জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI) || ওয়ারলেস অপারেটর (08-09-2019) || 2019

All

বাগধারা লিখুন:
1.

গোড়ায় গলদ

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

গোড়ায় গলদ (প্রথমেই ত্রুটি): বই না কিনেই ক্লাসে এসেছ, তোমার তো দেখছি গোড়াতেই গলদ।

বাগধারা লিখুন:
2.

অকাল কুষ্মান্ড

Created: 3 months ago | Updated: 2 days ago

অকাল কুষ্মাণ্ড (অপদার্থ): আফিফ একটা অকাল কুষ্মাণ্ড, ওর দ্বারা কিছু হবে না।

বাগধারা লিখুন:
3.

কেতাদুরস্ত

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

কেতাদুরস্ত (পরিপাটি): চালচলন আর পোশাকে সে খুবই কেতাদুরস্ত লোক ।

বাগধারা লিখুন:
4.

কলমির ঝড়

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

কলমির ঝড় = বংশে বহু লোক

বাগধারা লিখুন:
5.

অমবস্যার চাঁদ

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

অমবস্যার চাঁদ (দুর্লভ বস্তু): আমার বন্ধু হাসানের দেখা পাওয়াতো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে পড়েছে।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
6.

প্রাকৃতিক

Created: 3 months ago | Updated: 4 days ago

প্রাকৃতিক = কৃত্রিম ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
7.

উঁচু

Created: 3 months ago | Updated: 6 days ago

উঁচু = নিচু ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
8.

আকুঞ্চন 

Created: 3 months ago | Updated: 1 day ago

আকুঞ্চন = প্রসারণ ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
9.

অসার 

Created: 3 months ago | Updated: 5 days ago

অসার = সার ।

একতাই বল

ভাব-সম্প্রসারণঃ সকলে মিলেমিশে কাজ করার মধ্যে যেমন আনন্দ আছে, তেমনি সবাই মিলে যে কোনো কঠিন কাজও সহজে সমাধান করা যায়। একজনের জন্য যা বোঝাস্বরূপ দশজনের জন্যে তা একটি লাঠির মতোই হালকা। তাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মধ্যেই সফলতার চাবিকাঠি নিহিত।

একজন মানুষ যখন একা তখন তার শক্তি থাকে সীমিত। কিন্তু যখন একতাবদ্ধ হয়ে দশজন একসঙ্গে কোনো কাজে হাত দেয় তখন সে হয় অনেক সবল ও শক্তিশালী। এই একতাবদ্ধ শক্তি তখন রূপ নেয় প্রচণ্ড শক্তিতে। তখন যে কোনো কঠিন কাজ আর কঠিন মনে হয় না ৷ এজন্য প্রয়োজন একতার। পৃথিবীর আদিপর্বে মানুষ ছিল ভীষণ অসহায় । কারণ তখন সে ছিল একা। সভ্যতার উষালগ্নে মানুষ উপলব্ধি করল যে, ঐক্যবদ্ধ জীবন ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত প্রতিকূলতার কাছে সে তুচ্ছ। তাই মানুষ স্বীয় প্রয়োজনে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করার জন্যে গড়ে তোলে সমাজবদ্ধ জীবন, হয়ে ওঠে সামাজিক বলে বলীয়ান ।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে নির্মিতব্য মেট্রো রেল ব্যবস্থাই হলো ঢাকা মেট্রো। ঢাকা মেট্রো রেল ব্যবস্থাকে ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট সংক্ষেপে এমআরটি (MRT) হিসেবেও উল্লেখ করা হয় । বলা হচ্ছে এটি পুরো শহরের ট্রাফিক সমস্যা অনেকটা কমিয়ে আনবে।

মেট্রোরেল প্রকল্প বর্ণনাঃ ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার মেট্রো রেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে অনুমোদন পায়। ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা । এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা দেবে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ।

যাতায়াত বর্ণনা: মেট্রো রেল ব্যবস্থায় প্রথম ধাপে ট্রেন চলাচল করবে ২৪টি। থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলো । প্রতি ট্রেনে থাকবে ছয়টি বগি। একটি ট্রেনে এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বসে যেতে পারবেন ৯৪২ জন, অন্যরা দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন। একটি স্টেশনে ট্রেন অবস্থান করবে ৪০ সেকেন্ড । যাত্রীরা ফুটপাত থেকে সিঁড়ি, এসকেলেটর কিংবা লিফটে উঠতে পারবেন ট্রেনে ।

  • উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটির প্রথম ধাপ চালু হবে পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত । এই ১১ কিলোমিটার রেলপথ চালুর পরিকল্পনা ছিল ২০২০ সালের মধ্যে।
  • দ্বিতীয় ধাপে সোনারগাঁও হোটেল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ৪.৪০ কিলোমিটার পথ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ২০২০ সালে। 
  • তৃতীয় পর্যায়ে পল্লবী থেকে উত্তরা পর্যন্ত ৪.৭ কিলোমিটার চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে ২০২২ সালে।
  • ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সিস্টেমের স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করার পরিকল্পনা প্রদর্শন প্রদর্শিত হবে।
  • প্রতিটি ট্রেনের ধারণক্ষমতা ১৮০০ যাত্রী। ৫৬টি ট্রেন সেবা শুরু করার সঙ্গে, ঢাকা মেট্রো প্রায় চার মিনিট অপেক্ষা করিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৬০০০০-এরও বেশি যাত্রী সেবা করতে সক্ষম হবে।
  • আন্তর্জাতিক মান অনুসারে, আদর্শ নগরীতে মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হবে। সেখানে ঢাকায় আছে মাত্র ৯ শতাংশ। 
  • বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, ঢাকায় ৭২টি ইন্টারসেকশনে দিনে যাত্রীদের নষ্ট হয় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা।
  • তিন মিনিট ৩০ সেকেন্ড পরপর আসবে ট্রেন। গতি হবে ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার। এ গতিতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছাতে লাগবে ৩৭ মিনিট।
  • প্রথম ধাপে দিন-রাত মিলিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করবে ২৪টি ট্রেন। মূল রাস্তা থেকে ১৩ মিটার উচ্চতায় পিলারের ওপর পাতা রেললাইনের ওপর দিয়ে চলবে হালকা গড়নের ট্রেনগুলো ।

 

ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) ২০২৪ সালের মধ্যে তিনটি পথে মেট্রো রেল চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো, উত্তরা-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-খিলগাঁও হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত, গুলশান-মিরপুর-মোহাম্মদপুর- ধানমণ্ডি-তেজগাঁও-রামপুরা-বাড্ডা-বারিধারা হয়ে গুলশান পর্যন্ত এবং উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী হয়ে রোকেয়া সরণি- খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত। এর মধ্যে শেষের পথটিতে মেট্রো রেল স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ এ পথেই চলাচল করবে স্বপ্নের সেই ট্রেন। বাকি দুই পথে এখনো সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি।

Related Sub Categories