ইতর বিশেষ,
ইতর বিশেষ (পার্থক্য) = পড়া-লেখা, রূপে-গুণে রহিমা ও ফাহিমার মধ্যে ইতরবিশেষ নেই।
ঊন পাঁজুরে,
ঊন পাঁজুরে (দুর্বল) = তুষারের মত উনপাঁজুরে লোক আমি জীবনে দেখিনি।
ছাই চাপা আগুন,
ছাই চাপা আগুন (অপ্রকাশিত প্রতিজ্ঞা) = তার মনে আছে ছাইচাপা আগুন।
শিরে সংক্রান্তি ,
শিরে সংক্রান্তি (আসন্ন বিপদ) = আমার এখন শিরে সংক্রান্তিঃ কিভাবে সব সামলাবো তাই ভাবছি।
সুখের পায়রা,
সুখের পায়রা (সুসময়ের বন্ধু) = সুদিনে সুখের পায়রার অভাব হয় না কিন্তু সুর্দিনে একজনও মিলে না।
"একুশের বইমেলা”
"একুশের বইমেলা” নামে পরিচিত "অমর একুশে গ্রন্থমেলা" স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর অন্যতম। ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই প্রতিটি বাঙালির নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে ধ্বনিত হয় এই বইমেলা। প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বইমেলা দেশের লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মধ্যে সৃষ্টি করে সাহিত্যের সেতু বন্ধন। বইমেলার চিন্তাটি এ দেশে প্রথম মাথায় আসে প্রয়াত কথা সাহিত্যিক সরদার জয়েন উদ্দিনের। তার প্রচেষ্টায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি) নীচ তলায় ১৯৬৫ সালে একটি শিশু গ্রন্থমেলার আয়োজন করা হয় যা বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থমেলা। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে তিনি একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। এখান থেকেই বাংলা একাডেমীতে বই মেলার সূচনা। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বইমেলার পরিসর বাড়ছে। মূলত ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটির কথা মাথায় রেখে এ বইমেলার নামকরণ করা হয় "অমর একুশে গ্রন্থমেলা”। ২০১৪ সাল থেকে বই মেলার স্টল সংখ্যা বাড়িয়ে বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থানান্তরিত করে। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দেশের খ্যাতনামা সব প্রকাশনী ছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এছাড়া মেলা চলাকালিন প্রতিদিনই বিভিন্ন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আর ২০১০ সাল থেকে "চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতিপুরষ্কার" (গুণে মানে সেরা বইয়ের জন্য); এছাড়া সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার (স্টল ও অঙ্গসজ্জা) এবং 'পলান সরকার পুরস্কার (সর্বাধিক গ্রন্থক্রয়) প্রদান করা হয়।
অনশন,
অশন
উতরানো,
তলানো
আবাহন,
বিসর্জন
প্রবল,
দুর্বল
রিক্ত ,
পূর্ণ
আমাদের সত্য কথা বলার সাহস থাকা চাই। অন্যকে ভয় পেলে চলবে না এবং আমাদেরকে নিয়ে কে কি ভাবে তা নিয়েও শঙ্কিত হবার কিছু নেই। যত দিন আমাদের উদ্দেশ্য সৎ হয় ততদিন স্রষ্টা আমাদের পাশে থাকবে। আর তার সহায়তায় আমরা দুর্বলদেরকে উৎসাহিত করতে সক্ষম হব। এভাবেই আমরা জীবনে এগিয়ে যাব এবং খুঁজে নেব অভীষ্ট লক্ষ্য।
উদ্ধত,
উদ্ধত = উৎ + হত
চাদ্দিন,
চাদ্দিন = চার + দিন
লতৌষধি,
লতৌষধি = লতা + ঔষধি
বাঙ্ময়,
বাঙ্ময় = বাক + ময়
রাজ্ঞী,
রাজী। = রাজ্ + নী
মানুষ মাত্রই মরণশীল। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলে তাকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কিছু মানুষ মৃত্যুর পরও মানুষের মাঝে বেচেঁ থাকেন তাদের অমর কীর্তির জন্য। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ), যীশু খ্রীষ্ট্র, গৌতমবুদ্ধ শ্রীকৃষ্ণ এরা মানুষ হিসেবে এক সময় জন্ম গ্রহণ করে আবার মরেও গেছেন। কিন্তু তাঁদের কর্মের মাধ্যমে তাঁরা আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। সক্রেটিস, এরিস্টটল নেই; রয়েছে তাদের দর্শন। নিউটন, আইনস্টাইন চলে গেছেন রেজ গেছেন তাদের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, মতবাদ। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শেক্সপিয়ার চলে গেছেন রেখে গেছেন তাদের সাহিত্য ক জয়নুল আবেদিন, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি চলে গেছেন রেখে গেছেন তাদের চিত্রকর্ম। এভাবেই মানুষ বেঁচে থাকে তাদের মহ কর্মের মাধ্যমে। কৃত কর্মের মহিমায় তারা অমরত্ব লাভ করেন। ক্ষণস্থায়ী জীবনে যে ব্যক্তি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জীবন উৎসর্গ করতে পারে ও গৌরবময় কাজ করে নিজেকে কীর্তিমান করতে পারে তার দেহের বিন ঘটলেও কর্মের মাধ্যমে তিনি অমরত্ব লাভ করেন। তার কীর্তি তাকে যুগের পর যুগ বাঁচিয়ে রাখে।
শিক্ষাঃ মানব দেহের বিনাশ ঘটলেও মহৎ কর্মের মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরও কর্মের কারণে বেঁচে থাকেন। কারণ মহৎ কর্ম অবিনশ্বর।