তা পরিমাপ করা হয়েছে একটি দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর দিন থেকে ৫০ দিনের মধ্যে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় কতজন মৃত্যুবরণ করেছেন সে হার দিয়ে। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ছিল প্রতি লাখে ০.২-এর কম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ জন (বাংলাদেশের ৪০ গুণ), অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সমান, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে সামান্য বেশি, জাপান প্রায় শূন্য।
: ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়- যার রয়েছে বিশাল এক প্রভাব। এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই পরবর্তী সব আন্দোলন-সংগ্রামের ডালপালা গজিয়েছিল। তাই ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । আমাদের জাতীয়তাবাদ ও বাঙালিয়ানার জোয়ার কিন্তু ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্য দিয়েই এসেছে। একুশের চেতনার প্রসারিত প্রভাব থেকেই ৬ দফা, ছাত্রদের ১১ দফা ও মওলানা ভাসানীর ১৪ দফা। এগুলোর সম্মিলিত ফলাফলই হল '৬৯-এর গণজাগরণ। তার পরিণামে '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাঙালিয়ানার যে জোয়ার আসে সেটাই আমাদের জাতীয়তাবোধের জন্ম দেয়। আর এই জাতীয়তাবোধের উৎসারিত চেতনা থেকেই আমরা এখনও সব আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা পাই। শোষণের বিরুদ্ধে, নির্যাতনের বিরুদ্ধে, দাবি আদায়ের সংগ্রামে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি।
জিব্রাল্টার প্রণালি আফ্রিকা ও ইউরোপকে পৃথক করেছে এবং উত্তর আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে।
৪ জুলাই, ১৮৮৬ সাল। ফ্রান্সের তরফে একটি বিশাল প্রতিমূর্তি উপহার দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি' নামে বিশ্ববিখ্যাত নান্দনিক ভাস্কর্যটি এখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ‘সিম্বোলিক আইকন'। 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি কে স্থাপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান শহর ও একদার রাজধানী নিউইয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে হাডসন নদীর মুখে, যেখানে জাহাজ নোঙর করে । যে স্থানটি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনকারী এবং অন্য দেশ থেকে ফিরে আসা আমেরিকানসহ সকল পর্যটকদের স্বাগতম জানায়। তামার তৈরি ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি' ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উপহার হিসেবে আসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে। ঘটনাটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষপূর্তির। সে উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফ্রান্সের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছিল ভাস্কর্যটি।
বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য অন্যতম এক উৎসব ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুজিব: একটি জাতির রূপকার' এর ট্রেলার প্রিমিয়ার প্রদর্শিত হয়েছে যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ সিনেমাতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা ।
বিশ্বায়ন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধারণা, পণ্য এবং পরিষেবা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বায়নকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানুষকে সংযুক্ত করার একটি প্রক্রিয়া হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে ৷ সাধারণ অর্থে, বিশ্বায়ন বলতে সারা বিশ্বের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান একীকরণকে বোঝায়। এই একীকরণ আন্তর্জাতিক সীমানা জুড়ে মানুষ এবং জ্ঞানের চলাচল ছাড়াও সীমান্তের ওপারে পণ্য, পরিষেবা এবং পুঁজির চলাচলে ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বায়ন বিশ্বের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান আন্তঃনির্ভরতাকে বর্ণনা করে যা পণ্য, পরিষেবা, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগের প্রবাহ, মানুষ এবং তথ্যের আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য দ্বারা সৃষ্ট। অ্যান্থনি গিডেনস এর মতে, 'বিশ্বায়ন বলতে বোঝায় যে আমরা সবাই ক্রমবর্ধমানভাবে এক বিশ্বে বাস করি যেখানে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং জাতি পরস্পর নির্ভরশীল হয়।' সমাজবিজ্ঞানী মার্টিন অ্যালব্রো এবং এলিজাবেথ কিং এর মতে, ‘বিশ্বায়ন সেই সমস্ত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ একটি একক বিশ্ব সমাজে অন্তর্ভুক্ত হয়।'
