জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড || অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (02-04-2021) || 2021

All

                                                                               'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং উন্নয়নের সুবর্ণরেখা’

১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও পূর্ব বাংলার বাঙালির ওপর জেঁকে বসে নতুন জান্তা। ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি জিন্নাহর ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান নামের একটি অসম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরুথেকে বাঙালির জীবনে আবারও নেমে আসে শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতনের স্টিম রোলার। ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীন হলেও এই ভূখণ্ডের বাঙালি আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে থেমে থাকেনি বাঙালি জাতি। ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালি জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নামে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুধু এ দেশের জনগণই নয়, আক্রান্ত জাতি ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র, আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সহায়তা করে ভারত। এই সময় আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশাল ভূমিকা রাখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)। সোভিয়েত ইউনিয়নের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আরও ত্বরান্বিত করে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্তিকামী ও গণতন্ত্রকামী মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী ও বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় লাভ করে।

তবে বলে রাখা দরকার যে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন; ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের সাধারণ নির্বাচন; ১৯৬২ সালে শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন; ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন; ১৯৬৮ সালের আগরতলা মামলা: ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান; ১৯৭০ সালের নির্বাচন; ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ; ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা; ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ পুরোটাই বঙ্গবন্ধুময়। আর জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বলেছিল আগামী ১০০ বছরের মধ্যেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ডলার ছাড়াবে না। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় এই যে, মাত্র ৫০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ ১৯৭০-এ মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১৪০ ডলার। হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে 'তলাবিহীন ঝুড়ি' আখ্যায়িত করেছিলেন। কিন্তু অতি আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ৫০ বছরে বাংলাদেশ নামক ঝুড়িটি আর তলাবিহীন নয়; ঝুড়ি এখন সাফল্যে পরিপূর্ণ । বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার। 

মহামারি করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের সব দেশে যখন প্রবৃদ্ধির হার কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জিত হতে পারে । করোনাকালীন কঠিন সময়েও বাংলাদেশে গত ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ ১৭৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে; যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ঘটনা। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা অথচ জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি ৮১ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.২ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে বেড়েছে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যাও। স্বাধীনতার পর রপ্তানি আয়ের সত্তর ভাগ ছিল পাটের দখলে। বর্তমানে মোট রপ্তানির ৮২ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের দখলে। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ভিশন ২০২১ দিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করেছেন যার মধ্য দিয়ে আমরা উন্নয়নশীল দেশ উন্নীত হয়েছে এবং ভিশন ২০৪১ এর মাধ্যমে আমরা আধুনিক এবং উন্নত দেশে পরিণত হব। বাংলাদেশ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে, বড় বড় ফ্লাইওভার করা হয়েছে, মেট্রোরেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, দেশজুড়ে রাস্তাঘাট কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে, দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচক ও জরিপে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

৫ টি করে সমার্থক শব্দ লিখুন:
2.

ঈশ্বর

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

ঈশ্বর = আল্লাহ, খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, স্রষ্টা।

৫ টি করে সমার্থক শব্দ লিখুন:
3.

গঙ্গা

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

গঙ্গা = ভাগীরথী, শিবপত্নী, গোমতী, কৃষ্ণবেণী, পিনাকিনী, কাবেরী ।

৫ টি করে সমার্থক শব্দ লিখুন:
4.

তপন

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

তপন = আদিত্য, তপন, দিবাকর, রবি, সবিতা।

৫ টি করে সমার্থক শব্দ লিখুন:
5.

বিদ্যুৎ

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

বিদ্যুৎ = তড়িৎ চপলা, চঞ্চলা, অশনি, ক্ষণপ্রভা, অণুপ্রভা।

৫ টি করে সমার্থক শব্দ লিখুন:
6.

স্বদেশ

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

স্বদেশ = মাতৃভূমি, বাসভূমি, জলাভূমি, স্বভূমি, আবাস।

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করুন:
7.

কুশীলব

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

কুশীলব = কুশ ও লব (দ্বন্দ্ব সমাস)।

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করুন:
8.

জয়ন্তী

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

জয়ন্তী = জন্ম উপলক্ষ্যে যে উৎসব (৪র্থ তৎপুরুষ সমাস)।

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করুন:
9.

ব-দ্বীপ

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

ব-দ্বীপ = ব-এর মত দ্বীপ (উপমিত কর্মধারয় সমাস)।

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করুন:
10.

অনতিবৃহৎ

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

অনতিবৃহৎ = নয় অতি বৃহৎ (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করুন:
11.

যৌবনসূর্য

Created: 5 months ago | Updated: 2 days ago

যৌবনসূর্য = যৌবন রূপ সূর্য (রূপক কর্মধারয় সমাস)।

প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করুন:
12.

জ্যান্ত

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

জ্যান্ত = জী + অন্ত

প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করুন:
13.

দিব্য

Created: 5 months ago | Updated: 2 days ago

দিব্য = দিব্‌ + য

প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করুন:
14.

পণ্ডিত

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

পণ্ডিত = পণ্ডা + ইত

প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করুন:
15.

বার্ষিক

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

বার্ষিক = বর্ষ + ইক

প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় করুন:
16.

দ্রাঘিমা

Created: 5 months ago | Updated: 3 days ago

দ্রাঘিমা = দীর্ঘ + ইমা

Related Sub Categories