‘‘বৃক্ষরোপন অভিযান”
গাছের অস্তিত্ব মানে প্রাণের অস্তিত্ব, প্রাণীর অস্তিত্ব। যে অঞ্চলে যত গাছপালা, সেই অঞ্চল তত বেশি প্রাণবন্ত। গাছ ধৈর্যের প্রতীক, ধীরস্থীর সাধনার প্রতীক, জীবনের স্বার্থকতার প্রতীক। শাস্তি, সহিষ্ণুতা আর প্রশান্তির যে নিরব অভিব্যক্তি তা মানুষের জন্য শিক্ষার যার উন্মোচিত করে। অঙ্গার বাতাসে মিশে থাকে, গাছ তার নিগুঢ় শক্তি বলে শোষণ করে নিজের করে নেয়। গাছপালা মানব জীবন বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু। পরিবেশ সংরক্ষণে গাছ বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিল্প, চিকিৎসা, বিনোদন, ভ্রমণ, যাতায়াত, অর্থ, কর্মসংস্থান, প্রতিরক্ষা, পরিবেশ প্রতিবেশ সংরক্ষণ, সর্বক্ষেত্রেই গাছের ভূমিকা অপরিসীম। তাই জীবনের প্রয়োজনে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক, জরাব্যাধির নিরাময়ক হিসেবে ভেষজ গাছ-গাছড়ার ব্যবহার সর্বজনবিদিত। আভিজাত্যের পোশাক থেকে অতিসাধারণ পোশাকের যোগান দেয় গাছ। বাসগৃহ, উপাসনালয় থেকে রাজ প্রসাদের সৌন্দর্য আর ঐতিহ্য ধারণ করে গাছ তার জীবনাবসান করে। সুস্বাদু তৃপ্তিকর পানীয় তৈরিতে ব্যবহৃত হয় গাছের পাতা বা বীজ। কাঠ দগ্ধ হয়ে কয়লায় পরিণত হয় আমাদের রসনা তৃপ্তিকর উপাদেয় খাবার তৈরিতে। আমাদের অভিজাত আসবাবপত্র থেকে সাধারণ ব্যবহার্য নিত্য প্রয়োজনীয় সবই গাছজাত। সভ্যতার মাইলফলক কাগজ ও ঢাকা উৎপাদনের প্রাথমিক উপাদান গাছ। পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের অবদান অপরিসীম। পায় কার্বন ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে পরিণত করে। নদ-নদীর উৎসগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ায়, ভূমিক্ষয় রোধ করে এবং বন্যার প্রকোপ থেকে আমাদের রক্ষা করে গাছ। গ্রীন হাউসের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে গাছ। মাটির তলদেশের পানির স্ত র উপরে টেনে সেচযন্ত্রের নাগালে রাখতে সহায়তা করে। তাপ ও প্রবল বাতাস থেকে ফসল, প্রাণী ও জনগণকে রক্ষা করে এবং আশ্রয়দান করে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়তা করে গাছ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ায়, কৃষ্টি জমির গুণাগুণ রক্ষা করে, জমির উর্বরতা সংরক্ষণ করে গাছ। গাছের গুরুত্ব বোঝাতে ও মানুষকে গাছ লাগাতে সচেতন করার জন্য জাতীয় বৃক্ষমেলার প্রচলন শুরু হয় ১৯৯৪ সাল থেকে। বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তিত করে ১৯৯২ সালে। বাংলাদেশে এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি ৫ জুন বিশ্বপরিবেশ দিবস পালন করে। পরিকল্পিত বনায়নের মাধ্যমে। আমরা বৃক্ষ সম্পদ বাড়াতে পারি। দেশ ও জাতির স্বার্থে বৃক্ষরোপনকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। গাছের প্রতি মমত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। বৃক্ষও মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করার মাধ্যমে আমাদের দেশকে বদলে দিতে হবে। বৃক্ষ নিধন নয় বরং বৃক্ষরোপনই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।
