যা বলা হয়নি
যা বলা হয়নি - অনুক্ত।
যা কষ্টে লাভ করা যায়
যা কষ্টে লাভ করা যায় - দুর্লভ।
অগস্ত্য যাত্রা
অগস্ত্য যাত্রা - শেষ বিদায়।
ঢাকের কাঠি
ঢাকের কাঠি - তোষামুদে।
মনীষা
মনীষা - মনস্+ঈষা।
পদ্ধতি
পদ্ধতি - পদ্-হতি।
কুটিল
কুটিল - সরল।
বাঁকা
বাঁকা - সোজা।
কোণ
কোণ - অভ্যন্তর।
মলাট
মলাট - আবৃত।
'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থটির রচয়িতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থটি লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম। এদেশের মানুষের আজন্ম লালিত অধরা স্বপ্ন ধরা দেয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষের সামনে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"। এই ভাষণই তখন সমগ্র বাঙালি জাতিকে করেছিল উদ্দীপ্ত, অনুপ্রাণিত। ১৮ মিনিটের এই ভাষণে তিনি তুলে ধরেন ১৯৪৮-৭১ সাল পর্যন্ত সকল বঞ্চনা ও বাঙালির মনোবেদনা। এরপর পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালে রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে এ যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মেহেপুরের বৈদ্যনাথতলায় (মুজিবনগর) স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী সরকার গঠন করে। এ সরকারে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি (পদাধিকার বলে সশস্ত্র ও মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক) ঘোষণা করা হয় এবং তাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশক্রমে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী চলা যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ বাঙালি শহিদ হন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। বিশ্বদরবারে জায়গা করে নেয় নতুন এক দেশ, বাংলাদেশ। বস্তুত বাঙালি জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এ স্বাধীনতা অর্জনের অগ্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।