অনুক্ষণ
অনুক্ষণ = ক্ষণে ক্ষণে (অব্যয়ীভাব সমাস)।
হাতাহাতী
হাতাহাতী = হাতে হাতে যে যুদ্ধ (ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস)
স্কুল পালানো
স্কুল পালানো = স্কুল থেকে পালানো (৫মী তৎপুরুষ)
অনুতাপ
অনুতাপ = অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ (প্রাদি সমাস)।
স্মৃতিসৌধ
স্মৃতিসৌধ = স্মৃতি রক্ষার্থে যে সৌধ (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)।
স্বচ্ছন্দ
স্বচ্ছন্দ = স্ব + ছন্দ।
দির্গনির্ণয়
দিগ্নির্ণয় = দিক্ + নিৰ্ণয় ।
কুজঝটিকা
কুজ্ঝটিকা = কুৎ + ঝটিকা ।
কিন্তু
কিন্তু = কিম্ + তু।
যজ্ঞ
যজ্ঞ = যজ্ + ন।
'ফুলে ফুলে' ঘর ভরেছে।
ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে = করণে ৭মী
'অন্নহীনে' অন্ন দাও
অন্নহীনে অন্ন দাও = সম্প্রদানে ৭মী ।
অর্থ 'অনর্থ' ঘটায়
অর্থ অনর্থ ঘটায় = কর্মে শূন্য ।
'নদীতে' মাছ আছে
নদীতে মাছ আছে = অধিকরণে ৭মী।
'ঘোড়ায়' গাড়ি টানে।
ঘোড়ায় গাড়ি টানে = কর্তায় ৭মী।
মানব
মানব = মনু + অ/ষ্ণ ।
গায়ক
গায়ক = √গৈ + অক/ ণক ।
শুনানি
শুনানি = √শুন্ + আনি ।
জলীয়
জলীয় = জল + ঈয় ।
কান্ডারী
কাণ্ডারী = (কর্ণধারী > কাণ্ডারী) আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) মানবতার কাণ্ডারী ছিলেন ।
আকুঞ্চন
আকুঞ্চন = প্রসারণ ।
সচেষ্ট
সচেষ্ট = নিশ্চেষ্ট ।
সমষ্টি
সমষ্টি = ব্যষ্টি।
ভূত
ভূত = ভবিষ্যৎ।
তেজী
তেজী = নিস্তেজ/ মন্দা ৷
বাঙালীর স্বাধীকার আন্দোলনের নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকে চেয়ে গোটা জাতি । নেতা কি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন? কি নির্দেশ তার? অন্যায়-অবিচার-শোষণের বিরুদ্ধে জনতার সংগ্রাম এবার কোন পথে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মুক্তিপাগল সংগ্রামী জনতা। একাত্তরের সাতই মার্চের বিকালে রেসকোর্সের ময়দানে মঞ্চ তখন প্রস্তুত, সবাই অধীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর নির্দেশ পেতে। আন্দোলন এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় রেখেই তেসরা মার্চ পল্টনের ছাত্র সমাবেশে বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। একদিকে আন্দোলনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার চাপ; সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণার দাবিতে ছাত্র নেতাদের চাপ, অন্যদিকে আলোচনার পথও খোলা রাখা হয়েছিল । সাতই মার্চের কর্মসূচির আগে ছাত্র নেতা থেকে শুরু করে জাতীয় নেতা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন শেখ মুজিব। ৬ মার্চ রাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দিন আহমেদসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা হয় তার। ৭ মার্চ সকাল থেকেই ঢাকায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা এবং ছাত্র নেতাদের ভিড়। দুপুর ২টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমেদসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে শেখ মুজিব তার বাড়ি থেকে রওনা হন সভাস্থলের উদ্দেশ্যে। ঢাকা সেদিন পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সে সময় রেসকোর্স ময়দান নামেই পরিচিত ছিল। মঞ্চে সকাল থেকেই গণসংগীত বাজছিল । ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন- মানুষের মধ্যে এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল । লাঠি, ফেস্টুন হাতে উত্তপ্ত স্লোগানে পুরো সমাবেশ এলাকা মুখর। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার রেসকোর্স মাঠে যে ভাষণ দিয়েছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, সেখানেই এসেছিল স্বাধীনতার ডাক। বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেন তার চূড়ান্ত নির্দেশনা- “তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব- এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”