'স্মার্ট বাংলাদেশ' হলো এমন এক আধুনিক বাংলাদেশ যেখানে সবকিছু প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হবে, দেশের নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে এবং এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। 'স্মার্ট বাংলাদেশ' এর ভিত্তি মূলত চারটি; সেগুলো হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশের মেয়াদকাল ২০২২-২০৪১। বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে ১৪ দফা কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই দফাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির অধীনে আত্ম-কর্মসংস্থান ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের জন্য 'ওয়ান স্টুডেন্ট, ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম' ব্যবস্থা হাতে নেওয়া, আত্ম-কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠাকরণ, দ্রুত টেকসই দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্য পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতিকরণসহ আরো বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি, ২০৪১ সাল নাগাদ রূপকল্প-৪১ এবং ২১০০ সাল নাগাদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে নজর দিতে হবে। তাছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশবান্ধব আর্থিক বাজেট রাখতে হবে প্রতিবছর। বাংলাদেশের স্মার্ট ধারণার বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই লক্ষ্যে বহুমুখী তৎপরতাও শুরু হয়েছে বেশ। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য অনুসঙ্গ হিসেবে অনেক কিছু প্রয়োজন তার অনেক কিছুই এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সবচেয়ে যেটি প্রয়োজন, সেটি হলো নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। এক্ষেত্রে চর্তুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে দেশের সবাইকে উপযুক্ত করে তোলাটাও বেশ জরুরি। এখানেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া কারিগরি শিক্ষার বিকাশ ঘটানো সম্ভব হয়নি এখনো। আর এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যাবতীয় বিষয় ভালোভাবে রপ্ত করাটাও বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের শ্রমিকরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেশ কম। কারিগরি শিক্ষা না থাকায় অদক্ষ, আধাদক্ষ শ্রমিক বিদেশে যাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। যা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের আরেকটি অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধু স্লোগান বা কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যথাযথ আধুনিক এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিভিন্নখাতে মানুষকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রত্যাবর্তন
প্রত্যাবর্তন = প্রতি + আবর্তন।
গত্রান্তর
গত্রন্তর (গত্যন্তর হবে) = গতি + অন্তর
মরুদ্যান
মরুদ্যান = মরু + উদ্যান
ভূর্ধ্ব
ভূর্ধ্ব = ভূ + ঊর্ধ্ব
অভ্যুত্থান
অভ্যুত্থান = অভি + উত্থান
নদী
নদী = জলপ্রবাহ, প্রবাহিনী, তটিনী।
কোকিল
কোকিল = পরভূত, কাকপুষ্ট, বসন্তদূত।
পাখি
পাখি = বিহগ, পক্ষী, বিহঙ্গ।
আকাশ
আকাশ = নভঃ, আসমান, গগণ।
পদ্ম
পদ্ম = কমল, উৎপল, শতদল
মানুষ তার নিজের ভবিষ্যতের নির্মাতা। সে যদি তার সময়ের যথাযথ বিভাজন করে এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে নিশ্চিতভাবে সে জীবনে উন্নতি এবং সমন্ধি লাভ করবে; কিন্তু সে যদি অন্যথা করে তাহলে বিলম্ব হলে সে নিশ্চিতকরে অনুশোচনা করবে এবং তাকে দিনের পর দিন শোচনীয় জীবনযাপন করতে হবে।