বিশ্বায়নের সুবিধা বা ইতিবাচক দিকঃ দরিদ্র দেশগুলোকে বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে উৎপাদন শক্তি বৃদ্ধি; মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পূর্ণ প্রতিযোগিতা বজায় থাকার ফলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা; আমদানি-রপ্তানি অবাধ হওয়ায় যে কোন পণ্য বিশ্ব গতিশীলতা; মানুষের মেধা ও দক্ষতার বিশ্ববাজারে প্রবেশ; এক বিশ্ব এক জাতি ধারণার ফলে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও মানব সৌহার্দ্য বৃদ্ধি; তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ সহায়তার পাশাপাশি জি.এস.পি সুবিধা ।
বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ বা নেতিবাচক দিকঃ দেশীয় উৎপাদন কাঠামো, দেশীয় শিল্প ও দেশীয় প্রযুক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থঃ উন্নয়ন সাহায্যের নামে উন্নত দেশগুলো তৃতীয় বিশ্বকে পরনির্ভরশীল করে তোলা; মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে দেশীয় পুঁজি ধনী দেশগুলো করতলগত হওয়া; অবাধ তথ্য প্রবাহের ফলে স্থানীয় ও জাতীয় স্বকীয়তার বিনাশ; সংস্কৃতি অনুপ্রবেশের ফলে সংস্কৃতির সংকরায়ণ ঘটার ফলে জাতি-সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, আদর্শ ও মূল্যবোধের বিপর্যয়; সকল সুবিধা ভোগ করার ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলোই সমৃদ্ধি ও উন্নতি লাভ করছে।
যেসব জ্বালানি বা শক্তি পুনঃপুন ব্যবহার করা যায় বা যেসব শক্তির উৎস শেষ হয়না তাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে। যেমনঃ সূর্যের আলো, বাতাস, পরমাণু শক্তি, নদীর স্রোত ইত্যাদি ।
গ্রীন হাউজ হলো কাঁচের তৈরি ঘর যার ভেতর গাছপালা লাগানো হয়। শীতপ্রধান দেশে তীব্র ঠাণ্ডার হাত থেকে গাছপালাকে রক্ষার জন্য গ্রীন হাউজ তৈরি করা হয়। গ্রীন হাউজ কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন সুইডিস রসায়নবিদ সোভনটে আরহেনিয়াস ১৮৯৬ সালে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়াকে গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলে । গ্রীন হাউজ ইফেক্ট বলতে মূলত তাপ আটকে রেখে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বুঝায়। এর ফলে উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে যাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে। গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলোঃ ১. কার্বন ডাই-অক্সাইড ২. মিথেন ৩. জলীয়বাষ্প ৪. ওজোন ৫. সিএফসি (ক্লোরো-ফ্লোরো কার্বন)।
ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম হলো এসকরবিক এসিড। বিশুদ্ধ এসকরবিক এসিড সাদা, দানাদার, সহজেই পানিতে দ্রবীভূত হয়। এই ভিটামিন তাপ, আলো, বাতাস, ক্ষার ও ধাতবে সংস্পর্শে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিছু ফলঃ
আমলকি (৪৬৩ মিলিগ্রাম), পেয়ারা (২২৮), করমচা (১৩৫), জাম্বুরা (১০৫), আমড়া (৯২), ডেউয়া (৬৬), কাগজি লেবু (৬৩), পাকা পেঁপে (৬২), কালোজাম (৬০), মাল্টা (৫৪), বরই (৫১), মুসাম্বি (৫০), লেবু (৪৭), পাকা আম (৪১), কমলা (৪০), জলপাই (৩৯), আতা (৩৮), পাকা তাল (৩৫), আনারস (৩৪), লিচু (৩১), বেদানা (২৬), বাঙ্গি (২৬), তরমুজ (২৪), জামরুল (২২) ইত্যাদি।
খাবার স্যালাইন আবিষ্কার করে আইসিডিডিআরবি। স্যালাইন মূলত লবণের ঘাটতি পূরণ করার কাজে ভূমিকা রাখে ।
শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে লবণের ভারসাম্য রক্ষা করাটা খুবই জরুরি। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমরা প্রচুর লবণ হারাই। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরও ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে, এতে লবণের আধিক্য হবে না বা রক্তচাপও বাড়বে না ।
খাদ্যের মূল ৬ টি উপাদান থাকে, যথাঃ শর্করা, আমিষ বা প্রোটিন, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ এবং জল । শর্করা আমাদের দেহে শক্তি প্রদান করে। স্বাস্থ্যকর দেহের জন্য শর্করা জরুরী। কিছু শর্করা জাতীয় খাবার হলো: গম, ভুট্টা, যব, আলু ইত্যাদি