প্রথম গ্রন্থ 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' প্রকাশকাল ১৮ জুন ২০১২ সালে। দ্বিতীয় গ্রন্থ 'কারাগারের রোজনামচা' প্রকাশকাল ১৭ মার্চ ২০১৭ সালে। তৃতীয় গ্রন্থ 'আমার দেখা নয়াচীন' আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ যা ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়।

নওগাঁ জেলার সোমপুর বিহার পাহাড়পুর বিহার নামেও পরিচিত। এটি একটি বৌদ্ধ বিহার। এতে ৬৩টি মূর্তি পাওয়া যায়। ময়নামতি বিহার বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। লালমাই অঞ্চলের প্রাচীনতম সভ্যতার চলা নিদর্শন হলো ময়নামতি প্রত্নস্থল। এটি মূলত প্রাচীন নগরী ও বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসস্তূপের অবশিষ্টাংশ। বিক্রমপুর বিহার হলো বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার, বিক্রমপুরের অন্তর্গত মাহমুদনগর গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার । 

মৌসুমী জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Monsoon Climate): মৌসুমী জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যে হলো ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে দিক পরিবর্তন। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে এটি জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে গ্রীষ্মকাল বৃষ্টিবহুল এবং শীতকাল প্রায় বৃষ্টিহীন অবস্থায় থাকে। বায়ুর চাপ, তাপ, প্রবাহ এবং বৃষ্টিপাত দ্বারা এ জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নিরূপন করা হয়। সাধারণত মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে তিনটি ঋতু সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। এগুলো হলোঃ শীতল ও শুষ্ক শীতকাল, উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং আর্দ্র বর্ষাকাল। মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলভুক্ত অঞ্চলের সব ঋতুতেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হয়। তবে বর্ষাকালেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনের কার্যালয় উহানের পৌর স্বাস্থ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতির বরাত দিয়ে জানায় যে, উহানে বেশ কয়েকটি অজানা ভাইরাল নিউমোনিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৫ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে এ রোগের বিস্তারিত প্রকাশ করে এবং সব সদস্য রাষ্ট্রকে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকতে উপদেশ দেয়। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি চীনের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, একটি নতুন করোনাভাইরাস এ নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১ ফেব্রুয়ারি এ রোগের নামকরণ করে কোভিড-১৯। এ ঘটনার পরে বাংলাদেশে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তার জাতীয় রেপিড রেসপন্স টিমকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়, ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিকে রোগটি নির্ণয়ের জন্য প্রস্তুত করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা মহামারি নিয়ন্ত্রণে তাদের নিয়মিত প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ২০ জানুয়ারি, ২০২০ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে একটি অনুশীলন মহড়ার আয়োজন করে। ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ যখন চীনের উহান থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়, তখন এ মহড়ার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে ।

২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিট সরবরাহ শুরু করে। আইইডিসিআর-ও এক সপ্তাহের মধ্যে কিট পেয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ।

রোগ নজরদারি করা ও অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব তদন্ত করার সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আইইডিসিআর। সে অনুযায়ী কারও কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দিয়েছে এবং তাদের কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া দেশে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে কিংবা ওইসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন সব ব্যক্তিদের রোগতাত্ত্বিক তদন্ত করে আইইডিসিআর। সন্দেহ হলে তাদের নাক-গলার রস সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিটি রোগী ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকে এভাবে রোগতাত্ত্বিক তদন্ত, বাড়িতে চিকিৎসা, প্রয়োজনে হাসপাতালে প্রেরণ, রোগীর অবস্থার অনুসরণ, সেরে ওঠা নিশ্চিত করার জন্য আবার নমুনা পরীক্ষা করা ও সেরে ওঠার পরে ১৪ দিন পর্যন্ত খবর রাখা ইত্যাদি কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করে আইইডিসিআর। জনগণকে আসন্ন বিশ্বমারি সম্পর্কে সচেতন করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, বাংলাদেশে রোগের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণের জিজ্ঞাসার জবাব দেওয়ার জন্য আইইডিসিআর প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হতো। কোভিড-১৯ বিশ্বমারি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে তা পরিমাপ করা হয়েছে একটি দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুর দিন থেকে ৫০ দিনের মধ্যে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় কতজন মৃত্যুবরণ করেছেন সে হার দিয়ে। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ছিল প্রতি লাখে ০.২-এর কম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ জন (বাংলাদেশের ৪০ গুণ), অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সমান, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে সামান্য বেশি, জাপান প্রায় শূন্য।

: ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়- যার রয়েছে বিশাল এক প্রভাব। এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই পরবর্তী সব আন্দোলন-সংগ্রামের ডালপালা গজিয়েছিল। তাই ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় । আমাদের জাতীয়তাবাদ ও বাঙালিয়ানার জোয়ার কিন্তু ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্য দিয়েই এসেছে। একুশের চেতনার প্রসারিত প্রভাব থেকেই ৬ দফা, ছাত্রদের ১১ দফা ও মওলানা ভাসানীর ১৪ দফা। এগুলোর সম্মিলিত ফলাফলই হল '৬৯-এর গণজাগরণ। তার পরিণামে '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভাষা আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাঙালিয়ানার যে জোয়ার আসে সেটাই আমাদের জাতীয়তাবোধের জন্ম দেয়। আর এই জাতীয়তাবোধের উৎসারিত চেতনা থেকেই আমরা এখনও সব আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা পাই। শোষণের বিরুদ্ধে, নির্যাতনের বিরুদ্ধে, দাবি আদায়ের সংগ্রামে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি।

জিব্রাল্টার প্রণালি আফ্রিকা ও ইউরোপকে পৃথক করেছে এবং উত্তর আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে।

৪ জুলাই, ১৮৮৬ সাল। ফ্রান্সের তরফে একটি বিশাল প্রতিমূর্তি উপহার দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি' নামে বিশ্ববিখ্যাত নান্দনিক ভাস্কর্যটি এখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ‘সিম্বোলিক আইকন'। 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি কে স্থাপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান শহর ও একদার রাজধানী নিউইয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে হাডসন নদীর মুখে, যেখানে জাহাজ নোঙর করে । যে স্থানটি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনকারী এবং অন্য দেশ থেকে ফিরে আসা আমেরিকানসহ সকল পর্যটকদের স্বাগতম জানায়। তামার তৈরি ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি' ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উপহার হিসেবে আসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে। ঘটনাটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষপূর্তির। সে উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফ্রান্সের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছিল ভাস্কর্যটি। 

বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য অন্যতম এক উৎসব ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুজিব: একটি জাতির রূপকার' এর ট্রেলার প্রিমিয়ার প্রদর্শিত হয়েছে যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ সিনেমাতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা ।

বিশ্বায়ন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধারণা, পণ্য এবং পরিষেবা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বায়নকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানুষকে সংযুক্ত করার একটি প্রক্রিয়া হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে ৷ সাধারণ অর্থে, বিশ্বায়ন বলতে সারা বিশ্বের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান একীকরণকে বোঝায়। এই একীকরণ আন্তর্জাতিক সীমানা জুড়ে মানুষ এবং জ্ঞানের চলাচল ছাড়াও সীমান্তের ওপারে পণ্য, পরিষেবা এবং পুঁজির চলাচলে ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বায়ন বিশ্বের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান আন্তঃনির্ভরতাকে বর্ণনা করে যা পণ্য, পরিষেবা, প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগের প্রবাহ, মানুষ এবং তথ্যের আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য দ্বারা সৃষ্ট। অ্যান্থনি গিডেনস এর মতে, 'বিশ্বায়ন বলতে বোঝায় যে আমরা সবাই ক্রমবর্ধমানভাবে এক বিশ্বে বাস করি যেখানে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং জাতি পরস্পর নির্ভরশীল হয়।' সমাজবিজ্ঞানী মার্টিন অ্যালব্রো এবং এলিজাবেথ কিং এর মতে, ‘বিশ্বায়ন সেই সমস্ত প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ একটি একক বিশ্ব সমাজে অন্তর্ভুক্ত হয়।'

বিশ্বায়নের সুবিধা বা ইতিবাচক দিকঃ দরিদ্র দেশগুলোকে বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে উৎপাদন শক্তি বৃদ্ধি; মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পূর্ণ প্রতিযোগিতা বজায় থাকার ফলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা; আমদানি-রপ্তানি অবাধ হওয়ায় যে কোন পণ্য বিশ্ব গতিশীলতা; মানুষের মেধা ও দক্ষতার বিশ্ববাজারে প্রবেশ; এক বিশ্ব এক জাতি ধারণার ফলে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও মানব সৌহার্দ্য বৃদ্ধি; তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ সহায়তার পাশাপাশি জি.এস.পি সুবিধা ।

বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ বা নেতিবাচক দিকঃ দেশীয় উৎপাদন কাঠামো, দেশীয় শিল্প ও দেশীয় প্রযুক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থঃ উন্নয়ন সাহায্যের নামে উন্নত দেশগুলো তৃতীয় বিশ্বকে পরনির্ভরশীল করে তোলা; মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে দেশীয় পুঁজি ধনী দেশগুলো করতলগত হওয়া; অবাধ তথ্য প্রবাহের ফলে স্থানীয় ও জাতীয় স্বকীয়তার বিনাশ; সংস্কৃতি অনুপ্রবেশের ফলে সংস্কৃতির সংকরায়ণ ঘটার ফলে জাতি-সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, আদর্শ ও মূল্যবোধের বিপর্যয়; সকল সুবিধা ভোগ করার ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলোই সমৃদ্ধি ও উন্নতি লাভ করছে।

যেসব জ্বালানি বা শক্তি পুনঃপুন ব্যবহার করা যায় বা যেসব শক্তির উৎস শেষ হয়না তাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে। যেমনঃ সূর্যের আলো, বাতাস, পরমাণু শক্তি, নদীর স্রোত ইত্যাদি ।

Related Sub Categories