পূর্ণরূপ লিখুন:
1.

IOSCO

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

IOSCO এর পূর্ণরূপ International Organization of Securities Commissions.

পূর্ণরূপ লিখুন:
2.

SPARRSO

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

SPARRSO এর পূর্ণরূপ Space Research and Remote Sensing Organization

পূর্ণরূপ লিখুন:
3.

DSHE

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

DSHE এর পূর্ণরূপ Directorate of Secondary and Higher Education.

পূর্ণরূপ লিখুন:
4.

ECNEC

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

ECNEC এর পূর্ণরূপ Executive Committee of the National Economic Council.

পূর্ণরূপ লিখুন:
5.

NIPORT

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

NIPORTএর পূর্ণরূপ National Institute of Population Research and Training.

বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ ‘স্টেলা মেরিস’ ডেনমার্কে (১৫ মে, ২০০৮ সালে) রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশের আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেড কোম্পানি এ জাহাজ রপ্তানি করে ।

বাংলাদেশের পাঙন বা পাঙ্গাল ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির ধর্ম ইসলাম

ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ ১৯৯৪ সালে নিবন্ধিত হয় আর প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ এপ্রিল, ১৯৫৪ সালে।

পদ্মা সেতুর ৩৭ এবং ৩৮ নং (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭) পিলারের উপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়েছে।

বাংলাদেশে দুটি কমনওয়েলথ রণ সমাধিক্ষেত্র আছে। একটি কুমিল্লায় এবং অপরটি রয়েছে চট্টগ্রামে ।

ভূমিকাঃ বিশ শতকজুড়ে পরিবেশগত নানা আন্দোলন ও সম্মেলন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে একের পর এক পরিবেশবান্ধব মডেল । এসব মডেলের মধ্যে গ্রিন ইকোনমি বা সবুজ অর্থনীতি মডেল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একুশ শতকে এসে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল এ মডেলের অধিকতর সম্প্রসারণের। গ্রিন ইকোনমি মডেলের পরবর্তী ধাপ তথা সম্প্রসারণই ব্লু-ইকোনমি নামে পরিচিত, যা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে।

ব্লু-ইকোনমিঃ ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ভবিষ্যতের অর্থনীতির রূপরেখা প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক আমন্ত্রিত হন। বিস্তারিত আলোচনা, গবেষণা আর নিজের অধীত জ্ঞানের মিশ্রণ ঘটিয়ে পাউলি একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে ব্লু ইকোনমির ধারণা দেন। গত দুই দশকের নানা পরিমার্জন-পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে ব্লু-ইকোনমি মডেল আজ একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা । ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে ব্লু-ইকোনমির বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। এ অর্থনীতিকে সমুদ্র অর্থনীতিও বলা হয়। তার উপাদানগুলো হচ্ছে জাহাজবাহিত বা সমুদ্রবাহিত বাণিজ্য, সাগর তলদেশে বিদ্যমান তেল-গ্যাস, বন্দর, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, উপকূলীয় পর্যটন শিল্প, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি ।

ব্লু-ইকোনোমির সম্ভাবনাঃ সমুদ্র ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। সাগর থেকে প্রাপ্ত বায়ু, তরঙ্গ বা ঢেউ, জোয়ার-ভাটা, জৈব-তাপীয় পরিবর্তন, লবণাক্ততার মাত্রা ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাপক পরিমাণে নবায়নযোগ্য শক্তির জোগান পাওয়া সম্ভব। প্রতি বছর পৃথিবীতে সমুদ্রবর্তী বায়ু ব্যবহারের সক্ষমতা ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয় সমুদ্রপথে। বাংলাদেশকে যদি চীন বা তার মতো বৃহৎ অর্থনীতি থেকে উপকৃত হতে হয় তাহলে আমাদের চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়ন করে এগুলোকে গমনপথ হিসেবে ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই ৷

  • বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষের জীবিকা সরাসরি সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের ২০ শতাংশ জোগান আসে সমুদ্র থেকে। বিশ্বের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৬ শতাংশ অবদান বঙ্গোপসাগরের। সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ উৎপাদন আরো বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। কেবল সমুদ্র অর্থনীতির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেই যথেষ্ট আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা যেতে পারে। পরিবেশদূষণ রোধের বিষয়কে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে ব্লু-ইকোনমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অনবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার হ্রাস ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিকে গুরুত্বরোপ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫৪ লাখ লোক সরাসরি এ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত, যাদের বার্ষিক আয় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউরো। সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ ব্যুরো ও অনুসৃত কৌশল ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এখন বাংলাদেশ সরকারকেই তার ভূকৌশলগত সুবিধার ভিত্তিতে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
  • বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। প্রতি বছর সেখান থেকে ৬৬ লাখ টন মৎস্য আহরণ করা যেতে পারে; কিন্তু বাস্তবে আমরা সেখান থেকে খুব কমই আহরণ করছি। আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনে মৎস্য খাতের অবদান সাড়ে চার ভাগেরও কম। অথচ সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা তা অনেকাংশে বাড়িয়ে ফেলতে পারি। এজন আমাদের আধুনিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মাছ ধরার কৌশলেও পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। মৎস্যসম্পদ ছাড়াও সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে বহু খনিজ সম্পদ। খনিজ সম্পদগুলোর মধ্যে লবণের কথা বললে আমাদের উপকূলে রয়েছে ৩০০ লব শোধনাগার, যেগুলো সাত বছর ধরে বছরে ৩.৫ লাখ টন করে লবণ উৎপাদন করছে, যা বাজারের চাহিদার তুলনায় যথে নয় । লবণ শিল্পের দিকে একটু মনোযোগ দিলেই একে একটি রপ্তানিমুখী লাভজনক শিল্পে পরিণত করা সম্ভব।
  • এছাড়া বাংলাদেশ সমুদ্র থেকে যেসব সম্পদ পেতে পারে তা হলো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমনঃ গ্যাস, তেল, কপার ম্যাগনেশিয়াম, নিকেলসহ আরো অনেক মূল্যবান ধাতু যেমনঃ কোবাল্ট ইত্যাদি। তাছাড়া আমরা সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙা এবং ওষুধ শিল্পেও আরো উপকৃত হতে পারি। ব্লু-ইকোনমির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয় চালু এবং সেখানে পর্যাপ্ত আসন সংখ্যার ব্যবস্থা করতে হবে। সামুদ্রিক সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক বিকাশ সাধনের জন্য আমাদের আগে সুনির্দিষ্ট খাতগুলো যেমন অ্যাকুয়াকালচার, পর্যটন, মেরিন বায়োটেকনোলজি, শক্তি (তেল-গ্যাস), সমুদ্রতলে খনি খনন ইত্যাদি চিহ্নিত করতে হবে। সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের অবসানের পর আমরা বাংলাদেশে আয়তনের প্রায় ৮০ শতাংশের মতো বিশাল সমুদ্র এলাকা লাভ করি, যা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য খুবই গৌরবের। আনন্দের; কিন্তু এ সুবিশাল সম্পদ যদি আমরা সঠিকভাবে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে না পারি তাহলে আমাদের “ অর্জনের কোনো মূল্য থাকবে না ।
  • ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে বিপুল সাফল্য অর্জন করবে, তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে বাংলাদেশ এরপর থাইল্যান্ড, ভারত এবং চীন। নতুন জলসীমার অধিকার পাওয়ায় ব্লু-ইকোনমি প্রসারে বাংলাদেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রে মাছ আহরণের দিকে থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ২৫তম মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের সম্ভাবনাকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল ফলে গভীর সমুদ্র এলাকায় বিশাল অংশ বাংলাদেশের জলসীমায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং নতুন এ জলসীমার পরিমা বাংলাদেশের মোট স্থল অঞ্চলের প্রায় ৮১ শতাংশ। সমুদ্রসীমা জয়ের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু বিশাল এ এলাকা সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
  • সমুদ্র থেকে মৎস্যসম্পদ আহরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে অনে দিন ধরে অর্থসহায়তা চেয়ে আসছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এ বিষয়ে প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পে ২০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে এ প্রকল্পের সহায়তা প্রস্তাব সংস্থার বোর্ডসভায় উঠবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সমুদ্রে মাছ আহরণ বাড়বে। ফলে শক্তিশালী হবে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচ্ছিন্ন একটি-দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না। এজন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ।
  • বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ আসে সমুদ্রে মাছ আহরণ, সামুদ্রিক খাদ্য ও বাণিজ্যিক সমুদ্র পরিবহণ থেকে ৷ প্রায় ৩ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর বিশ্বব্যাংক বলছে, মাছ খাত- সংশ্লিষ্ট পেশায় বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ নিয়োজিত। এর মধ্যে কেবল সামুদ্রিক মাছ আহরণে নিয়োজিত আছে ৫০ লাখ মানুষ। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অনুপস্থিতি, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সামর্থ্যের অভাবে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ বাড়ছে না বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
  • অভ্যন্তরীণ আহরণ ও চাষের মাধ্যমে মাছ উৎপাদনে আমরা সামনের সারিতে থাকলেও পিছিয়ে আছি উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের মাত্র সাড়ে ১৮ শতাংশ আসছে উপকূল ও সমুদ্র থেকে। এ প্রসঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, মাছের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গত সাত বছরে দেশে মাছ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ টন। কিন্তু সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি । গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার মতো ট্রলার, প্রশিক্ষিত জনবল ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম আমাদের নেই।
  • সমুদ্রে মাছ আহরণের পরিমাণ বাড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন। একনেকের অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের মধ্যে ‘টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ' শীর্ষক প্রকল্প বাস্ত বায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর। মূলত উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের পরিমাণ বাড়ানোর লক্ষ্য সামনে রেখে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তাছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও পরিবেশের ভারসাম্যও প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ব্যবস্থাপনার উন্নতি করা হবে। মৎস্য চাষ ও আহরণে নিয়োজিত জনশক্তির জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্ব দেয়া হবে।
  • ২০ কোটি ডলারের মধ্যে সুশাসন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটির আওতায় ৭ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, সরকারি ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, ২০০৮ সালে প্রণীত মৎস্যনীতির সংস্কার ও উপকূলীয় মৎস্য ব্যবস্থাপনায় মৎস্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় মৎস্য আহরণে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, জীবনযাত্রার মানের উন্নতি ও কাঙ্ক্ষিত পুষ্টি নিশ্চিত করতে ব্যয় করা হবে। তাছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন ও উপকূলীয় জলবায়ু রক্ষায়ও অর্থ বরাদ্দ থাকবে। শৃঙ্খলা রক্ষায় মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জনশক্তিকে পরিচয়পত্র দেয়া হবে প্রকল্পের আওতায় । মাছ আহরণে নিয়ন্ত্রণ আনতে এসব পরিচয়পত্রের আলোকে দেয়া হবে খাদ্যসহায়তা।
  • টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রকল্পটির আওতায় আরো ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে। আহরণ করা হবে মাছের মান ধরে রাখার পাশাপাশি সহায়ক শিল্পের মাধ্যমে নতুন করে মূল্য সংযোজনের উদ্যোগও নেয়া হবে এর আওতায় । তাছাড়া ব্লু-ইকোনমির উন্নতির মাধ্যমে সামুদ্রিক মাছ রফতানিতেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া দরকার। বাংলাদেশের প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ আসছে মাছ থেকে। বর্তমানে প্রতি বছর দেশে প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার মূল্যমানের মাছ আহরণ করা হয়। এর প্রায় সাড়ে ৫২ শতাংশ আসে মাছ চাষের মাধ্যমে। নদী-নালা ও অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে আসে ২৯ শতাংশ। অবশিষ্ট সাড়ে ১৮ শতাংশ মাছ আহরণ করা হয় উপকূল ও সমুদ্র থেকে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে প্রায় ৩০ লাখ টন মাছ আহরণ করা হয়। আর সামুদ্রিক উৎস থেকে আহরণ করা হয় ৬ লাখ টন মাছ। এর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৫১ কোটি ডলার। আর সামুদ্রিক মাছের ৪০ শতাংশ অবদান ইলিশের।
  • টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই ব্লু-ইকোনমি ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয় যদি না সমুদ্রাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সমুদ্রের পরিবেশ, জীব ও অজীব সম্পদের রক্ষণ-সংরক্ষণ এবং সমুদ্রকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানো যায়। জলদস্যুতা, মাদক, অস্ত্র, মানব পাচার ইত্যাদি আমাদের সমুদ্রাঞ্চলের খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এছাড়া উপকূলীয় শিল্প- কলকারখানাগুলোর বর্জ্য নিঃসরণ, জাহাজ ভাঙা শিল্প, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সাগরের স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি তৈরি করছে। এসব সমস্যা যথাযথভাবে বিবেচনায় নিয়ে সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিমিত্তে একটি কার্যকর কৌশল অবলম্বন করা বাংলাদেশ সরকারের জন্য সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Related Sub Categories