জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলাকে 'বাংলাদেশ" নামকরন করেন কখন?
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে
SDG এর পূর্ণরূপ লিখুন
SDG-Sustainable Development Goals
মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
তাজউদ্দীন আহমদ
পদ্মা সেতু কোন দুটি জেলাকে সংযুক্ত করেছে?
মুন্সিগঞ্জ-শরীয়তপুর
পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি?
নীলনদ
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের 'ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার' কোথায় অবস্থিত?
কালিয়াকৈর, গাজীপুর
সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী” সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদে?
২৭ অনুচ্ছেদে
মুক্তিযুদ্ধের সময় গাজীপুর কোন সেক্টরের অধীন ছিল?
৩ নং
'রক্তাক্ত প্রান্তর' নাটকটি কার লেখা?
মুনীর চৌধুরী
মার্ক জাকারবার্গ ও তার ৩ সহপাঠী কত সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন?
ফেসবুক. ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত
দুইটি প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের নাম লিখুন।
Windows, Linux
১টি ইনপুট ও ১টি আউটপুট ডিভাইসের নাম লিখুন।
ইনপুট-মাউস, আউটপুট- মনিটর
বাংলায় টাইপিং এর জন্য প্রচলিত সফটওয়্যারের নাম লিখুন।
বিজয়
পূর্ণরূপ লিখুন: www এবং Wi-Fi
WWW- World Wide Web.
Wi-Fi -Wireless Fidelity
MS Word এ ফাইল সেইভ ও নতুন ডকুমেন্ট ফাইল তৈরির কমান্ড লিখুন।
সেইভ Ctrl + s
নতুন ডকুমেন্ট Ctrl + N
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণ ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাভি জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিত্রতার এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উল্লেখ। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত ও সফিউর। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নচিল এটি। সেদিন তাদের রক্তের বিনিময়ে শৃঙ্গলযুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা ও মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে UNESCO কর্তৃক বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছে এক বিশাল খ্যাতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বদ্বয়ে অমর একুশের উদ্যাপন নিসন্দেহে এক বিশাল জাতীয় গৌরব ও সম্মানের। ২০০০ সাল থেকে UNESCO এর সদস্য গুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে। ২০০১ সালের ১৫ মার্চ বিশ্বের সব মাতৃভাষার গবেষণা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কাজ করার উদ্যোগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তির স্থাপন করেন ঢাকার সেনবাগিচায়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষাসংক্রান্ত গবেষণা, ভাষা সংরক্ষণ ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এটি তাহার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে যা বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদায় আসীন করতে ভূমিকা রাখছে। ২০১০ সালের নভেম্বর জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে ৪র্থ কমিটিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিন গৃহীত হয়। ফলে এটি বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষার প্রতি বিশ্ববাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সম্মান প্রদর্শনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিক চর্চা বিশ্বলয়ে বেড়ে চলেছে। মাতৃভাষার সংখ্যার বিচারে বাংলা ভাষা পৃথিবীর একটি শক্তিশালী ভাষা। একমাত্র আফ্রিকার সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ বাংলাকে স্বীকৃতির প্রদান করে। ফলে বাংলা ভাষা লাভ করে এক অনন্য মর্যাদা। এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে ৩০টি দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে বাংলা বিভাগ, সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার অবাঙালি পড়ুয়া বাংলাভাষা শিক্ষা ও গবেষণার কাজে করছে। এছাড়া চীনা ভাষায় রবীন্দ্র রচনাবলির ৩৩ গণ্ডের অনুবাদ এবং লালনের গান ও দর্শন ইংরেজি জাপানি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় সারা পৃথিবীতে একুশে আমাদের মননের বাতিঘর হিসেবে। একুশ এখন সারা বিশ্বের ভাষা ও অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে আমাদের অহংকার শহীদ মিনার'।