IEDCR এর পূর্ণরূপ Institute of Epidemiology Disease Control and Research.
UNHCR এর পূর্ণরূপ United Nations High Commissioner for Refugees.
১৯৭৪ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ প্রায় সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে ।
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনের এক সময় কিউবান প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে একান্ত সাক্ষাতের সময় বঙ্গবন্ধুর ব্যাক্তিত্ব ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন " আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি, ব্যক্তি ও সহসিকতায় তিনি হিমালয়ের সমতুল্য।
বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ' আর ইংরেজিতে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম “The people's Republic of Bangladesh.
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এ সময়কালে বসা ১০টি সংসদের মধ্যে সপ্তম সংসদ বাদে প্রতিটি সংসদেই সংবিধান সংশোধন হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদকালের সপ্তম সংসদে সংবিধানে কোনও সংশোধন হয়নি।
বাংলাদেশের সংবিধানে এখন পর্যন্ত ১৭ টি সংশোধনী আনা হয়েছে। ২০১৮ সালের ০৮ ই জুলাই সংবিধান। (সপ্তদশ সংশোধন) বিল ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়। ]
(৫০টি নারী আসন একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে)
সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ সনে সংঘটিত হয়। উল্লেখ্য, ১৮৫৭ সালে 'এনফিল্ড' নামক এক প্রকার বন্দুকের ব্যবহার শুরু হয়। এ বন্দুকের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে বন্দুকে ব্যবহার করতে হত। গুজব রটে যে, এ কার্তুজ শুয়োর ও গরুর চর্বি দিয়ে তৈরি। হিন্দু ও মুসলমান সিপাহীদের মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিল যে, তাদের আদর্শ বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য ইংরেজ সরকার এ কার্তুজ প্রচলন করে। এ কারণে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয় এবং দেশময় ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৫৭ সালে ব্যারাকপুরের সিপাহীরা প্রথম বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহীরা দিল্লি অধিকার করে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে। বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন সিপাহী রজব আলী। এই সিপাহী বিদ্রোহে প্রথম জীবন দান করেন মঙ্গল পান্ডে। ১৮৫৭ সালের বিপ্লবকে সিপাহী বিদ্রোহ; আবার কেউ কেউ একে 'জাতীয় সংগ্রাম' বলে অভিহিত করেন। এটি ছিল পাক- ভারত উপমহাদেশের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ। চার মাস অবরোধের পর ব্রিটিশগণ দিল্লি দখল করে নেয়।