২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তিন ধর্মের তীর্থস্থান হিসেবে স্বীকৃত জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণায় ফিলিস্তিনসহ সমগ্র বিশ্ব পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার ফলে ঐ অঞ্চলে যে সকল সমস্যা হতে পারে তা নিম্নরূপঃ
১. এ ঘোষণার ফলে ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ে আরো জোরালো চেষ্টা করবে। ফলে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাবে।
২. ইসরাইলীরা আরো বেশি দমন-নিপীড়ন চালাবে। ফলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে।
৩. এ ঘোষণার ফলে মূলত ঐ এলাকায় চলমান নির্যাতনের স্বীকৃতি দেওয়া হলো ।
এক দেশ বা অঞ্চলকে অন্য দেশ বা অঞ্চলের সাথে বৈশ্বিকভিত্তিতে একীভূত করাকে বিশ্বায়ন বলে। জাতীয় অর্থনৈতিক কাঠামোকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিশ্বায়ন শব্দটি বেশি ব্যবহৃত
হয়ে থাকে।
Free Trade-এর স্বপক্ষের যুক্তিগুলো নিম্নরূপ:
→ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
→ দ্রব্যমূল্যের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
→ ক্রেতা স্বল্প মূল্যে দ্রব্য ক্রয় করতে পারে।
→ বিক্রেতা তার পণ্যের যথাযথ মূল্য পায়।
→ মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ৷
→ বিশ্ব বাজারে টিকে থাকার জন্য উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়
→ উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ঠিক থাকে।
→ উৎপাদনের আয় বৃদ্ধি পায় ৷
ইউরো জোন বলতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৯টি সদস্য রাষ্ট্রের একটি মুদ্রা ইউনিয়ন যা তাদের প্রচলিত এবং একমাত্র বৈধ টেন্ডার হিসাবে একক মুদ্রা ইউরো গ্রহণ করেছে । ইউরো মুদ্রার জনক রবার্ট মুন্ডেল । তিনি ১৯৯৯ সালে ইউরো মুদ্রা চালু করলে ১৪টি দেশ ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করে এবং বর্তমান সদস্য দেশ ১৯টি।
ইউরো জোনের আওতাভূক্ত সদস্য দেশের সংখ্যা ১৯টি।
ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী পাঁচটি দেশের নাম: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ৷
বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত।
বিশ্বব্যাংক বলতে মূলত IBRD কে বোঝায় যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৮৯টি। প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে।এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডিসিতে।
বিশ্বব্যাংক গঠনের তিনটি উদ্দেশ্যঃ
১. বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন।
২. অনুন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে সাহায্য করা।
৩. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশগুলোকে অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সাহায্য করা।
উত্তর কোরিয়া কর্তৃক বর্তমানে যে সামরিক মহড়া চলছে তাতে ঐ অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। যদিও ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ১২ জুন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন এর মধ্যে শাস্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সামরিক মহড়া ও মিসাইল উৎক্ষেপণ শাস্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট হবে, উভয় দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়বে। যার ফলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে এ ধরণের মহড়া শান্তি বিনষ্টের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে । (২০১৯)