বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড || গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট (20-01-2024) || 2024

All

নিচের যে কোনো একটি বিষয়ের উপর নাতিদীর্ঘ রচনা লিখুনঃ
1.

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের প্রস্তুতি

Created: 1 month ago | Updated: 6 hours ago

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের প্রস্তুতি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হল একটি প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বিপ্লব। এই বিপ্লবের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা যোগ হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, রোবোটিক্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে এই বিপ্লব ঘটছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিশ্ব অর্থনীতি, সমাজে এবং মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। এই বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে। নতুন নতুন শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হবে। যেমন, নতুন প্রযুক্তি শিখতে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে। অনেক শ্রমিকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশের প্রস্তুতি

বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন,

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উন্নয়ন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। তাই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়ন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ প্রযুক্তিগত অবকাঠামো। তাই সরকার ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি, ডেটা সেন্টার নির্মাণ, ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
নীতিগত সহায়তা: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিভিন্ন নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। যেমন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়ন নীতিমালা প্রণয়ন, শিল্প ও ব্যবসায়ের জন্য সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
উপসংহার

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিশ্বকে বদলে দেবে। বাংলাদেশ এই বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে:

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। তাই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়ন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ প্রযুক্তিগত অবকাঠামো। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
নীতিগত সহায়তা: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ যদি এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেয়, তাহলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হবে।

নিচের যে কোনো একটি বিষয়ের উপর নাতিদীর্ঘ রচনা লিখুনঃ
2.

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ

Created: 1 month ago | Updated: 6 hours ago

দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ

সূচনা : বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিঃ বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। বাংলাদেশে যেসব সামাজিক সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে দারিদ্র্য প্রধান সমস্যা। দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতে এ দেশের সমাজজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত। কাজেই দারিদ্র্য বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গৃহীত কর্মসূচিসমূহের পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বের দাবিদার।

দারিদ্র্য: দারিদ্র্য একটি আপেক্ষিক বিষয় একে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। আভিধানিক অর্থে ‘দারিদ্র্য্য’ বলতে অভাব বা অনটনকেই বোঝায়। দারিদ্র্য মানে মৌলিক সামর্থ্যের অভাব। ন্যূনতম খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাবসমূহ মৌলিক সামর্থ্যের অভাবের আওতায় পড়ে বস্তুত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দরিদ্র হলো সেই ব্যক্তি, যে তার আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে নিতান্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিকিৎসার ন্যূনতম মানও বজায় রাখতে পারে না। বর্তমানে দারিদ্র্য পরিমাপে ‘দারিদ্র্যসীমা’ ধারণাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই হিসাবে যারা দৈনিক
২১২২ কিলো ক্যালরির কম খাবার পায় তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করে। আর যারা ১৮০৫ কিলো ক্যালরির কম খাবার পায় তারা চরম দারিদ্র্যের শিকার।

 

বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি: যদিও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষীত সকল নীতি-পরিকল্পনায় দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিগত প্রায় সব সরকারই বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তবুও বাংলাদেশে দারিদ্রা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।

বিভিন্ন তথ্য মতে, দেশে দারিদ্র্য্য ক্রমহ্যসমান হলেও এখনো দারিদ্র্যের উপস্থিতি সুবিস্তৃত ও গভীর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত থানা আয় ও ব্যয় নির্ধারণ জরিপ, ২০০০-এর প্রাণনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু ২১২২ কিলোক্যালরি গ্রহণ পরিমাপে ২০০০ সালে পরী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৪২.৩ শতাংশ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং দৈনিক ১৮০৫ কিলোক্যালরি গ্রহণ পরিমাপে ১৮৭ শতাংশ ছিল চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে।

ধনী-গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি: ১৯৯৫-৯৬ সালে সর্বোচ্চ ধনী ৫ শতাংশের আয়ে পরিমাণ ছিল সবেচেয়ে গরিব ৫ শতাংশের আয়ের তুলনায় ২৭ গুণ বেশি। ২০০০ সালে তা বেড়ে ৪ গুণ হয়েছে। সমীক্ষার তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে গরিবদের মধ্যেও শহর-গ্রামের বৈষম্য বেড়েছে শহরের চেয়ে গ্রামীণ গরিবদের আয় কমেছে অনেক বেশি হারে।

অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন, দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় আয় বন্টনের ক্ষেত্রে গরিব জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত রাখা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে আমাবলকে উপেক্ষা করাই এই বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার দারিদ্র্য বিমোচনের বাহারি কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। শহরগুলোতে এক শ্রেণীর মানুষের ভোগবিলাসের পাশাপাশি সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাহীন জীবনযাপন প্রকটভাবেই এই বৈষম্যের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারি কর্মসূচি: বাংলাদেশ সরকার দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:

১. দারিদ্র্য বিমোচনে নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি । ২. দারিদ্র্য বিমোচনে আবাসন প্রকল্প । ৩. দারিদ্র্য বিমোচন ও ছাগল উন্নয়ন প্রকল্প । ৪. বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি । ৫. গৃহায়ন তহবিল । ৬. কর্মসংস্থান ব্যাংক । ৭. দুস্থ মহিলা ভাতা কর্মসূচি । ৮ দরিদ্র ও অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য গৃহায়ন কর্মসূচি । ৯. আশ্রায়ন প্রকল্প।

ফরাসি

ফরাসি

উড়নচণ্ডী বাগধারাটির অর্থ অমিতব্যয়ী 

ক্রিয়াপদের  মূল অংশকে ধাতু বলে।

ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি = ইতিহাসবেত্তা 

ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি = ইতিহাসবেত্তা 

Created: 1 month ago | Updated: 6 hours ago

সাহেব শব্দের বহুবচন সাহেবান।

Related Sub Categories