বিদেশ থেকে বাকি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বহুজাতিক কোম্পানি রূপে ও সরকারি বিদেশি সরকার ও তাদের এজেন কর্তৃক কোন দেশে বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হলে তাকে বৈদেশিক বিনিয়োগ বলে। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা গুলো হলো:
১) অবকাঠামোগত উন্নয়ন: বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকে উৎসাহীত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।
২) মানবসম্পদ উন্নয়ন: বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে বেশির ভাগ মানুষ বেকার। বিদেশিরা তাদের কল-কারখানায় সহ কম মূল্যে এই বেকার জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
৩) কারিগরি দক্ষতার উন্নয়ন: বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে দেশের কারিগরি দক্ষতার উন্নয়ন ঘটে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়। বাংলাদেশে প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
৪) কর অবকাশ সুবিধা প্রদান: বিদেশিরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয় এই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
৫) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমে যাওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা সুবিধা ভোগ করছে।
৬) সু-শাসন প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশে সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ফলে সু-শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৭) ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন: বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে পর্যাপ্ত পুঁজির সাথে দক্ষ ব্যবস্থাপকেরও আগমন ঘটে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সম্ভাবনাময় একটি দিক।
৮) উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস ও ভাবমূর্তি উন্নয়ণ: এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ এর সুবিধার পাশাপাশি বিনিয়োগের সমস্যা রয়েছে। সেগুলো হলো:
১) রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
২) সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘ সূত্রিতা।
৩) আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ।
৪) অবকাঠামোগত জটিলতা ও সমস্যা মুখোমুখি হওয়া।
৫) অদক্ষ শ্রমিক।
৬) বাজারের সংকীর্ণতা।
৭) শ্রমিক অসন্তোষ।
৮) দুর্নীতি ও আইন-শৃঙ্খলার অপব্যবহার।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত দেশের প্রধান জাদুঘর। এটি ১৯১৩ সালের ২০ই মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ৭ আগস্ট ১৯১৩ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৭ নভেম্বর এটিকে জাতীয় জাদুঘরের মর্যাদা দেয়া হয়। এখানে নৃতত্ব চারুকলা, ইতিহাস, প্রকৃতি এবং আধুনিক ও বিশ্ব সভ্যতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে আলাদা ৪৪টি প্রদর্শনীকক্ষ রয়েছে। এছাড়া এখানে একটি সংরক্ষণাগার, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, আরকাইভ, সিনেস্কেইপ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনালয় রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংগৃহীত নিদর্শনের সংখ্যা প্রায় ৯৪ হাজার। প্রতিটি নিদর্শনের একটি একসেশন নম্বর রয়েছে। নিদর্শনের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিয়ে কম্পিউটার ডেটাবেইস প্রণয়ণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচিত ৭৫০০ নিদর্শনের মুদ্রিত বর্ণনামূলক ক্যাটালগ প্রণয়ন ও প্রকাশনার কাজ চলছে।