গ্রীন হাউজ হলো কাঁচের তৈরি ঘর যার ভেতর গাছপালা লাগানো হয়। শীতপ্রধান দেশে তীব্র ঠাণ্ডার হাত থেকে গাছপালাকে রক্ষার জন্য গ্রীন হাউজ তৈরি করা হয়। গ্রীন হাউজ কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন সুইডিস রসায়নবিদ সোভনটে আরহেনিয়াস ১৮৯৬ সালে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়াকে গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলে । গ্রীন হাউজ ইফেক্ট বলতে মূলত তাপ আটকে রেখে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বুঝায়। এর ফলে উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে যাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে। গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলোঃ ১. কার্বন ডাই-অক্সাইড ২. মিথেন ৩. জলীয়বাষ্প ৪. ওজোন ৫. সিএফসি (ক্লোরো-ফ্লোরো কার্বন)।
ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম হলো এসকরবিক এসিড। বিশুদ্ধ এসকরবিক এসিড সাদা, দানাদার, সহজেই পানিতে দ্রবীভূত হয়। এই ভিটামিন তাপ, আলো, বাতাস, ক্ষার ও ধাতবে সংস্পর্শে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিছু ফলঃ
আমলকি (৪৬৩ মিলিগ্রাম), পেয়ারা (২২৮), করমচা (১৩৫), জাম্বুরা (১০৫), আমড়া (৯২), ডেউয়া (৬৬), কাগজি লেবু (৬৩), পাকা পেঁপে (৬২), কালোজাম (৬০), মাল্টা (৫৪), বরই (৫১), মুসাম্বি (৫০), লেবু (৪৭), পাকা আম (৪১), কমলা (৪০), জলপাই (৩৯), আতা (৩৮), পাকা তাল (৩৫), আনারস (৩৪), লিচু (৩১), বেদানা (২৬), বাঙ্গি (২৬), তরমুজ (২৪), জামরুল (২২) ইত্যাদি।
খাবার স্যালাইন আবিষ্কার করে আইসিডিডিআরবি। স্যালাইন মূলত লবণের ঘাটতি পূরণ করার কাজে ভূমিকা রাখে ।
শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে লবণের ভারসাম্য রক্ষা করাটা খুবই জরুরি। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমরা প্রচুর লবণ হারাই। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরও ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে, এতে লবণের আধিক্য হবে না বা রক্তচাপও বাড়বে না ।
খাদ্যের মূল ৬ টি উপাদান থাকে, যথাঃ শর্করা, আমিষ বা প্রোটিন, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ, খনিজ লবণ এবং জল । শর্করা আমাদের দেহে শক্তি প্রদান করে। স্বাস্থ্যকর দেহের জন্য শর্করা জরুরী। কিছু শর্করা জাতীয় খাবার হলো: গম, ভুট্টা, যব, আলু ইত্যাদি