গবেষণা
গবেষণা = গো + এষণা
উদ্ভব
উদ্ভব = উৎ + ভব
সংগীত
সংগীত = সম্ + গীত
দিগন্ত
দিগন্ত = দিক্ + অন্ত
পবন
পবন = পো + অন
অকাল কুষ্মান্ড
অকাল কুষ্মাণ্ড (অপদার্থ): আফিফ একটা অকাল কুষ্মাণ্ড, ওর দ্বারা কিছু হবে না ।
মাছের মায়ের পুত্রশোক
মাছের মায়ের পুত্রশোক (কপট বেদনাবোধ): বুঝেছি বুঝেছি, তোমাকে আর মাছের মায়ের পুত্রশোক দেখাতে হবে না, আমার জন্য তোমার দরদ কত তা জানা আছে।
ভিজে বিড়াল
ভিজে বিড়াল (কপটচারী): সমাজে ভিজে বিড়ালদের চেনা সহজ নয় ।
বসন্তের কোকিল
বসন্তের কোকিল (সু সময়ের বন্ধু): হাবিব তো বসন্তের কোকিল, দুঃখের দিনে পাশে থাকবে না।
বালির বাঁধ
বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী বস্তু): বড়র পিরিতি বালির বাঁধ ।
খাওয়ার ইচ্ছা
ক্ষুধা
অন্য দেশ
অন্য দেশ = দেশান্তর
কণ্ঠের সমীপে
কণ্ঠের সমীপে = উপকণ্ঠ
মারার মত অবস্থা যার
মরার মত অবস্থা যার = মুমূর্ষু
অনেকের মধ্যে একজন
অন্যতম
মানবাধিকার
মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত বিষয় হচ্ছে ‘মানুষ’ ও ‘অধিকার' । শব্দ দু'টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত। সহজভাবে ‘মানবাধিকার’ বলতে আমরা সেই সব অধিকারকে বুঝি যা নিয়ে মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং যা তাকে পরিপূর্ণ মানুষে বিকশিত করতে সাহায্য করে এবং যা হরণ করলে মানুষ আর মানুষ থাকে না। মানুষ হিসেবে জন্মেছে বলেই এসব অধিকারও তার প্রাপ্য হয়েছে। মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। আর মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে উঠতে দরকার মানবাধিকার। মানবাধিকার ছাড়া মানুষের পূর্ণতা আসে না, মানুষ পরিপূর্ণরূপে মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। মানুষের জীবন-মৃত্যু যেমন মানুষ থেকে অবিচ্ছেদ্য তেমনি তার জন্যে কতিপয় মৌলিক অধিকারও অপরিহার্য ও অবিচ্ছেদ্য। আজ বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের চেতনা জাগ্রত হচ্ছে; মানুষ আরও বেশি সক্রিয় হচ্ছে মানবাধিকার রক্ষায়। দেশে দেশে এখন গড়ে উঠছে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, মানবাধিকার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী ও রাষ্ট্র মানবাধিকারের বিষয়ে এখন সদা জাগ্ৰত ।
মানবাধিকার' শব্দটিকে আরো সহজ করে বললে বলতে হবে ‘মানবের অধিকার' বা মানুষের অধিকার। অতএব, মানুষ এবং অধিকার শব্দদ্বয় হচ্ছে মানবাধিকারের অন্তর্নিহিত বিষয়। মানুষ জন্মসূত্রেই চিন্তাশক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং কথা বলার যোগ্যতা নিয়ে আসে। কোন রাষ্ট্র, সরকার বা স্বার্বভৌম শক্তি তাকে এসব প্রদান করে না। মানুষের জীবনটাও কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের দান নয়। অতএব রাষ্ট্র, সরকার বা অন্য কোন শক্তি মানুষের এসকল অধিকার কেড়ে নেয় তাহলে প্রকারান্তরে সে তার মনুষ্যত্বই কেড়ে নিল, হরণ করল তার মানবিক বৈশিষ্ট্য। এ অধিকারগুলো মুনুষের অবিচ্ছেদ্য এবং অন্তর্নিহিত। এ সকল অধিকার থেকে মানুষকে পৃথক করার কোন উপায় নেই। অতএব মানবাধিকার বলতে সেই অধিকার বুঝায় যে অধিকার নিয়ে মানুষ জন্মায় এবং যে অধিকার অর্জিত হলে মানুষ পূর্ণভাবে বিকশিত হতে পারে। সৃষ্টির সেরা মানুষ, আর মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে উঠতে দরকার মানবাধিকার । মানবাধিকার ছাড়া মানুষের পূর্ণতা আসে না, মানুষ পরিপূর্ণরূপে মানুষ হয়ে উঠতে পারে না।
লক্ষণীয় যে, আজকাল অধিকার শব্দের ব্যবহার হচ্ছে অত্যন্ত ব্যাপকভাবে। অবশ্য এক এক জন শব্দটিকে এক একভাবে ব্যবহার করছেন। মানবাধিকারে যে অধিকারের কথা বলা হয়েছে সেটি শুধু আইনগত অধিকার। যে অধিকারের ভিত্তি আইন তাকেই আইনগত অধিকার বলা যায়। যেখানে আইন নেই সেখানে আইনগত অধিকারের কোনো প্রশ্নই আসে না। আবার যে সকল দেশে আইন আছে সেসকল দেশেও আইনগত অধিকার যে একই রকম তা কিন্তু নয়। দেশে দেশে আইনের যেমন পার্থক্য আছে তেমনি পার্থক্য আছে আইনগত অধিকারেরও। আইনের পার্থক্য আইনগত অধিকারের পার্থক্যকেও চিহ্নিত করে। কোন কোন ক্ষেত্রে অধিকারের প্রকৃতি যদিও বিভিন্ন রকম হতে পারে তথাপি কিছু কিছু অধিকার সকল দেশে সকল রকম মানুষের ক্ষেত্র বিশেষে অভিন্ন ৷ বিশ্ব মানবাধিকার রক্ষায়, প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়।