মূলভাব: কঠিন কোনো কাজ একক দায়িত্বে সম্পন্ন চেষ্টা না করে অনেক লোকের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়াই উত্তম। তাতে কাজ যেমন সহজ হয় তেমনি হয় দ্রুত। ফলে সময় ও শ্রম উভয়েরই সাশ্রয় ঘটে । সম্প্রসারিত ভাব: আদিম যুগে মানুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গুহায় বসবাস করতো। সে কারণে তারা নানা প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়। তারা বুঝতে পারে, সমাজবদ্ধ ও দলবদ্ধ মানুষের শক্তি অনেক বেশি। পরে তারা নিরাপত্তার প্রশ্নে ও প্রয়োজনের তাগিদে গড়ে তোলে সমাজ। একটি কঞ্চিকে সহজে ভাঙা গেলেও দশটি কঞ্চি একত্রিত করে তাকে ভাতা যায় না। একতার শক্তি অপরিসীম। লাঠি যখন পৃথক পৃথকভাবে লোকের হাতে হাতে থাকে তখন তা এত হালকা বিবেচিত হয় যে বহনকারীর পক্ষে লাঠি বহনের স্বতন্ত্র কোনো কষ্টের কথাই মনে জাগে না। কিন্তু দশজনের লাঠি যদি একজনের হাতে বহন করার জন্য দেওয়া হয় তখন তা একটা বোঝা সদৃশ মনে হয়। একজনের জন্যে যা বোঝা, দশজনের জন্যে তা কোনো সমস্যাই নয়। ক্ষুদ্র কীট মৌমাছি, পিপীলিকা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে থাকে। দেশবাসী ও সৈন্য সেনাপতিদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পরাজিত হয় বৃটিশ সৈন্যদের কাছে। একতা সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে 'তোমরা বিচ্ছিন্ন হইও না একতাবদ্ধ হয়ে থাকো। যে কোনো দুরূহ কাজে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জীবনের বাস্তব ক্ষেত্রেও এ কথার সত্যতা অনুমিত হয়। পৃথিবীতে যা কিছু বড় ধরনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে তার পেছনে বহুজনের পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা রয়েছে। কোনো একক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয় নি। আজকাল বড় বড় মিল, কল-কারখানায় এ কারণেই শ্রম বিভাগের উদ্ভব হয়েছে। বৃহৎ কাজটাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে সকলেই তাতে। অংশগ্রহণ করে। এভাবে বহুজনের প্রচেষ্টায় কাজটা সুন্দরভাবে শেষ হয়। কিন্তু বহুজনের প্রচেষ্টায় যে কাজটি সহজ মনে হয়। একক প্রচেষ্টায় তা করা সম্পূর্ণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর প্রথম আঘাতে বাঙালিরা ক্ষতিগ্রস্ত, পর্যুদস্ত ও বেসামাল হয়ে পড়ে। কিন্তু পরে সমস্ত বাঙালি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে কাজ করেছিল বলে তারা নিরুৎসাহিত হয়নি। বরং পূর্ণ উদ্যমে অমিত তেজে কাজ করেছিল। অবশেষে সফলতা আসে এ জাতির। একাকী কাজ না করে দশজনকে নিয়ে করলেই পরাজয়ের লজ্জার আগাম ভাবনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কেননা সবাই মিলে কাজ করতে গিয়ে হেরে গেলে লজ্জার, লজ্জা দেওয়ার ও ভর্ৎসনা করার কেউ থাকে না।
গণি মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। তার নিজস্ব কোন জমি নাই। তিনি অন্যের জমি চাষাবাদ করেন। তিনি সেখানে ধান ও পাট আবাদ করেন। সে ফসলের অর্ধেক পায়। তিনি তার ছেলের বিয়ে উপলক্ষ্যে বড় অংকের টাকা ব্যয় করেন।
বালির বাঁধ;
বালির বাঁধ (ক্ষণস্থায়ী): বড় পিরিতি বালির বাঁধ।
গোবর গনেশ;
গোবর গণেশ (অকর্মন্য): তোমার মত গোবর গণেশকে দিয়ে কোন কাজ হবে না।
কথার কথা;
কথার কথা (প্রসঙ্গত যা বলা যায়): আমি যা বললাম তা কথার কথা, আসলে কি ঘটবে তা বলা যায় না।
গম্বীর জলের মাছ;
গভীর জলের মাছ (ধূর্ত): রাকিব সাহেব তো গভীর জলের মাছ। তার মত বোঝা মুশকিল।
মগের মুল্লুক;
মগের মুল্লুক (অরাজকতা): এটা মগের মুল্লুক পেয়েছে নাকি যা খুশি তাই করবে।
যা জয় করা যা না ;
যা জয় করা যায় না = অজয়।
যা আঘাত পায়নি;
যা আঘাত পায়নি = অনাহত।
শত্রুকে দমন করে যে;
শত্রুকে দমন করে যে = অরিন্দম।
ক্ষমার যোগ্য;
ক্ষমার যোগ্য = ক্ষমার্হ।
লম্ব,
ভূমি
মহাজন,
খাতক
পাশবিক,
মানবিক
বিষন্ন,
প্রসন্ন
রুদ্ধ,
মুক্ত