সকল বিষয়

বাগধারা ব্যবহার করে বাক্য রচনা করুনঃ
1.

কাষ্ঠ হাসি 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

কাষ্ঠ হাসি (কপট হাসি): মহাজনের কাষ্ঠ হাসি দেখে লাভ নেই-সময় হলেই টের পাবে।

বাগধারা ব্যবহার করে বাক্য রচনা করুনঃ
2.

বিদুরের খুদ 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

বিদুরের খুদ (ভক্তি সহকারে সামান্য বস্তু প্রদত্ত): এটি বিদুরের খুদ হলেও আমার জীবনে তা খুব উপকারে আসবে।

বাগধারা ব্যবহার করে বাক্য রচনা করুনঃ
3.

শিরে সংক্রান্তি

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

আসন্ন বিপদ।

বাগধারা ব্যবহার করে বাক্য রচনা করুনঃ
4.

লম্ব দেওয়া

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

লম্ব দেওয়া (চম্পট দেওয়া বা পালিয়ে যাওয়া): সব টাকা নিয়ে বাদশা এলাকা থেকে লম্ব দিয়েছে।

বাগধারা ব্যবহার করে বাক্য রচনা করুনঃ
5.

ডামাডোল

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

ডামাডোল (গোলযোগ): রাজনীতির ডামাডোলে অনেকেই আখের গুছাতে ব্যস্ত ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

অনাবশ্যকীয় ব্যাপারে কৌতুহল ভাল নয়।

= অনাবশ্যক ব্যাপারে কৌতূহল ভালো নয় ।

কবির শোক সভায় বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিরা শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেছে।

= কবির শোক সভায় বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

তারা যাইতে যাইতে এ দৃশ্য দেখিয়া মুগ্ধ ও বিস্মিত হল।

= যেতে যেতে এই দৃশ্য দেখে তারা মুগ্ধ ও বিস্মিত হলো।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

সাধারণ জন গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে চলে ।

= সাধারণ জন গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে চলে ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

সব ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের আতিথ্য সৎকার করা উচিত।

= ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের আতিথি সৎকার করা উচিৎ।

যে কোন পাঁচটি পরিভাষা দিয়ে বাক্য রচনা করুন:
11.

Charter

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Charter (সনদ; চুক্তি): Madina charter was the first charter in the world.

যে কোন পাঁচটি পরিভাষা দিয়ে বাক্য রচনা করুন:
12.

Ombudsman

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Ombudsman (অভিযোগের তদন্তের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি): A new ombudsman was appointed for the commission last night.

যে কোন পাঁচটি পরিভাষা দিয়ে বাক্য রচনা করুন:
13.

Sub- judice

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Sub-judice (বিচারাধীন): The murder case is still Sub-judice.

যে কোন পাঁচটি পরিভাষা দিয়ে বাক্য রচনা করুন:
14.

Referendum

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Referendum (গণভোট): The issue was decided by referendum.

যে কোন পাঁচটি পরিভাষা দিয়ে বাক্য রচনা করুন:
15.

Embargo

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Embargo (অবরোধ; নিষেধাজ্ঞা): I lay no embargo on anybody's words.

ডেল্টা প্লান

ডেল্টা পরিকল্পনা হলো দীর্ঘমেয়াদি, একক এবং সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা। দীর্ঘমেয়াদি বলতে বোঝায় পরিকল্পনার লক্ষ্য ২১০০। একক হল দেশের সব পরিকল্পনার আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে একক ডেল্টা। সমন্বিত বলতে বোঝায় পানি সম্পর্কিত সকল খাতকে একটি পরিকল্পনায় নিয়ে আসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পানির নিরাপত্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তৈরি হওয়া শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্লান। ডেল্টা পরিকল্পনা, কৌশল সমূহের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে ডেল্টা ভিশনে পৌঁছাতে সাহায্য করে। জলবায়ু পরিবর্তন এ সময়ে খুবই আলোচিত বিষয়, যার প্রভাবের ফলাফল আমরা এখন তিক্ততা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগ করছি।

একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে পরিকল্পনাগুলো স্বল্পমেয়াদি, না দীর্ঘমেয়াদি হবে ১১ এটি নির্ভর করে কাজের প্রকৃতির ওপর। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ মহাপরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে। এর মাধ্যমে যেটি স্পষ্ট তা হলো, বাংলাদেশ এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রতি আগ্রহী মা হয়ে উঠছে। এটি আমাদের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো একটি বিষয়। এই শত বছরব্যাপী পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদীভাঙন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামের পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। ইংরেজি শব্দ ডেল্টা অর্থ ব-দ্বীপ। বাংলাদেশ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ অঞ্চল ও নদীমাতৃক দেশ হিসেবে নদী ব্যবস্থাপনা ও এর উন্নয়নের ওপর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করছে। বাংলাদেশে আবহাওয়া বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে আমাদের দেশে অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়। এই পানির প্রায় ৯২ শতাংশ চীন ও ভারতের মতো উজানের দেশগুলো থেকে আসে। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে বাংলাদেশের কৃষিসংক্রান্ত অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া মানুষের জীবনযাত্রায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৮০ শতাংশ পানি অন্যত্র চলে যাওয়ায় পানির অপচয় ঘটে, যেটা ধরে রেখে খরার সময় কাজে লাগানো যায়। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে অনেক সময় বাংলাদেশকে খরার মধ্যে পড়তে হয়। এর ফলে পানির অভাবে কৃষি উৎপাদন ও মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো কিভাবে পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমাধান করা যায় তার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ডেল্টা প্ল্যান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আমাদের দেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জায়গায় পানির স্তর ৪-১০ মিটার পর্যন্ত কমে গেছে। গবেষণার মাধ্যমে বৃষ্টি ও বন্যার পানিকে কিভাবে সংরক্ষণ করে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করা যায়, তা এই মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেমের বিভিন্ন প্রযুক্তি গবেষণার মাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষণ করে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তা প্রয়োগ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গবেষণা যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এ জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানকে এর সঙ্গে সংযুক্ত করা প্রয়োজন। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর যাতে নিচে নেমে যেতে না পারে, সে বিষয়েও বিভিন্ন পরিকল্পনা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। নদীভাঙন বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা। এর ফলে প্রতিবছর ৫০ হাজার পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি পাঁচ হাজার হেক্টর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পৃথিবীতে সয়েল ইরোশন বা মাটির ক্ষয় কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা চললেও আমাদের দেশে এ নিয়ে উল্লেখ করার মতো কোনো গবেষণা নেই। আমেরিকার সয়েল অ্যান্ড ওয়াটার কনজার্ভেশন সোসাইটি বিভিন্ন ধরনের মাটির  ক্ষয় রোধের প্রযুক্তি বের করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও মাটির ক্ষয় রোধে গবেষণার কাজ চলছে। এখান থেকে ধারণা নিয়ে কিভাবে আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে মৌলিক ও ফলিত গবেষণার মাধ্যমে নদীভাঙন রোধ করতে পারি, সে বিষয়টি নিয়ে আরো বেশি করে ভাবার সময় এসেছে।

বিভিন্ন পরিবর্তন ও পরিবর্তনের উপাদানগুলো বিবেচনা করে এগুলোর ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এর সঙ্গে নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে এনে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তিগত ও আর্থ-সামাজিক কর্মকৌশল গ্রহণ করে এটিকে এ পরিকল্পনার মধ্যে আনতে হবে। এ পরিকল্পনায় ছয়টি হটস্পট নির্ধারণ করে সেখানে ৩৩ ধরনের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী ও মোহনা অঞ্চল ও নগরাঞ্চল। এ অঞ্চলগুলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। জীববৈচিত্র্য, সুন্দরবন সংরক্ষণ, বাঁধ-ব্যারাজ সংস্কার ও নির্মাণ, বিভিন্ন নদীতে জেগে ওঠা চর, মোহনার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ ভিশন ২০২১ ও ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে এর সঙ্গে যুক্ত প্রধান উপাদানগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও নেতৃত্বের মাধ্যমেই ১০০ বছরমেয়াদি এ পরিকল্পনা স্বপ্ন থেকে এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন দরকার দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একত্রে কাজ করা, তবেই উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

National Integrity Strategy

National Integrity Strategy (NIS) is a comprehensive set of goals, strategies and action plans aimed at increasing the level of independence to perform, accountability, efficiency, transparency and effectiveness of state and non-state institutions in a sustained manner over a period of time.

