বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'। এর ইংরেজি নামঃ The People's Republic of Bangladesh.

সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদে দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদের বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে তা কার্যকর হয়।

যে শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় এবং ব্যবহারের পর নিঃশেষ হয়ে যায় না অর্থাৎ একবার ব্যবহারের পর যে শক্তি পুনরায় ব্যবহারের সুযোগ থাকে তাকে নবায়নযোগ্য শক্তি বলে । এ জ্বালানির উৎস মানুষ নিজের মতো করে ব্যবহারোপযোগী করে নিতে পারে। এ শক্তি ব্যবহারে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পায় না। 

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো হলোঃ সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, সমুদ্রস্রোত, পারমাণবিক শক্তি ইত্যাদি হতে নবায়নযোগ্য শক্তি পাওয়া যায়। এ শক্তির উৎস অফুরন্ত, একবার ব্যবহারের পর শক্তির উৎস নিঃশেষ হয়ে যায় না। সৌরশক্তি নবায়নযোগ্য শক্তির প্রধান উৎস। বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একমাত্র কেন্দ্রটি হল কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর বাংলাদেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ফেনীর নীর সমুদ্র উপকূলীয় সোনাগাজীতে অবস্থিত মুহুরী প্রজেক্টে। মুহুরী প্রজেক্ট হল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারত ও মিয়ানমারের সাথে দেশের ৩২টি জেলার মধ্যে ভারতের সাথে রয়েছে ৩০টি এবং মিয়ানমারের সাথে রয়েছে ৩টি জেলার । ৩টি জেলা হলো- রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার । 

জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা প্রস্তুতকারী হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক 'লুই আইকান'।

১৯০১ সালে এস্তোনিয়ার এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী লুই আইকান পিতামাতার সাথে আমেরিকায় অভিবাসিত হন।

তার শ্রেষ্ঠ নির্দশন হল জাতীয় সংসদ ভবন।

বিদেশিদের চোখে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা।

তাঁর সম্পর্কে বিদেশী সাংবাদিক সিরিল ডান বলেন, “ বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিবই একমাত্র নেতা যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, কৃষ্টিতে এবং জন্মসূত্রেও ছিলেন খাঁটি বাঙালি।

তাঁর দীর্ঘ শালপ্রাংশু দেহ, বজ্রকণ্ঠ, মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার বাগ্মিতা এবং জনগণকে নেতৃত্বদানের আকর্ষণীয় ব্যাক্তিত্ব ও সাহস তাঁকে এ যুগের এক বিরল মহানায়কে রুপান্তর করেছে”।

যুক্তরাষ্ট্রের “নিউজউইক” পত্রিকা বলেছে, “ শেখ মুজিব Poet of Politics - রাজনীতির কবি”।

বিলেতের মানবতাবাদী আন্দোলনের প্রয়াত নেতা মনীষী লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে বলেছেন, “ জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী, ডি ভ্যালেরার চেয়েও শেখ মুজিব এক অর্থে বড় নেতা”।

নতুন মিশরের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হাসনাইন হাইকেল বলেছেন, “নাসের কেবল মিশরের নন, সারা আরব জাতির মুক্তি দূত। তাঁর আরব জাতীয়তাবাদ আরব জনগণের শ্রেষ্ঠ মুক্তি - প্রেরনা। তেমনি শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নন, বাঙালি জাতির মুক্তিদূত।

তাঁর বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাঙালির সভ্যতা ও সংস্কৃতির নব অভ্যুদয় মন্ত্র”।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর বিখ্যাত রচনা হলো 'কাঁদো নদী কাঁদো' (১৯৬৮)। এটি একটি অস্তিত্ববাদী উপন্যাস। এই উপন্যাসের জীবনবাদী চেতনার প্রতীক হলো 'নদী'। উল্লেখ্য, শওকত ওসমান রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস হলো 'জাহান্নাম হইতে বিদায়' (১৯৭১), 'নেকড়ে অরণ্য' (১৯৭৩)। আনোয়ার পাশা রচিত 'রাইফেল রোটি আওরাত' একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস । এই উপন্যাসে মুক্তি সংগ্রামের প্রথমদিকের মর্মান্তিক বাস্তব অভিজ্ঞতার চিত্র ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ ও ভারত এই দুই দেশের শিল্পকলা, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাসের মেলবন্ধন অটুট রাখা এবং শিক্ষা বিষয়ক অধ্যয়ন ও গবেষণা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ও অর্থায়নে প্রতিষ্ঠত ভবনের নাম বাংলাদেশ ভবন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত।

UNHCR হলো United Nations High Commissioner for Refugees বা জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন। UNHCR এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত। উল্লেখ্য, সংস্থাটি ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রধানকে বলা হয় হাইকমিশনার। বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করে UNHCR. এটি ১৯৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৫৪ সালে এবং ১৯৮১ সালে দুইবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে ।

নিম্নবর্ণিত স্থান /প্রতিস্ঠানসমূহ কেন বিখ্যাত?
9.

রেড স্কোয়ার

Created: 2 months ago | Updated: 2 days ago

রেড স্কোয়ার = রেড স্কয়ার রাশিয়ার মস্কোতে অবস্থিত বিখ্যাত নগর ব চত্বর। এটি ক্রেমলিনকে পৃথক করছে যা বর্তমানে রুশ রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

নিম্নবর্ণিত স্থান /প্রতিস্ঠানসমূহ কেন বিখ্যাত?
10.

