দ্বৈত নাগরিকতা কাকে বলে?
একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে দুটি দেশের নাগরিকতা অর্জনকে দ্বৈত নাগরিকতা বলে ।
সাধারণত একজন ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রের নাগরিকতা অর্জনের সুযোগ পায়। তবে জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জনের দুটি নীতি থাকায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন: বাংলাদেশ নাগরিকতা নির্ধারণে জন্মনীতি অনুসরণ করে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানীতি ও জন্মস্থান উত্তর নীতি অনুসরণ করে। কাজেই বাংলাদেশের মা-বাবার সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে সেই সস্তান অন্যস্থান নীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভ করবে। আবার জন্মনীতি অনুযারী সে বাংলাদেশের নাগরিকতা অর্জন করবে। এভাবে দ্বৈত নাগরিক হওয়া যায়।
অ্যামিকাস কিউরি কি?
অ্যামিকাস কিউরি (Amicus Curiac) বাংলায় বললে দাড়ায় আদালতের বন্ধু। আদালত যদি কোন বিষয় না লোকের বা আরো বোঝার বা জানার থাকলে, বিব্রত হলে কিংবা প্রয়োজন মনে করলে যে কোন বিষয়ের বিশেষজ্ঞের মতামত নিচে পারে। এই বিশেষজ্ঞদের তখন Amicus Curiae (অ্যামিকাস কিউরি) বা আদালতের বন্ধু বলে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমা কিভাবে চিহ্নিত হয় ?
রাষ্ট্রীয় জলসীমা (Territorial Waters) ১৯৭৪ সালের রাষ্ট্রীয় জলসীমা ও সামুদ্রিক এলাকা বিধি অনুসারে বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের LT-1/3/74 নং বিজ্ঞপ্তি দ্বারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সমুদ্র জলসীমা ১২ নটিকাল মাইল ও একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল (EEZ) ২০০ ন্যটিকাল মাইল চিহ্নিত করা হয়েছে। আঞ্চলিক জলসীমা ও সামুদ্রিক এলাকা আইনে (ধারা-৭) মহীসোপান হলো মহাসাগরের পর্যন্ত বা পাতালিক তলের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রগর্ভ ও আন্তঃসাগরীয় অন্তমৃত্তিকা নিম্ন গঠিত। এভাবে বর্ণিত সামুদ্রিক এলাকাগুলি ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশন অনুসারে প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ এ কনভেনশনে স্বাক্ষর করলেও এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেনি।
জিএসপি (GPS) কি?
জিএসপি হল জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স। পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বে শুল্ক মুক্ত অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা পাওয়াকেই জিএসপি বলে। শুল্ক মুক্ত অগ্রাধিকারমূলক থাকলে যে দেশে পোশাক যাবে সে দেশে কোন প্রকার ডাট ট্যাক্স দিতে হয় না। এই জন্য বাইয়ারদের টাকা কম খরচ হয়, তাতে তারা বেশি দামে বাংলাদেশ হতে পোশাক কিনতে পারে। এতে বাংলাদেশি মালিকদের বেশি লাভ হয়। সাধারণত বিদেশি বাইয়াররা ঐ সব দেশ হতে পোশাক কিনে, যে দেশে জিএসপি সুবিধা আছে।
বাংলা পিডিয়া কি?
বাংলাপিডিয়া বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় জ্ঞানকোষ। এই বিশ্বকোষ বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতে মুদ্রিত সংস্করণ, ইলেকট্রনিক সংস্করণ ও সিডি-রম আকারে উপলব্ধ। প্রতি দুই বছর অন্তর হালনাগাদ করার পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাপিডিয়া ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ১০ খণ্ডে এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালে বাংলাপিডিয়ার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো এবং ২০১২ সালে তা প্রকাশ করা হয়।
উত্তরা গণভবন কি?
দীঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং রামজীবন রায়ের ভূতপূর্ব দেওয়ান দয়ারাম রায় ১৮০২ সালে এই প্রাসাদের গোড়াপত্তন করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে রাজ পরিবার ভারতে চলে গেলে দীর্ঘদিন এটি অরক্ষিত ছিল। পরে দীঘাপতিয়ার মহারাজাদের এই বাসস্থানকে সংস্কার করে ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর আব্দুল মোনায়েম খান। “দীঘাপতিয়া গভর্ণর বাসভবন" হিসেবে উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একে “উত্তরা গণভবন” হিসাবে ঘোষণা দেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই ভবনের মূল প্রাসাদের ভিতর মন্ত্রিসভার বৈঠক আহবান করেন, সেই থেকে ভবনটি 'উত্তরা গণভবনের' প্রকৃত মর্যাদা লাভ করে ।