অত্যন্ত
অত্যন্ত = অতি + অন্ত।
ইত্যাদি
ইত্যাদি = ইতি + আদি।
প্রতূষ
প্রতূষ = প্রতি + ঊষ।
স্বল্প
স্বল্প = সু + অল্প
অন্বেষণ
অন্বেষণ = অনু + এষণ
অগ্নিশর্মা
অগ্নিশর্মা (অত্যন্ত রেগে যাওয়া) = যেখানে সেখানে অন্ত অগ্নিশর্মা হলে কপালে দুর্ভোগ আছে, জেনে রেখ।
আদায় কাঁচকলায়
আদায় কাঁচকলায় (শত্রুতা) = তার সঙ্গে আমার আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক, সে আমার শত্রু।
ইতর বিশেষ
ইতর বিশেষ (পার্থক্য) = পড়া-লেখা, রূপে-গুণে রহিমা ও ফাহিমার মধ্যে ইতরবিশেষ নেই ।
উত্তম মধ্যম
উত্তম মধ্যম (প্রহার, পিটুনি) = গৃহস্থ চোরটাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিল।
কথার কথা
কথার কথা (গুরুত্বহীন কথা) = কারও মনে আঘাত দেওয়ার জন্য একথা বলিনি, এটা একটা কথার কথা।
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়।
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় = ওষধি।
মৃতের মত অবস্থা যার।
মৃতের মত অবস্থা যার = মুমূর্ষু।
যা নিবারণ করা কষ্টকর।
যা নিবারণ করা কষ্টকর = দুর্নিবার।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি।
যা পূর্বে দেখা যায়নি।
যা পূর্বে দেখা যায়নি = অদৃষ্টপূর্ব।
বাদী
বাদী = বিবাদী।
অগ্র
অগ্র = পশ্চাৎ
অনুকূল
অনুকূল = প্রতিকূল।
অনুরাগ
অনুরাগ = বিরাগ।
গরিষ্ট
গরিষ্ট = লঘিষ্ঠ ।
শ্রদ্ধাঞ্জলী
শ্রদ্ধাঞ্জলী = শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সমিচিন
সমিচিন = সমীচীন।
দন্দ
দন্দ = দ্বন্দ্ব
চাকরিজিবী
চাকরিজিবী = চাকরিজীবী।
নূনতম
নূনতম = ন্যূনতম ।
মূলভাবঃ মানবজীবন সংক্ষিপ্ত কিন্তু এ সংক্ষিপ্ত জীবনে কিছু মানুষ এমন কিছু কীর্তি করে যায় যার জন্য সে সারাজীবন মানুষের মনে বেচে থাকে। যে কারণে দৈহিক বিনাশ ঘটলেও কীর্তিমান ব্যক্তি মানুষের মনে অমরত্ব লাভ করে।
ভাব-সম্প্রসারণঃ মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু কর্মময়। জীবনে প্রকৃত সুখ ও সব কার্যাবলি, এ কর্মের মধ্যেই নিহিত। ধরিত্রীর অবারিত আলো বাতাসের সাথে মিলে যথাসাধ্য কাজ করে চলাই তার কাজ। এ সুন্দর পৃথিবীতে মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি কখনো মানুষকে বিপথগামী করেন নি, মানুষকে এ সুন্দর সুশৃঙ্খল ও মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষ কর্মের মাধ্যমেই তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করবে। কিন্তু এ কর্ম হবে সত্য ও সুন্দরের পথে । কীর্তিমান মানুষ জগতের জ্যোতি হয়ে বেঁচে থাকেন যুগ-যুগান্তর ধরে। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে বহু জ্ঞানের অধিকারী করেছেন। তারা যদি এ জ্ঞানকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে তবে অমরত্ব লাভ করবে। যেসব লোক সুপথে কর্মের মধ্য দিয়ে জীবনকে পরিচালিত করে তারা জীবনে অনেক সুখী সমৃদ্ধশালী হতে পারে; ফলে কর্মময় ক্ষণস্থায়ী জীবন হয় সার্থক ও সত্য। কর্মবিমুখ ব্যক্তিকে সাধারণত সবাই অলস বলে আখ্যায়িত করে। অলস মানুষ ঘুণে ধরা কাঠ ও মরিচা ধরা লাহোর মতো। তারা সমাজে অপাংক্তেয় হিসেবেই চিহ্নিত। হাদিসে রয়েছে, 'অলস মানুষের মাথা শয়তানের আড্ডাভূমি'। কর্মবিমুখতার জন্য বর্তমান সমাজে অনেক যুবক কালোবাজারি, মদ্যপায়ী, সন্ত্রাসী হয়ে পড়েছে। তাদেরকে কর্মসাগরে উদ্বুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। লেখকের ভাষায় “কর্মের গভীর মন্ত্রে উদ্ভাসিত হয়ে মানুষের কল্যাণার্থে জীবনকে পরিচালিত করাই জীবনের প্রকৃত সুখ।" অনেক সাধারণ ঘরের সন্তান কর্মগুণে পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে আছেন। মানুষ তার বয়েসর ওপর ভিত্তি করে বাঁচে না। কর্মের মধ্যেই তার বেঁচে থাকা সার্থক হয়। সাধনায় সফল কৃতিত্ব লাভ করা যায়। মহান আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, 'তোমাদের কর্মফল তোমরা একদিন ভোগ করবেই'। এ বাণীটি কর্মকেই বড় করে, কেননা বয়সে মানুষ স্মরণীয় হয় না। বড় হওয়া এবং স্মরণীয় হওয়ার মাধ্যম হলো কর্ম। কর্মই মানবজীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে।
মন্তব্য: আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে কাজে লাগানো দরকার। পৃথিবীতে কিছু কীর্তি রাখার প্রচেষ্টা করা মানবতার সত্যিকারের প্রকাশ ।কারন মানুষ বাচে তার কর্মের মধ্যে।