১লা বৈশাখ পালনের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
বাংলা নববর্ষ বাঙালি ঐতিহ্যের একটি বহমান ধারা। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এই ধারা অত্যন্ত প্রাচীন। নববর্ষ আর বাঙালির উৎসব আয়োজন যেন এক সুরে বাঁধা। বাদশাহ আকবরের নির্দেশে এবং তার বিজ রাজ-জ্যোতিষী আমীর ফাতেহ উল্লাহ সিরাজীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই মূলত বাংলা সনের উৎপত্তি। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত খ্রিস্টীয় সনের পাশাপাশি সরকারিভাবে বাংলা সন লেখার প্রচলন হয় ১৯৮৮ সালে। পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন তথা বাংলা নববর্ষ। এ দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। মূলত এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন উৎসব। সারা বিশ্বের বাঙালিরা এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। ১লা বৈশাখ উদযাপনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই প্রাচীনতম ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক প্রবাহকে বাঁচিয়ে রেখেছি। নতুনকে গ্রহণ করার, পুরাতনকে মুছে ফেলার এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষাও আমরা গ্রহণ করে থাকি নববর্ষ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে। দিনটির গুরুত্ব এখানেই। এ দিনে বৈশাখী মেলা, হালখাতা ও পুণ্যাহ, আমানি, বলি খেলা, লাঠি খেলা, ষাঁড়ের লড়াই, মোড়গ লড়াই, হা-ডু-ডু, নৌকা বাইচ ইত্যাদি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। 'হালখাতা' বাংলাদেশের মানুষের একটি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন করে হিসাবের খাতা চালু করা হয়। মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে শুভ নতুন দিন কামনা করা হয়। তবে পয়লা বৈশাখের সবচেয়ে বড়ো অনুষ্ঠান 'বৈশাখী মেলা'। সমগ্র বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখ ও বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে অনেক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় বাংলা নববর্ষের একটি বিশেষ দিক হলো-পাঞ্জাবি, শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়ানো এবং মাটির সানকিতে করে সকালে পাস্তা ইলিশ খাওয়া। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির একটি সর্বজনীন উৎসব। বাংলাদেশের উৎসবাদির মধ্যে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে নববর্ষ শ্রেষ্ঠ উৎসব, এ কথা খুবই সত্য।
অক্কা পাওয়া
অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া) = লোকটি হজ্জ করতে গিয়ে অক্কা পেয়েছে।
ঊনপাঁজুরে
ঊনপাঁজুরে (অপদার্থ) = রাসেলের মতো উনপাঁজুরে ছেলে আর দেখি না।
আলালের ঘরের দুলাল
আলালের ঘরের দুলাল (অতি আদরের নষ্ট পুত্র) = রাসেল রোদ বাতাস সইতে পারে না, পরিশ্রম করতে পারেনা, ছেলেটি আলালের ঘরের দুলাল।
রাবনের চিতা
রাবনের চিতা (চির অশান্তি) = ভাইয়ের মৃত্যুতে রফিকের বুকে রাবণের চিতা জ্বলছে।
খয়ের খাঁ
খয়ের খাঁ (চাটুকার) = তুমি তো বড় সাহেবের খয়ের খাঁ, তিনি যা বলেন তুমি তাই করো ।