হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই, অগৌরব হয় মিথ্যায়, মূর্ণতায়
ভাব-সম্প্রসারণঃ নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে রয়েছে আত্মতৃপ্তি গৌরব: মিথ্যায় কিংবা মূর্ণতায় কোনো গৌরব নেই । আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা নিজের কাজ নিজে করাটাকে ছোট হওয়া উন্নতি লাভ করার চেয়ে এমন মানুষ মিথ্যা আর মূর্খতার নিজের গৌরব বৃদ্ধি করাতে চায়। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবৈধ ও অন্যায়ভাবে টাকা উপার্জন করে জীবনের কি এরা গৌরবজনক মনে করে। মূর্ণতা এদের কাছে অভিশাপ মনে হয় না। অন্ত না নিজে করার মধ্যেই প্রকৃত গৌরব নিহিত। অন্যের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাওয়া, চুরি করা কিংবা অবৈধ কিছু করার চেয়ে খেটে খাওয়া অনেক ভাল কাজ তা যাই হোক, কাজ করার মধ্যে কোনো অসম্মান নেই। শ্রমজীবী মানুষই নতুন সভ্যতার কারিগর। তাদের ঘামে এমেই প্রোথিত বিলাসী জীবনের ভীত। পৃথিবীতে যারা স্বরণীয় ও বরণীয় হয়েছে তাঁরা সবাই নিজের কাজ নিজেই করেছে। অন্যদিকে মিথ্যা মূর্ণতায় অন্যায়ভাবে বনের গৌরবকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে তাদের পতন হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সংকীর্ণমনারাই কালের শ্রেণীবিন্যাস করে উঁচু নিচু ভেদাভেদ সৃষ্টি করে থাকে। হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই, অগৌরব হল মিথ্যায় মূর্ণ তারাই হাতের কাজকে অগৌরব মনে করে।
আমার একার আলো সে যে অন্ধকার, যদি না সবারে অংশ নিতে পারি তার
ভাব সম্প্রসারণঃ আত্মকেন্দ্রিক সুখ-ভেলা, আনন্দ-উদ্যাস প্রকৃত সুখ সুখ হচ্ছে সুখী সমাজ গঠন করে সবার সুখে সুখী হওয়ার মধ্যে। পরিবার, সমাজ, প্রতিবেশ পরিবেশের সাথে অংশীদারিত্ব না থাকলে ব্যক্তিগত কোনো সাফল্যই প্রকৃত সাফল্য নয়। একটি ফুলে মানা হয় না, একটি গাছে বাগান হয় না, এক বিন্দু ঘটিক ফলে ঝরনা হয় না, একটি ভারার আলোয় আকাশ মনোরম হয়ে সাথে না। কাজেই যত ভালোই হোক, একজনের সাফল্যই প্রকৃত সাফল্য নয়। সবার সাফল্যই প্রকৃত সাফল্য। সবাই পেছনে পড়ে থাকলে দৌড়ে একা হয়ে গেলে সাফল্য ম্লান হয়। তাই নিगान চেতনা ও কল্যাণধর্মী মনোভাবের, জ্ঞানের ও শিক্ষার আলো সবার মধ্যে উৎকীর্ণ করাই প্রকৃ । আত্মকেন্দ্রিকতা জীবনের জন্য পরিপূর্ণ সফলতা নয়। কারণ এবার শক্তি যত বেশিই হোক, সমষ্টির চেয়ে বেশি নয়। কাজেই সমষ্টিকে বাদ দিয়ে বা পাশ কাটিয়ে খুব বেশি দূর যাওয়া যায় না। শুধু নিজের মধ্যে শিক্ষার আলো, সভার আলো, ন্যারো রাখলেই হবে না, ডাকে ছড়িয়ে নিতে হবে। তাহলে সমাজে ন্যায়, সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। সমাজে ন্যায়, সত্য, সুন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ মানে, সমস্ত মানুষের চেতনায় তা ছড়িয়ে দেওয়া, যত্ন নিয়ে গড়ে তোলা। সবার প্রাণে যদি আলোক শিখা জ্বলে তাহলে সে আনোয় দে ভরে উঠবে। তখন অন্তরের আলোয় সারা পৃথিবী সুখ-শান্তিতে ভরে উঠবে পৃথিবী থেকে সময় অন্যায় অসুন্দর দূর হবে মানুষ পরস্পরে আলোর বন্ধনে প্রেমের বন্ধনে সুন্দরে পড়বে। কাজেই আমাদের মহৎ গুণ, চেষ্টা, কর্ম যদি কিছু থেকে থাকে তবে তা নিয়ে মিথ্যা অহংকারে মত্ত না হয়ে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থময় না হয়ে সবাইকে ভার ভাগ নিতে হবে। সবাইকে নিয়ে সুন্দরের পথে এগিয়ে যেতে হবে। জগতে বহু কল্যাণকামী মনীষী, পণ্ডিত ব্যক্তি এই আদর্শের ভিত্তিতে কাছে করে তাদের জ্ঞানের আলোয়, প্রাণের আলোয় আমাদের আলোকিত করে গেছেন। আমরাও তাদের মতো নিজেদের সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করব, সমাজকে গড়ে তুলব। আমাদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাবে জগতের সময় অন্ধকারকে দূর করার নিমিত্তে।
চুল পাকলেও তার বৃদ্ধি পাকেনি। (জটিল)
যদিও তার চুল পেকেছে, তবুও তার বুদ্ধি পাকেনি।
তার প্রচুর সম্পদ আছে বটে, কিন্তু সে সুখী নয়। (সরল)
তার প্রচুর সম্পদ থাকলে সে সুখী নয়।
সে পড়া শেষ করে ঘুমাতে গেল। (যৌগিক)
সে পড়া শেষ করল এবং ঘুমাতে গেল।
বিপদ এবং দুঃখ এক সময়ে আসে। (মিশ্র)
যখন বিপদ আসে তখন দুঃখ আসে।
যদি না পড়ি তবু পাস করব। (সরল)
না পড়লেও পাস করব।
ভিক্ষুককে দান কর। (মিশ্র)
যে ভিক্ষা চায় তাকে দান কর।