বাঘের আড়ি
বাঘের আড়ি (প্রবল জেদ): বাবুল আজ খেলনা কেনার জন্য বাঘের আড়ি ধরেছে।
বর্ণচোরা আম
বর্ণচোরা আম (কপট ব্যক্তি): লোকটি বর্ণচোরা আম, তার আসল রূপ ধরা যায় না।
ফুটো পয়সার লড়াই
ফুটো পয়সার লড়াই (সামান্য বিষয় নিয়ে বিবাদ): ফুটো পয়সার লড়াইয়ে থানা পুলিশ করা ঠিক নয়।
ষাঁড়ের গোবর
ষাঁড়ের গোবর (অপদার্থ লোক): ছেলেগুলো সব ষাঁড়ের গোবর, পড়ে পড়ে মার খায় ।
হস্তিমুর্খ
হস্তিমূর্খ (ভীষণ বোকা): সামান্য ব্যাপারটা বুঝতে পারলে তুমি তো একটা হস্তিমূর্খ দেখছি।
যিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন।
যিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন = লব্ধপ্রতিষ্ঠ
যিনি ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত
যিনি ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত = নৈয়ায়িক
যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছ।
যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছ = ক্রমবর্ধমান
যা লঙ্ঘন করা দুরূহ
যা লঙ্ঘন করা দুরূহ = দুর্লঙ্গনীয়
যে অন্য দিকে মন দেয় না
যে অন্য দিকে মন দেয় না = অনন্যমনা
মহর্ষি
মহর্ষি = মহা + ঋষি
নিষ্ঠা
নিষ্ঠা = নিঃ + ঠা
ক্ষুধার্ত
ক্ষুধার্ত = ক্ষুধা + ঋত।
জ্যোতির্বিদ
জ্যোতির্বিদ = জ্যোতিঃ + বিদ ।
অঙ্কিত
অঙ্কিত = অঙ্ক + ত (ক্ত)।
একটা গোপন কথা বলি
একটা গোপন কথা বলি
= একটা গোপনীয় কথা বলি ।
সে তার শিক্ষকের একান্ত বাধ্যগত ছাত্র
সে তার শিক্ষকের একান্ত বাধ্যগত ছাত্র
= সে তার শিক্ষকের একান্ত বাধ্য/ অনুগত ছাত্ৰ ৷
সমস্ত ছাত্রগণই পড়াশোনায় অমনযোগী নহে
সমস্ত ছাত্রগণই পড়াশোনায় অমনোযোগী নহে
= সকল ছাত্রই পড়াশোনায় অমনোযোগী নয় ।
আমার কথায় প্রমাণ হলো
আমার কথাই প্রমাণ হলো
= আমার কথাই প্রমাণিত হলো
তার এখন সংকট অবস্থা
তার এখন সংকট অবস্থা
= তার এখন সংকটাপন্ন অবস্থা ।
মানবাধিকার বলতে বোঝায় মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা যা সকল মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। প্রচলিত ধারণায় এই অধিকারগুলো হচ্ছে অখণ্ডনীয় এবং মৌল'। তবে এ সকল অধিকার এবং স্বাধীনতা যেসব ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হোক, তা থাকবে বিতর্কের জন্য উন্মুক্ত। তাই দেখা যায় যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকার (যা প্রথম প্রজন্মের অধিকার বলে বিবেচিত) বেশি সুবিধা দিচ্ছে বলে অনেকে প্রাধান্য দেন, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অধিকারকে যা দ্বিতীয় প্রজন্মের অধিকার বলে বিবেচিত অনেকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অনেকে আবার গুরুত্ব দিচ্ছেন যে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত মানবাধিকার নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট সংস্কৃতির মাধ্যমে এবং বৈশ্বিক ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র: ২য় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা লাভের অল্প কিছু দিনের মধ্যে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রাথমিক ভিত্তির দলিলটি গৃহীত হয়। বাধ্যবাধকতাহীন এই দলিলে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার একনায়ক সুলভ ক্ষমতার ব্যবহার থেকে ব্যক্তিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে মানবাধিকারের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল। বিশ্বের সবগুলো মহাদেশের এবং ধর্মের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল। বিশ্বের সবগুলো মহাদেশের এবং ধর্মের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটির দ্বারা গবেষণার মাধ্যমে এবং প্রতিটি অধিকার আলাদা অংশে বিভক্ত করে সর্বজনীন মানবাধিকার তত্ত্বটি প্রস্তুত হয়। সর্বজনীন মানবাধিকার তত্ত্বে মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে, যা সমগ্র মানব সত্তার সাথে জড়িত। UDHR এর ১ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে যে, সকল মানুষই স্বাধীন অবস্থায় সম- মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এর সাথে যোগ করা হয়েছে অর্থনীতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার। সব অধিকারের সমন্বয়ে প্রণীত ইউডিএইচআর-এ আশা করা হয়েছিল যে, মৌলিক অধিকারসমূহ অবিচ্ছেদ্য এবং অলঙ্ঘনীয় ভাবে তৈরি।