মুজিবনগর মেহেরপুরে অবস্থিত।(৩৩,২০বিসিএস) মুজিবনগরে ১০ অ্যাপ্রিল, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল।(২২,১৪বিসিএস)১০ অ্যাপ্রিল ১৯৭১ সালে, মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।(৩৯,৩৪বিসিএস) ১৭ অ্যাপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রের ঘোষণা ছিল ১৭ অ্যাপ্রিল, ১৯৭১।(১০বিসিএস) ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম ছিল জয় বাংলা।(৪২বিসিএস)
মুজিবনগর সরকার | |
১৯৭১, ২৬ মার্চ | মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্র কার্যকর |
১৯৭১, ১০ অ্যাপ্রিল | প্রথম মুজিবনগর সরকার গঠন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা(৩৯বিসিএস) |
১৯৭১, ১০ অ্যাপ্রিল | স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী |
১৯৭১, ১৭ অ্যাপ্রিল | মুজিবনগর সরকারের শপথ পাঠ |
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী করা হয় মুজিবনগর। সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় স্থাপিত হয় কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে। মুক্তিযুদ্ধকালে কোলকাতার ৮, থিয়েটার রোডে বাংলাদেশ বাহিনী গঠন করা হয় ১২ অ্যাপ্রিল, ১৯৭১ সালে।(৪১বিসিএস)
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এ জি ওসমানী সুষ্ঠুভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র যুদ্ধ ক্ষেত্রকে ১১টি সেক্টরে(২৯,২৩,২২,২০,১৯,১৫বিসিএস) এবং ৬৪টি সাব-সেক্টরে ভাগ করেন। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্ব একজন সেক্টর কমান্ডারের উপর ন্যস্ত ছিল।
সেক্টর | ১ |
সাবসেক্টর | ৫টি |
সদরদপ্তর | শিলং |
অঞ্চল |
চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার মুক্তিযুদ্ধের আওতাধীন নদী পর্যন্ত এলাকা। |
সেক্টর | ২ |
সাবসেক্টর | - |
সদরদপ্তর | মেলাঘর |
বৈশিষ্ট্য | ক্র্যাক প্লাটুন |
অঞ্চল |
নোয়াখালী, আখাউড়া, ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত, কুমিল্লা জেলা, সিলেট জেলার হবিগঞ্জ (বর্তমানে জেলা), ঢাকা, ফরিদপুর জেলার কিছু অংশ।(১৮বিসিএস) |
সেক্টর | ৩ |
সাবসেক্টর | ১০টি |
সদরদপ্তর | হেজামারা |
বৈশিষ্ট্য | ১০০০০ গেরিলা ছিলো |
অঞ্চল |
আখাউড়া। ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলা। সিলেট, ঢাকা জেলার অংশবিশেষ ও কিশোরগঞ্জ। |
সেক্টর | ৪ |
সদরদপ্তর | খোয়াই |
অঞ্চল |
সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল। খোয়াই - শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন পর্যন্ত। খোয়াই - শায়েস্তাগঞ্জের ডাউকি সড়ক পর্যন্ত। |
সেক্টর | ৫ |
সদরদপ্তর | শিলং |
অঞ্চল |
সিলেট জেলার পশ্চিমাঞ্চল। সিলেট- ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ- ময়মনসিংহ সড়ক পর্যন্ত এলাকা। আজমেরীগঞ্জ ও লখাইয়ের পশ্চিমাঞ্চল। |
সেক্টর | ৬ |
সাবসেক্টর | ৫টি |
সদরদপ্তর | পাটগ্রাম |
অঞ্চল |
রংপুর জেলা, দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা (বর্তমানে জেলা)। |
সেক্টর | ৭ |
সাবসেক্টর | ৮টি |
সদরদপ্তর | মুজিবনগর (মেহেরপুর) |
অঞ্চল |
দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা। |
সেক্টর | ৮ |
সাবসেক্টর | ৮টি |
অঞ্চল |
কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুরের অধিকাংশ এবং খুলনা জেলার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত এলাকা। |
সেক্টর | ৯ |
সাবসেক্টর | ৩টি |
অঞ্চল |
দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চল, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা।
১৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭টি জাহাজ ধ্বংস করে। প্রশিক্ষণ নেয় ৩৫৭ জন। |
রুহুল আমিন |
সেক্টর | ১০ |
বৈশিষ্ট্য | প্রধান সেনাপতি বিশেষ বাহিনী |
অঞ্চল |
দশ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ-কমান্ডো,(৩৯বিসিএস) সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নৌপথ। মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ কমান্ডারগণ যখন যে সেক্টরে কাজ করেছেন, তখন সেসব সেক্টর কমান্ডারগণের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছেন। |
সেক্টর | ১১ |
সদরদপ্তর | মহেন্দ্রগঞ্জ |
অঞ্চল |
কিশোরগঞ্জ ছাড়া ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা। |
উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে হেঁটে চলেছে। এই উন্নয়নের গতিকে আরো বেগবান ও গতিময় করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে রূপান্তর হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে একটা অন্যতম উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আজকের বাংলাদেশে অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবেই তৈরি হচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়কের বাংলাদেশ।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত বেসামরিক বাঙালি ও অবাঙ্গালিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। এটি সাভারে অবস্থিত। এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।
আমার দেখা নয়াচীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ সালের রাজনৈতিক জীবনের প্রথমদিকে গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি ডায়েরির পুস্তকি রূপ। এটি শেখ মুজিবর রহমান রচিত তৃতীয় গ্রন্থ। শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ২০২০ সালে বইটি প্রকাশ করে।
১৯৭২ সালের প্রণীত মূলনীতিই সংবিধানের মূলনীতি। বর্তমান সংবিধানের মূলনীতি ৫ম সংশোধনী দ্বারা প্রবর্তিত। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ৪টি।
সংবিধানের চার মূলনীতি |
| ||
ক | ধর্ম নিরপেক্ষতা | secularity | সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস। Absolute Trust and Faith in the Almighty Allah. |
খ | জাতীয়তাবাদ | nationalism | |
গ | গণতন্ত্র | democracy | |
ঘ | সমাজতন্ত্র | socialism | অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে। |