লন্ডন

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

লন্ডন = লন্ডন উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের রাজধানী শহর। শহরটি গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ড নামক প্রশাসনিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে টেমস নদীর তীরে অবস্থিত ।

নিম্নবর্ণিত স্থান /প্রতিস্ঠানসমূহ কেন বিখ্যাত?
11.

জেনেভা

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

জেনেভা = সুইজারল্যান্ডের প্রধান শহরগুলো হল বার্ন, জুরিখ, জেনেভা। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত যেই শহরটি সেটি হল জেনেভা । কারণ এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দপ্তরের অবস্থান রয়েছে ।

নিম্নবর্ণিত স্থান /প্রতিস্ঠানসমূহ কেন বিখ্যাত?
12.

BBC

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

BBC = ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন হলো (British Broadcasting Corporation, BBC) যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি গণমাধ্যম সংস্থা । টেলিভিশন, বেতার এবং ইন্টারনেটে সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন ইংরেজি অনুষ্ঠান তৈরি এবং তথ্য সেবা সরবরাহ করা বিবিসির প্রধান কাজ ।

নিম্নবর্ণিত স্থান /প্রতিস্ঠানসমূহ কেন বিখ্যাত?
13.

WHO

Created: 2 months ago | Updated: 2 days ago

WHO = WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হল জাতিসংঘের এক বিশেষ সংস্থা। এই সংস্থা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে থাকে। এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন দলের অংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংবিধান, সংস্থাটির গভর্নিং বা প্রশাসনিক কাঠামো এবং নীতি স্থাপন করে ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার নিদর্শন হিসেবে টিকে আছে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত 'ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি' যা ইংরেজ কবরস্থান নামেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের ৭৩৬ জন যোদ্ধার স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে নির্মিত এই ‘ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি'। যাদের মধ্যে ৩ জন নাবিক, ৫৬৭ জন সৈনিক ও ১৬৬ জন বৈমানিক রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। সুইজারল্যান্ডের নাগরিক হেনরি ডুনান্ট এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা। উল্লেখ্য, বিশ্বের দুঃস্থ মানবতার সেবায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রেডক্রস'। সংস্থাটি ৩টি নামে পরিচিত। মুসলিম বিশ্বে রেড ক্রিসেন্টের প্রতীক অর্ধাকৃতি চাঁদ, ইসরাইলে এর প্রতীক রেড ক্রিস্টাল আর বাকি বিশ্বে রেডক্রস প্রতীক হলো লাল ক্রস। এই সংস্থাটি ১৯১৭, ১৯৪৪ এবং ১৯৬৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরির নাম হচ্ছে ‘ইউনাইটেড লাইব্রেরি অব কংগ্রেস'। ১৮০০ সালের ২৪ এপ্রিল আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্যারালিম্পিক গেমসে পঞ্চইন্দ্রিয়ের যেকোন এক বা একাধিক বিকল ইন্দ্রিয় বা বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ বিকলাঙ্গদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

এই গেমসটি দুইভাবে অনুষ্ঠিত হয়, গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক গেমস এবং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমস। ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকের পর থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটির তত্ত্বাবধানে সব ধরনের প্যারালিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়। এই গেমসের অন্যতম উদ্দেশ্য হল বিকলাঙ্গ ক্রীড়াবিদদের ও সুস্থ ও সাবলীল ক্রীড়াবিদদের মধ্যকার ব্যবধান ঘুচে দিয়ে তাদেরকে সুস্থদের মতই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সমান সুযোগ প্রদান করা ।

অলিম্পিক গেমসের নীল, হলুদ, কালো, সবুজ এবং লাল রংয়ের পাঁচ চাকতিই প্রতীক। নীল রংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হলুদ, আবার হলুদের সঙ্গে সংযুক্ত কালো। অন্যদিকে লাল রংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত সবুজ, আবার সবুজের সঙ্গে সংযুক্ত কালো। নীল রংয়ের মাধ্যমে ইউরোপকে বোঝানো হয়েছে। এশিয়াকে বোঝাচ্ছে হলুদ। কালো, সবুজ এবং লাল রং যথাক্রমে আফ্রিকা, ওশিয়ানিয়া ও আমেরিকা মহাদেশকে বোঝাচ্ছে। অনেকের মতে এর মাধ্যমে বিশ্বজননীতা ও অলিম্পিসম বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সৃষ্টিকর্তা। অলিম্পিক চার্টারের রুল আটে পাঁচ মহাদেশ এবং অ্যাথলিটদের সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

পক প্রণালী পৃথক করেছে ভারত ও শ্রীলংকা-কে আর সংযুক্ত করেছে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর-কে। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ৭টি রাজ্যকে ‘Seven Sister' বলা হয়। রাজ্যগুলো হলোঃ আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড । আর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অথচ সেভেন সিস্টারভুক্ত নয় ভারতের রাজ্যটির নাম পশ্চিবঙ্গ ।

মেইল সার্ভারে POP বা IMAP এবং STMP প্রোটোকল ব্যবহার করা হয় । POP এর পূর্ণরূপ Post Office Protocol.

বাংলাদেশে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলোঃ পায়রা (কলাপাড়া, পটুয়াখালী), রামপাল (বাগেরহাট), মাতারবাড়ি (মহেশখালী, কক্সবাজার)।

Related Sub Categories