সুরমা ব্যাংক লিমিটেড
মানিকগঞ্জ শাখা
মানিকগঞ্জ ১৮৫০ ফোনঃ ০২-১৫22
ই-মেইলঃ surmabankltd@gmail com

ব্যবস্থাপনা পরিচালক
সুরমা ব্যাংক লিমিটেড
প্রধান শাখা
মতিঝিল, ঢাকা-১২০৫

বিষয়ঃ অফিস সামগ্রী চেয়ে আবেদন।

জনাব,
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১০/১১/২০১৯ তারিখে মানিকগঞ্জ জেলার প্রাণ কেন্দ্রে সুরমা ব্যাংক লিমিটেডের ৩১ তম শাখা উদ্ধোধন করা হয়। ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম সুসম্পন্ন করার জন্য এই শাখায় ৩টি ল্যাপটপ, একটি স্ক্যানার ও একটি ফটোকপি মেশিন আবশ্যক হয়ে পড়েছে ।

অতএব, আপনার কাছে আমার আবেদন এই যে উপরে উল্লিখিত সামগ্রী যথাসময়ে প্রেরণ করে ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে আপনার সদয় মর্জি হয় ।

বিনীত নিবেদক
মোঃ হাবিব উল্লাহ
সিনিয়র অফিসার
সুরমা ব্যাংক লিমিটেড মানিকগঞ্জ শাখা ।

মাথাপিছু আয়ের উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক পৃথিবীর ১৯৫টি স্বাধীন রাষ্ট্রকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে । ১) নিম্ন আয়ের দেশ (২) নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ (৩) উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ (৪) উচ্চ আয়ের দেশ। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হতে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ তিনটি সূচকের উপর ভিত্তি করে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। (১) সঙ্গোপন্নত দেশগুলো (২) মধ্যম আয়ের দেশসমূহ (৩) উন্নত দেশ সমূহ। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে আছে বাংলাদেশ, MDG'র বেশির ভাগ লক্ষ্যসমূহ পূরণ করেছে এবং SDG'র লক্ষ্যসমূহ অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এত অর্জনের পরও বাংলাদেশ বিশ্বায়নের প্রভাবে কিছু কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ও হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো সমুদ্র পথে অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি । একদিকে মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী বাংলাদেশে প্রবেশ করে এদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে, অপরদিকে অর্থনৈতিক উন্নতি ও উচ্চাশা থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার বাংলাদেশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। যেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো বলছে ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাংলাদেশে বিশ্বের ২৮তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র পথে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি আমাদের মনকে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত করে তুলে। তাই সমুদ্র পথে অবৈধ অভিবাসনের কারণগুলো চিহ্নিতকরণ পূর্বক এর প্রতিকারের উপায় ও প্রতিকারের গুরুত্বসমূহ নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সময়ের দাবীই বলা চলে।

অবৈধ অভিবাসনের কারণসমূহঃ
(১) দরিদ্রতা (২) বেকারত্ব (৩) শিক্ষা ও প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব (৪) উন্নত জীবনের প্রত্যাশা (৫) সুশাসনের অভাব (৬) শিক্ষা ও জ্ঞানের অভাব (৭) অভিবাসননীতি বাস্তবায়নে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা (৮) দালালদের দৌরাত্ম (৯) রাজনৈতিক দমন-পীড়ন । (১০) উন্নত বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে পুঁজি ও সম্পদের অসম বণ্টন (১১) যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ বিশ্বব্যাপী শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি (১৩) তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব (১৪) দারিদ্র থেকে মুক্তি লাভের তীব্র উচ্চাশা (১৫) তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোত দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা (১৬) কিছু কিছু উন্নত দেশ কর্তৃক অবৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিতকারী নীতিমালা প্রনয়ণ (১৭) তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি সাম্প্রদায়িক আচরণ ৷

অবৈধ অভিবাসনের প্রতিকারসমূহঃ(১) আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে পদক্ষেপগ্রহণ (২) বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার (৩) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনায়ণ (৪) কর্মসংস্থার সৃষ্টির লক্ষ্যে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। (৫) আর্ন্তজাতিক ঐক্য গড়ে তোলা ৷

Related Sub Categories