জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত 'মুজিববর্ষ' উদযাপনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে বছরজুড়ে দেশ-বিদেশে ২৯৮টি আয়োজনের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে 'মুজিববর্ষ' উদযাপনের ঘোষণা দেন। সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর 'মুজিববর্ষ' উদযাপনের ঘোষণা দিয়ে উচ্চপর্যায়ের দুটি কমিটি গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০২ সদস্যের জাতীয় উদযাপন কমিটি এবং জাতীয় অধ্যাপক ও নজরুল-গবেষক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬১ সদস্যের জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ গঠিত ‘মুজিববর্ষ' উদযাপন কমিটিতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
দেশের বাইরেও সাড়ম্বরে উদযাপিত হবে জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের আনন্দ আয়োজন। ইউনেস্কোও বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সংস্থার ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়। ফলে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে।
গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে সারাদেশে শুরু হয়েছে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ক্ষণগণনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও বিপুল জনসমাগমের জায়গাগুলোতে এই ক্ষণগণনা শুরু হয়। এ জন্য সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি স্থান, বিভাগীয় শহর এবং ৫৩টি জেলা সদর ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৮৩টি জায়গায় ক্ষণগণনার ঘড়ি বসানো হয়েছে ।
ড. কামাল আবদুল নাসের বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনে দেশের তৃণমূলের জনগণ থেকে শুরু করে সারাবিশ্বকে সম্পৃক্ত করা হবে। কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
জমকালো উদ্বোধনঃ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয় ১৭ মার্চ থেকে। ওই দিন সূর্যোদয়লগ্নে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনি ও বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে হলোগ্রাফিক উপস্থাপনা ও থিম সং পরিবেশিত হবে। এ ছাড়া জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্মরণিকা ও স্মারক বক্তৃতা প্রকাশ এবং দেশি-বিদেশি শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ।
শরতের শিশির
শরতের শিশির (ক্ষণস্থায়ী): আমাদের বন্ধুত্ব কি শরতের শিশির, যে তোর বিপদের দিনে পালিয়ে থাকবো?
অকূল পাথার
অকূল পাথার (ভীষণ বিপদ): অকূল পাথারে আল্লাহই একমাত্র ভরসা ।
আদায় কাঁচকলায়
আদায় কাঁচকলায় (শত্রুতা): তার সঙ্গে আমার আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক, সে আমার শত্রু ।
আটকপালে
আটকপালে (হতভাগ্য): ছেলেটা এতিম, আটকপালে।
ঘুঘু চড়ানো
ঘুঘু চড়ানো (সর্বনাশ করা): তোমার ভিটায় ঘুঘু চরিয়ে তবে আমার শান্তি ।
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে।
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভর্তৃকা ।
যে অন্যের লেখা নিজের নামে চালায়
যে অন্যের লেখা নিজের নামে চালায় = কুম্ভিলক।
কর্মে যার ক্লান্তি নাই
কর্মে যার ক্লান্তি নাই = অক্লান্তকর্মী
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক = মুমুক্ষা ।
যার কিছুই নাই
যার কিছুই নাই = হৃতসর্বস্ব।
গবাক্ষ
গবাক্ষ = গো + অক্ষ ।
মনীষা
মনীষা = মনস্ + ঈষা।
ণিজন্ত
ণিজন্ত = ণিচ্ + অন্ত ।
শিরচ্ছেদ
শিরশ্ছেদ = শিরঃ + ছেদ।
সংযোজন
সংযোজন = সম্ + যোজন।
বিষাদসিন্ধু
বিষাদসিন্ধু = বিষাদ রূপ সিন্ধু (রূপক কর্মধারয়)।
হাতে খড়ি
হাতেখড়ি = হাতে খড়ি দেয়া হয় যে অনুষ্ঠানে (বহুব্রীহি)।
অলৌকিক
অলৌকিক = ন লৌকিক (নঞ তৎপুরুষ সমাস)
বহুব্রীহি
বহুব্রীহি = বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার (বহুব্রীহি)।
হাসিমুখ
হাসিমুখ = হাসি মাখা মুখ (মধ্যপদলোপী কর্মধারায়)।
খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি
খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি = কর্মে শূন্য বিভক্তি।
পাগলে কী না বলে
পাগলে কী না বলে = কর্তায় সপ্তমী বিভক্তি।
আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে?
আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে? = অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি ।
সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়
সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয় = অধিকরণে ৭মী
চেষ্টায় সব হয়
চেষ্টায় সব হয় = করণে সপ্তমী বিভক্তি।