যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে
প্রত্যুৎপন্নমতি
যিনি বক্তৃতা দানে পটু
বাগ্মী
যে শুনেই মনে রাখতে পারে
শ্রুতিধর
সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত
আসমুদ্রহিমাচল
জয়ের জন্য যে উৎসব
জয়ন্তী
বাগাড়ম্বর
বাক্ + আড়ম্বর
স্বাগত
সু + আগত
অত্যধিক (অ্যাধিক )
অতি + অধিক
দৈনিক
দৈনিক= দিন + এক
উদ্যোগ
উৎ + যোগ
চাঁদের হাট
চাঁদের হাট (আনন্দের প্রাচূর্য): ধনেজনে চৌধুরী সাহেবের সংসার যেন চাঁদের হাট।
ব্যাঙের আধুলি
ব্যাঙের আধুলি (সামান্য সম্পদ)- এ সামান্য কটা টাকা ব্যাঙের আধুলি আর কি।
বর্ণচোরা
বর্ণচোরা (কপট ব্যক্তি)- লোকটা বর্ণচোরা, তার আসল রূপ ধরা যায় না।
তাসের ঘর
তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী বস্ত্র)- ঠুনকো বন্ধুত্ব স্বার্থের সামান্য আঘাতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়।
বক ধার্মিক
বক ধার্মিক (ভণ্ড সাধু): মুখে ধর্মের কথা বললেও লোকটা আসলে বক ধার্মিক।
অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার।
অন্নাভাবে প্রতি ঘরে হাহাকার/অন্নাভাবে ঘরে ঘরে হাহাকার।
আমরা উন্নতির পথে কুঠারাঘাত করিতেছি।
আমরা উন্নতির মূলে কুঠারাঘাত করিতেছি।
সকল মানুষেরাই মরনশীল।
সকল মানুষই মরণশীল/ মানুষেরাই মরণশীল।
দেবী অন্তৰ্ধান হইবেন।
দেবী অন্তর্হিত হইবেন।
সে স্বাক্ষী দিয়াছে।
সে সাক্ষ্য দিয়াছে।
২১৩ শব্দ
জাতি, উন্নতি, দুর্নীতি- এ তিনটি শব্দের উচ্চারণের শেষে মিল থাকলেও প্রথমটির জন্য দ্বিতীয়টির যতটা প্রয়োজন, দ্বিতীয়টির জন্য তৃতীয়টি তার চাইতেও বেশি ক্ষতিকর এবং বর্জনীয়। অসৎ বা অবৈধ সুবিধা লাভের জন্য মানুষের পরিচালিত কার্যক্রমের নামকে আমরা ‘দুর্নীতি’ বলে অভিহিত করতে পারি। অপরদিকে, উন্নতি হচ্ছে পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অবস্থার উত্তরণ। সামগ্রিকভাবে, সারাবিশ্বে এটি বিশ্বাস করা হয় যে, দুর্নীতির জাতীয় উন্নতির অন্তরায়। একদিকে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে, অপরদিকে ব্যাপকে দুর্নীতির ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অন্তরায়। ‘বিশ্বব্যাংক’ নামক এক সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশে দুর্নীতি’ বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে “বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধ করা গেলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ - ৩ শতাংশ বেড়ে যেত এবং মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হতো।” দুর্নীতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বাধা। অপরদিকে, দুর্নীতি এবং দারিদ্র, জাতীয় জীবনের দুটি দুষ্টচক্রের সৃষ্ট সমস্যা। দারিদ্র্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সহায়তা করছে, আবার দুর্নীতির ফলে আমার দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। সর্বোপরি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মানব উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের ৭৫ ভাগই রাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্রবাদীরা, ও দুর্নীতিবাজরা আত্মসাৎ করছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রণীত রিপোর্টে উঠে এসেছে। সুতরায়, দুর্নীতি, উন্নতির সকল ক্ষেত্রে অভিশাপ হিসেবে বিরাজ করে উন্নতির ক্ষেত্রে মারত্মক অন্তরায় সৃষ্টি করছে। তাই, সরকার, মুসলিম রাজনীতিবিদ ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এদেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। তবেই এদেশে সোনালি সুদিন ও সুখি ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে।