'বাংলা ছাড়ো' কবিতাটির রচয়িতা কে?
'বাংলা ছাড়ো' কবিতাটির রচয়িতা সিকান্দার আবু জাফর
মহাকবি আলাওল কোন যুগের কবি ছিলেন?
মহাকবি আলাওল মধ্যযুগের কবি ছিলেন
' এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' পক্তিটির কবি কে?
'এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়' পক্তিটির কবি হেলাল হাফিজ
কোন কালের অনুজ্ঞা হয় না?
অতীত কালের অনুজ্ঞা হয় না
'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে কোন ধরনের বাক্যের উদাহরণ?
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে জটিল বাক্যের বাক্যের উদাহরণ
'অগ্নিসমুদ্র' বাক্যটির সঠিক ব্যাসবাক্য কী?
'অগ্নিসমুদ্র' বাক্যটির সঠিক ব্যাসবাক্য অগ্নি রূপ সমুদ্র
তোমার নাম কী? এখানে 'কী' কোন প্রকারের পদ?
তোমার নাম কী? এখানে 'কী' সর্বনাম পদ
'তাপ' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কী?
'তাপ' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ শৈত্য
'আকাশ ও পৃথিবী' এক কথায় কী বলে?
'আকাশ ও পৃথিবী' এক কথায় বলে ক্রন্দসী
'Alias' শব্দটির বাংলা পারিভাষিক শব্দ কী?
'Alins' শব্দটির বাংলা পারিভাষিক শব্দ ওরফে / উপনাম
সন্ধি বিচ্ছেদ করুন: সদৈব
সদা+এব = সদৈব
সন্ধি বিচ্ছেদ করুন: নিষ্কর
নিঃ+কর = নিষ্কর
'চশমা' কোন ভাষার শব্দ?
'চশমা' ফারসি ভাষার শব্দ
'সাহেব' শব্দের বহুবচন কী?
'সাহেব' শব্দের বহুবচন সাহেবান
'আজকে নগদ কালকে ধার' বাক্যের নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
‘আজকে নগদ কালকে ধার’- অধিকরণে ২য়া
যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কোন কারক বলে?
যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্মকারক কারক বলে
'যুদ্ধমান' শব্দটির সঠিক বানান কী?
'যুদ্ধমান' শব্দটির সঠিক বানান যুধ্যমান
'কাব্য সুধাকর' কার উপাধি?
'কাব্য সুধাকর' উপাধি গোলাম মোস্তফার
‘ঊনকোটি চৌষট্টি' বাগধারাটির অর্থ কী?
'ঊনকোটি চৌষট্টি' বাগধারাটির প্রায় সম্পূর্ণ
'ঢাকের বায়া' বাগধারাটির অর্থ কী?
'ঢাকের বায়া' বাগধারাটির অর্থ মূল্যহীন বস্তু
ভোগে নয়, কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে মানুষ নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারে। ভোগের লোভ মানুষের মাঝে চিরন্তন। ভোগের জন্য আধুনিক উপকরণ সংগ্রহে মানুষের চেষ্টার বিরাম নেই। ধনী আরও ধনী হতে চায়, সম্পদের পাহাড় গড়তে চায়। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে তাকে সুখী মনে হলেও ভোগের স্পৃহা তাকে ক্রমে বিলাসের সোনার হরিণ হতে দূরে ঠেলে দেয়; সৃষ্টি হয় গভীর অপরিতৃপ্তির। তার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়ে সুখ নামক অদৃশ্য জিনিস তার নাগালের বাইরে চলে যায়। ফলে অতৃপ্ত ভোগের আকাঙ্ক্ষায় সে আরো অস্থির ও পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। ভোগের মোহ ত্যাগ করে যে ব্যক্তি কর্মের মাধ্যমে নিজের জীবনকে অতিবাহিত করে, তার প্রচুর ধন-দৌলত না থাকলেও কর্মগুণে সে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করে। মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল তাঁদের সেবামূলক কর্মের মাধ্যমে আজও বিশ্ববাসীর মনে জাগরূক। সুখের জন্য অনেকেই বিলাস-ব্যসনে মত্ত হয়ে ওঠে এবং ভোগ-বিলাসের নানারকম আয়োজন করে। কিন্তু কোনোভাবেই ভোগাকীর্ণ জীবন সুখ ও সমৃদ্ধির সন্ধান দেয় না। একমাত্র মহৎ কর্মের মধ্য দিয়েই সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। দেশব্রতী ও মানব্ৰতী কর্মেই মানুষ লাভ করে জীবনের পরম সার্থকতা। যথার্থ সুখের নাগাল পেতে আমাদের উচিত ভোগের মোহ ত্যাগ করা। মোক্ষম মুক্তির জন্য কর্মই পরম শক্তি।
জীবনের রূঢ় বাস্তবতার কাছে সৌন্দর্যচেতনা ও কল্পনা বিলাস অর্থহীন। মানব সভ্যতার প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই মানুষ অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এই সংগ্রামে জয়ী মানুষের মনেই কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিককে পৃথিবীর রঙ-রূপ- রস-গন্ধ কোনোটাই আকৃষ্ট করতে পারে না। জীবন ধারণের মৌলিক প্রয়োজনকেই তিনি একমাত্র অবলম্বন হিসেবে জানেন। পক্ষান্তরে জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য সাহিত্য ও শিল্পকলার প্রয়োজনীয়তা আছে। মানব মনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতির সন্ধান যদি না পাওয়া যায়, তবে সে মানব জীবন ব্যর্থ। অন্ন মানুষের উদর পূর্তি করে আর শিল্পকলা মানুষের মনন বিকশিত করে। জীবনের যথার্থ বিকাশের জন্য উভয়টিই দরকার। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষের নিত্যসঙ্গী। দুবেলা দুমুঠো অন্ন যোগাতে যাদেরকে উদয়াস্ত সংগ্রাম করতে হয়, তাদের জীবনে কাব্য সৌন্দর্যের কোনো দাম নেই। জীবনের রূঢ় বাস্তবতার কথাও কবির কাব্যে তুলে আনা উচিত। তা না হলে সেই কবির শিল্প সাধনাও ব্যর্থ। পেটে ভাত না থাকলে মানুষের পক্ষে শিল্পসৌন্দর্য উপলব্ধি সম্ভব না। পূর্ণিমার চাঁদকে তখন তার কাছে ঝলসানো রুটির মতো মনে হয়। মানবজীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য উদ্ঘাটনে ক্ষুন্নিবৃত্তির সাধনাকেই বিশেষ প্রধান্য দেওয়া উচিত। তবেই জীবন ও সাহিত্য সার্থক হয়ে ওঠবে।