The National Integrity Strategy has been formulated with a view to preventing corruption and establishing integrity in the State and society in Bangladesh. Proposals have been made for capacity development of important institutions and organiztions of the state, civil society and the private sector. Action plans have been tailored to implement the strategy through existing laws, rules, systems and their reforms and in some cases promulgation of new laws and rules. In the action plans, implementation periods have been proposed as short-term (within one year), medium term (within three years), and long-term (within five years) measures. The state institutions identified for this purpose are: (1) Executive organ and Public Administration, (2) Parliament, (3) Judiciary (4) Election Commission, ( 5 ) Attorney General (6) Public Service Commission, (7) Comptoller and Auditor-General, (8) Ombudsman, (9) Anti-Corruption Commission, and (10) Local Government Institutions. In addition, the non-state organizations covered in this strategy are (1) political parties (2) industrial and commercial organizatons in the private sector, NGOs and civil society, (4) family (5) educational institutions, and (6) media. 

The objective of the National Integrity Strategy is to map the institutaions and the inter-institutaional dynamics of integrity systems, and assess those systems' capacity, performance and institutional strengths and weaknesses to address and improve the overall integrity system.

Make sentence to show the difference in meaning between pairs of words.
18.

Aught : Ought 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Aught (যা কিছু; কিঞ্চিন্মাত্র)। Ought (উচিত হওয়া; ঠিক হওয়া)।
You ought to obey all that aught in this written charter.

Make sentence to show the difference in meaning between pairs of words.
19.

Composure : Composition 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Composure (শান্তি; ধৈর্য)। Composition (রচনা)।
Farjana showed great composure while writing this composition

Make sentence to show the difference in meaning between pairs of words.
20.

Deceitful : Deceptive 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Deceitful (কপটী; বিশ্বাসঘাতক; ঠক)। Deceptive (প্রতারণামূলক; ভ্ৰান্তিজনক) । 

I have never seen such a deceitful boy who always uses deceptive means of living.

Make sentence to show the difference in meaning between pairs of words.
21.

Egoist : Egotist 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Egoist (অহংবাদী; আত্মবাদী)। Egotist (আত্মাভিমানী; অহমিকায় ভরা ব্যক্তি)।
A egoist person always uses egotistical words in his speeches.

Make sentence to show the difference in meaning between pairs of words.
22.

Hoard : Horde 

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

Hoard (সঞ্চিত ভাণ্ডার) । Horde (যাযাবর উপজাতি)।
Hordes never hoard wealth as they travel from one place to another

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

I want to reckon on/upon him.  বাক্যের অর্থঃ আমি তার উপর নির্ভর করতে চাই ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

He is estranged from his wife.  বাক্যের অর্থঃ সে তার স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

The novelist is observant of public feeling. 
বাক্যের অর্থঃ ঔপন্যাসিক জনসাধারণের অনুভূতির প্রতি দৃষ্টিশীল ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

The heap of garbage is a menace to public health. 
বাক্যের অর্থঃ ময়লার স্তুপ জনস্বাস্থ্যের উপর হুমকিস্বরূপ ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

My house is infested with rats.  বাক্যের অর্থঃ আমার বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে।

আমাদের স্মৃতি-বিস্মৃতির অন্তরালে লুকিয়ে আছে বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জাগরণ। সামাজিক বিধি-নিষেধ আর ঘেরাটোপের রহস্য ছিন্ন করে প্রতিনিয়তই বেরিয়ে আসে সাংস্কৃতিক জগতের নব নব রূপ। ঠিক তেমনি এদেশের সংস্কৃতিও ধারণ করে চলছে বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ভাষাভাষী মানুষের বৈচিত্র্য ময় রূপ। এই বৈচিত্রময় সংস্কৃতিতে নিজ নিজ মনন ও প্রতিভা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে গুণীজনরা সমৃদ্ধ করেছেন। তাদেরই একজন ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

= The revival of diversified cultural yard has been remaining out of sight in behind of our memory and oblivion. The new arena of culture is coming out breaking all the prevailing social prejudices and riddles. Thus, the country's culture also owns variegated features of people from all walks of life. The genius enrich this diversified culture with their thinking and talents in several times. World poet Rabindra Nath Tagore was one of them.

এখানে, ৩ এবং ৪ এর ল.সা.গু. = ১২

এই ১২ দিনে ‘ক' কাজটি করে = ১২ বার

১২ দিনে 'খ' কাজটি করে =  ÷  = ৪ বার

১২ দিনে 'গ' কাজটি করে =  ÷  = ৩ বার

∴ মোট কাজ হয়  =  ×  +  ×  +  ×  =  +  +   =  +  +  =  অংশ

∴ কাজের বাকি থাকে =  -  =  -  = অংশ 

এখন, ১৩তম এবং ১৪তম দিনে ‘ক' একা করে  =  =  অংশ 

∴ কাজের বাকি থাকে =  -  = - =   অংশ 

আবার, ১৫তম দিনে (ক + খ) করে =  +  + =  অংশ 

∴  কাজের বাকি থাকে =  -  = - =  অংশ 

এখন, ১৬তম দিনে (ক + গ) করে  =+   =  অংশ 

যেহেতু, কাজ বাকি ছিলো  অংশ কিন্তু ১৬তম দিনে কাজ করা হয়েছে  অংশ,

তাই ১৬তম দিনে কাজ হবে =  ÷  =  ×   =  বেলা

অতএব, কাজ শেষে মোট সময় লাগবে =  +  =    দিন (উত্তর)

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

পূর্ণরূপ লিখুন:
32.

IOSCO

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

IOSCO এর পূর্ণরূপ International Organization of Securities Commissions.

পূর্ণরূপ লিখুন:
33.

SPARRSO

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

SPARRSO এর পূর্ণরূপ Space Research and Remote Sensing Organization

পূর্ণরূপ লিখুন:
34.

DSHE

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

DSHE এর পূর্ণরূপ Directorate of Secondary and Higher Education.

পূর্ণরূপ লিখুন:
35.

ECNEC

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

ECNEC এর পূর্ণরূপ Executive Committee of the National Economic Council.

পূর্ণরূপ লিখুন:
36.

NIPORT

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

NIPORTএর পূর্ণরূপ National Institute of Population Research and Training.

বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ ‘স্টেলা মেরিস’ ডেনমার্কে (১৫ মে, ২০০৮ সালে) রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশের আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেড কোম্পানি এ জাহাজ রপ্তানি করে ।

বাংলাদেশের পাঙন বা পাঙ্গাল ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির ধর্ম ইসলাম

ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ ১৯৯৪ সালে নিবন্ধিত হয় আর প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ এপ্রিল, ১৯৫৪ সালে।

পদ্মা সেতুর ৩৭ এবং ৩৮ নং (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭) পিলারের উপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়েছে।

বাংলাদেশে দুটি কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে। একটি কুমিল্লায় এবং অপরটি রয়েছে চট্টগ্রামে ।

ভূমিকাঃ বিশ শতকজুড়ে পরিবেশগত নানা আন্দোলন ও সম্মেলন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে একের পর এক পরিবেশবান্ধব মডেল । এসব মডেলের মধ্যে গ্রিন ইকোনমি বা সবুজ অর্থনীতি মডেল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একুশ শতকে এসে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল এ মডেলের অধিকতর সম্প্রসারণের। গ্রিন ইকোনমি মডেলের পরবর্তী ধাপ তথা সম্প্রসারণই ব্লু-ইকোনমি নামে পরিচিত, যা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে।

ব্লু-ইকোনমিঃ ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ভবিষ্যতের অর্থনীতির রূপরেখা প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক আমন্ত্রিত হন। বিস্তারিত আলোচনা, গবেষণা আর নিজের অধীত জ্ঞানের মিশ্রণ ঘটিয়ে পাউলি একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে ব্লু ইকোনমির ধারণা দেন। গত দুই দশকের নানা পরিমার্জন-পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে ব্লু-ইকোনমি মডেল আজ একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা । ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে ব্লু-ইকোনমির বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। এ অর্থনীতিকে সমুদ্র অর্থনীতিও বলা হয়। তার উপাদানগুলো হচ্ছে জাহাজবাহিত বা সমুদ্রবাহিত বাণিজ্য, সাগর তলদেশে বিদ্যমান তেল-গ্যাস, বন্দর, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, উপকূলীয় পর্যটন শিল্প, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি ।

ব্লু-ইকোনোমির সম্ভাবনাঃ সমুদ্র ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। সাগর থেকে প্রাপ্ত বায়ু, তরঙ্গ বা ঢেউ, জোয়ার-ভাটা, জৈব-তাপীয় পরিবর্তন, লবণাক্ততার মাত্রা ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপক পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তির জোগান পাওয়া সম্ভব। প্রতি বছর পৃথিবীতে সমুদ্রবর্তী বায়ু ব্যবহারের সক্ষমতা ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয় সমুদ্রপথে। বাংলাদেশকে যদি চীন বা তার মতো বৃহৎ অর্থনীতি থেকে উপকৃত হতে হয় তাহলে আমাদের চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়ন করে এগুলোকে গমনপথ হিসেবে ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই ৷

  • বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষের জীবিকা সরাসরি সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের ২০ শতাংশ জোগান আসে সমুদ্র থেকে। বিশ্বের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৬ শতাংশ অবদান বঙ্গোপসাগরের। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ উৎপাদন আরো বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। কেবল সমুদ্র অর্থনীতির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই যথেষ্ট আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা যেতে পারে। পরিবেশদূষণ রোধের বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে ব্লু-ইকোনমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অনবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার হ্রাস ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিকে গুরুত্বরোপ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫৪ লাখ লোক সরাসরি এ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত, যাদের বার্ষিক আয় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউরো। সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ ব্যুরো ও অনুসৃত কৌশল ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখন বাংলাদেশ সরকারকেই তার ভূকৌশলগত সুবিধার ভিত্তিতে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
  • বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। প্রতি বছর সেখান থেকে ৬৬ লাখ টন মৎস্য আহরণ করা যেতে পারে; কিন্তু বাস্তবে আমরা সেখান থেকে খুব কমই আহরণ করছি। আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনে মৎস্য খাতের অবদান সাড়ে চার ভাগেরও কম। অথচ সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা তা অনেকাংশে বাড়িয়ে ফেলতে পারি। এজন আমাদের আধুনিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মাছ ধরার কৌশলেও পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। মৎস্যসম্পদ ছাড়াও সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে বহু খনিজ সম্পদ। খনিজ সম্পদগুলোর মধ্যে লবণের কথা বললে আমাদের উপকূলে রয়েছে ৩০০ লব শোধনাগার, যেগুলো সাত বছর ধরে বছরে ৩.৫ লাখ টন করে লবণ উৎপাদন করছে, যা বাজারের চাহিদার তুলনায় যথে নয় । লবণ শিল্পের দিকে একটু মনোযোগ দিলেই একে একটি রপ্তানিমুখী লাভজনক শিল্পে পরিণত করা সম্ভব।
  • এছাড়া বাংলাদেশ সমুদ্র থেকে যেসব সম্পদ পেতে পারে তা হলো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমনঃ গ্যাস, তেল, কপার ম্যাগনেশিয়াম, নিকেলসহ আরো অনেক মূল্যবান ধাতু যেমনঃ কোবাল্ট ইত্যাদি। তাছাড়া আমরা সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙা এবং ওষুধ শিল্পেও আরো উপকৃত হতে পারি। ব্লু-ইকোনমির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয় চালু এবং সেখানে পর্যাপ্ত আসন সংখ্যার ব্যবস্থা করতে হবে। সামুদ্রিক সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক বিকাশ সাধনের জন্য আমাদের আগে সুনির্দিষ্ট খাতগুলো যেমন অ্যাকুয়াকালচার, পর্যটন, মেরিন বায়োটেকনোলজি, শক্তি (তেল-গ্যাস), সমুদ্রতলে খনি খনন ইত্যাদি চিহ্নিত করতে হবে। সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের অবসানের পর আমরা বাংলাদেশে আয়তনের প্রায় ৮০ শতাংশের মতো বিশাল সমুদ্র এলাকা লাভ করি, যা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য খুবই গৌরবের। আনন্দের; কিন্তু এ সুবিশাল সম্পদ যদি আমরা সঠিকভাবে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে না পারি তাহলে আমাদের “ অর্জনের কোনো মূল্য থাকবে না ।
  • ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে বিপুল সাফল্য অর্জন করবে, তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে বাংলাদেশ এরপর থাইল্যান্ড, ভারত এবং চীন। নতুন জলসীমার অধিকার পাওয়ায় ব্লু-ইকোনমি প্রসারে বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রে মাছ আহরণের দিকে থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ২৫তম মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের সম্ভাবনাকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল ফলে গভীর সমুদ্র এলাকায় বিশাল অংশ বাংলাদেশের জলসীমায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং নতুন এ জলসীমার পরিমা বাংলাদেশের মোট স্থল অঞ্চলের প্রায় ৮১ শতাংশ। সমুদ্রসীমা জয়ের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু বিশাল এ এলাকা সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
  • সমুদ্র থেকে মৎস্যসম্পদ আহরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে অনে দিন ধরে অর্থসহায়তা চেয়ে আসছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এ বিষয়ে প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পে ২০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে এ প্রকল্পের সহায়তা প্রস্তাব সংস্থার বোর্ডসভায় উঠবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সমুদ্রে মাছ আহরণ বাড়বে। ফলে শক্তিশালী হবে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচ্ছিন্ন একটি-দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না। এজন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ।
  • বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ আসে সমুদ্রে মাছ আহরণ, সামুদ্রিক খাদ্য ও বাণিজ্যিক সমুদ্র পরিবহণ থেকে ৷ প্রায় ৩ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর বিশ্বব্যাংক বলছে, মাছ খাত- সংশ্লিষ্ট পেশায় বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়োজিত। এর মধ্যে কেবল সামুদ্রিক মাছ আহরণে নিয়োজিত আছে ৫০ লাখ মানুষ। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অনুপস্থিতি, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সামর্থ্যের অভাবে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বাড়ছে না বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
  • অভ্যন্তরীণ আহরণ ও চাষের মাধ্যমে মাছ উৎপাদনে আমরা সামনের সারিতে থাকলেও পিছিয়ে আছি উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের মাত্র সাড়ে ১৮ শতাংশ আসছে উপকূল ও সমুদ্র থেকে। এ প্রসঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, মাছের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গত সাত বছরে দেশে মাছ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন। কিন্তু সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি । গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার মতো ট্রলার, প্রশিক্ষিত জনবল ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম আমাদের নেই।
  • সমুদ্রে মাছ আহরণের পরিমাণ বাড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন। একনেকের অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের মধ্যে ‘টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ' শীর্ষক প্রকল্প বাস্ত বায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর। মূলত উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের পরিমাণ বাড়ানোর লক্ষ্য সামনে রেখে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও পরিবেশের ভারসাম্যও প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ব্যবস্থাপনার উন্নতি করা হবে। মৎস্য চাষ ও আহরণে নিয়োজিত জনশক্তির জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্ব দেয়া হবে।
  • ২০ কোটি ডলারের মধ্যে সুশাসন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটির আওতায় ৭ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, সরকারি ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, ২০০৮ সালে প্রণীত মৎস্যনীতির সংস্কার ও উপকূলীয় মৎস্য ব্যবস্থাপনায় মৎস্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় মৎস্য আহরণে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, জীবনযাত্রার মানের উন্নতি ও কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি নিশ্চিত করতে ব্যয় করা হবে। তাছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন ও উপকূলীয় জলবায়ু রক্ষায়ও অর্থ বরাদ্দ থাকবে। শৃঙ্খলা রক্ষায় মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জনশক্তিকে পরিচয়পত্র দেয়া হবে প্রকল্পের আওতায় । মাছ আহরণে নিয়ন্ত্রণ আনতে এসব পরিচয়পত্রের আলোকে দেয়া হবে খাদ্যসহায়তা।
  • টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রকল্পটির আওতায় আরো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে। আহরণ করা হবে মাছের মান ধরে রাখার পাশাপাশি সহায়ক শিল্পের মাধ্যমে নতুন করে মূল্য সংযোজনের উদ্যোগও নেয়া হবে এর আওতায় । তাছাড়া ব্লু-ইকোনমির উন্নতির মাধ্যমে সামুদ্রিক মাছ রফতানিতেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া দরকার। বাংলাদেশের প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ আসছে মাছ থেকে। বর্তমানে প্রতি বছর দেশে প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার মূল্যমানের মাছ আহরণ করা হয়। এর প্রায় সাড়ে ৫২ শতাংশ আসে মাছ চাষের মাধ্যমে। নদী-নালা ও অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে আসে ২৯ শতাংশ। অবশিষ্ট সাড়ে ১৮ শতাংশ মাছ আহরণ করা হয় উপকূল ও সমুদ্র থেকে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টন মাছ আহরণ করা হয়। আর সামুদ্রিক উৎস থেকে আহরণ করা হয় ৬ লাখ টন মাছ। এর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৫১ কোটি ডলার। আর সামুদ্রিক মাছের ৪০ শতাংশ অবদান ইলিশের।
  • টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই ব্লু-ইকোনমি ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয় যদি না সমুদ্রাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সমুদ্রের পরিবেশ, জীব ও অজীব সম্পদের রক্ষণ-সংরক্ষণ এবং সমুদ্রকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানো যায়। জলদস্যুতা, মাদক, অস্ত্র, মানব পাচার ইত্যাদি আমাদের সমুদ্রাঞ্চলের খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এছাড়া উপকূলীয় শিল্প- কলকারখানাগুলোর বর্জ্য নিঃসরণ, জাহাজ ভাঙা শিল্প, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সাগরের স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি তৈরি করছে। এসব সমস্যা যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিমিত্তে একটি কার্যকর কৌশল অবলম্বন করা বাংলাদেশ সরকারের জন্য সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Related Sub Categories