"দেশের উন্নয়নে আয়করের ভূমিকা"
দেশের উন্নয়নে আয়কর বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্রের জনগন আয়কর প্রদান করে রাষ্ট্রের উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। যে দেশের জনগন যত বেশি আয়কর প্রদান করে সে দেশ ততবেশি উন্নত।
দেশের উন্নয়নে আয়কর যে ধরনের ভূমিকা রাখেঃ
শিক্ষা এবং প্রযুক্তিঃ একটি দেশের উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে শিক্ষিত নাগরিক গড়ে তোলা। প্রতিটি সরকারই এখাতে বিপুল পরিমাণে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। সরকারের নিজস্ব কোন আয় যেহেতু নেই। সেহেতু সরকার জনগণের আয় হতে কর আরোপ করে আয় করে এ সকল খাতে ব্যয় করে থাকে।
জনপ্রশাসনঃ সরকারের বাজেটের একটা বড় অংশ ব্যয় হয় সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করার দ্বারা। সরকারের এ সকল জনগন সরকারের পক্ষ হতে বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করে যা দেশের উন্নয়নে সহযোগী।
পরিবহন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ একটা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন পরিচালনার জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে থাকেন। যা রাষ্ট্রীয় আয় হতে ব্যয় করা হয়।
প্রতিরক্ষাঃ বিদেশি শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করে। দেশের সুরক্ষার জন্য সরকার এখাতে ব্যয় করে থাকে।
কৃষিঃ বাংলাদেশ সরকার যে সকল খাতে ভর্তুকী দিয়ে থাকে তার মাঝে কৃষিখাত অন্যতম। আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগন কৃষির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে এ খাতের উন্নয়ন দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
স্বাস্থ্যসেবাঃ অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারনে আমাদের দেশের জনগন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারে না। অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে সরকার বিশেষ ব্যয় করে থাকে। কেননা অসুস্থ জনগোষ্ঠী দ্বারা দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম দেশের উন্নয়নের জন্য আয়করের বিকল্প নেই। আয়কর প্রদান করার মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিক সক্রিয়ভাবে দেশের উন্নয়নে অংশ গ্রহণ করতে পারে। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের উচিত তার উপর অর্পিত আয়কর যথা সময়ে প্রদান করা।
উত্থাপন = উৎ + স্থাপন
মনীষা = মনস + ঈষা
ততোধিক = ততঃ + অধিক
ক্ষুৎপিপাসা = ক্ষুধ + পিপাসা
সুৰন্ত = সুপ্ + অন্ত
সধর্মচ্যুত = স্বধর্মচ্যুত
সৌজন্যতা = সৌজন্য
গর্ভধারিনি = গর্ভধারিণী
জোসনারাত = জ্যোৎস্নারাত
বীভিসিকা = বিভীষিকা
স্মৃতিসৌধ (স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ) = মধ্যপদলোপী কর্মধারয়।
শশব্যস্ত (শশকের (খরগোশ) ন্যায় ব্যস্ত) = উপমান কর্মধারয়।
খেয়াঘাট (খেয়ার ঘাট) = ষষ্ঠী তৎপুরুষ।
হতশ্রী (হত হয়েছে শ্রী যার) = সমানাধিকার বহুব্রীহি।
উদ্বেল
উদ্বেল (বেলাকে অতিক্রান্ত) = অব্যয়ীভাব সমাস।
গো-বৈদ্য (হাতুড়ে চিকিৎসক) = বাপ্পি সাহেবের বোন গো-বৈদ্য ডাক্তারের হাতে মরতে বসেছে ।
চোখ টাটান (ঈর্ষা করা) = ভাল কাজ করলে সবাই চোখ টাটায়।
দড়ি কলসি (আত্মহত্যার উপকরণ বিশেষ) = প্রয়োজনে দড়ি-কলসিও জোটে না বটে।
ফেঁপে ওঠা (ধনী হওয়া) = দুর্নীতি করে আজাদ সাহেব ফেঁপে ওঠেছেন।
ধ্যাড়ানো
ধ্যাড়ানো (বোকা লোক) = সৎ মানুষকে সবাই এখন ব্যাড়ানো ভাবে।