সকল বিষয়

                                                                                                                বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) শ্রেষ্ঠতম বাঙালি । গণতান্ত্রিক মূল্যচেতনা, শোষণ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এবং অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা- এ ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধুর। জাতীয়তাবাদী ভাবনার মূল কথা। বাংলাদেশের কথা বলতে গিয়ে অনিবার্যভাবে এসে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। দেশের স্বার্থের কাছে, জনগণের স্বার্থের কাছে তিনি নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন এ কারণেই বোধ করি কবি মনীষী অন্নদাশংকর রায় বাংলাদেশের আরেক নাম রেখেছেন Mujibland. এক অর্থে, বঙ্গবন্ধুই একটা পর্বের বাংলাদেশের ইতিহাস। তার জীবন ও কর্মের ক্রমিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটা বিশেষ সময়খণ্ডের কথা আমরা জানতে পারি । 

পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে তিনি বাঙালি জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করতে চেয়েছেন, চেয়েছেন দেশকে স্বাধীন করতে। এই মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভেবে জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, কিশোর বয়স থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করেছেন প্রতিবাদ, সর্বদা বলেছেন সত্য ও ন্যায়ের কথা এবং এভাবে হয়ে উঠেছেন স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে তিনি কখনও দূরে সরে যাননি, ভীত ও অত্যাচারের মুখেও সর্বদা তিনি সত্য ও ন্যায়ের কথা বলেছেন, শোষিত মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। 

শোষিত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর এই নির্ভীক অবস্থানের কারণে তিনি কেবল বাংলাদেশেই নয়, শোষিত-নির্যাতিত বিশ্বমানব সমাজেরও অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রসঙ্গত স্মরণ করতে পারি ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত আনজিয়ার্সের জোট-নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের কথা, যেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন "বিশ্ব আজ দু'ভাগে বিভক্ত শোষক ও শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।' জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন- এসব স্থানে শোষিত মানুষের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়, বিশ্বের শোষিত নির্যাতিত মানুষ বাঙালির বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নেয় নিজেদের নেতা হিসেবে। 

এ কারণেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরম মিত্র ইন্দিরা গান্ধী বলেন এ কথা 'শেখ মুজিব ছিলেন একজন মহান নেতা। তার অনন্যসাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল। কিংবা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মতো বিশ্বনেতা বলেন এ কথা 'আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয় ।.... শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।' 

বিশ্ব-ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো জাতীয়তাবাদী নেতার দৃষ্টান্ত বিরল। তিনিই বিশ্বের একমাত্র নেতা যিনি জাতীয় পুঁজির আত্মবিকাশের আকাঙ্ক্ষা ও বাঙালির সম্মিলিত মুক্তির বাসনাকে এক বিন্দুতে মেলাতে পেরেছেন। এ কারণেই তিনি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, এ কারণেই তিনি আমাদের জাতির পিতা। সবার স্বপ্নকে তিনি একটি গ্রহণযোগ্য মোহনায় মেলাতে পেরেছেন । 

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন 'জয় বাংলা স্বাধীন বাংলা। বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।' বস্তুত, এ আন্তরিক উপলব্ধি এবং বিশ্বাসই ছিল তার সব কর্ম ও সাধনার কেন্দ্রীয় প্রেরণাশক্তি। 

কৈশোরকাল থেকেই তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে ছিলেন সোচ্চার। আটচল্লিশ ও বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্নর সাময়িক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের মহান গণ-অভুত্থান সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ- বাঙালির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি পালন করেন নেতৃত্বের ভূমিকা। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রধান শক্তি-উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে তিনি ছিলেন সর্বদা বজ্রকণ্ঠ। 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ একটি জাতিকে জাগ্রত করেছে, সবাইকে মিলিয়েছে এক মোহনায়, সবাইকে করে তুলেছে স্বাধীনতামুখী- এমন ঘটনা বিশ্ব-ইতিহাসে বিরল। হাজার বছরের অপেক্ষার শেষে ৭ মার্চের ভাষণ গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে স্বাধীনতার স্বপ্নে, মুক্তির সংগ্রামে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এ সূত্রেই অনন্য অতুলনীয় ঐতিহাসিক। ব্যক্ত হয়েছে যে, একটি ভাষণ ছিল একটি জাতিরাষ্ট্র নির্মাণের মূল শক্তি ও রাজনৈতিক দর্শন।

পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষণের সঙ্গেই তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের তুলনা হয় না। প্রসঙ্গত আমরা পেট্রিক হেনরি আব্রাহাম লিঙ্কন, উইনস্টন চার্চিল কিংবা মার্টিন লুথার কিংয়ের ভাষণের কথা বলতে পারি। এ চারজনের ভাষাও বিশ্ব ইতিহাসের অসামান্য গৌরবোজ্জ্বল ভাষণ। 

পেট্রিক হেনরির 'Give me liberty or give me death' (১৭৭৫), আব্রাহাম লিঙ্কনের 'Gettysburg Address (1863), উইনস্টন চার্চিলের 'We shall fight on the beaches (১৯৪০), কিংবা মার্টিন লুথার কিংয়ের 'I have Dream' (১৯৬৩) ভাষণে মানুষকে জামত করেছে, কিন্তু জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি করেনি। পেট্রিক হেনরি ভাষণ দিয়েছিলেন বিপু যুদ্ধের জন্য ভার্জিনীয় সেনা সরবরাহের জন্য; আব্রাহাম লিঙ্কনের ভাষণটি দেয়া হয়েছিল আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পটভূমিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪০ সালে, অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীর পক্ষে ব্রিটিশ নাগরিকদের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান উইনস্টন চার্চিল পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে ঐতিহাসিক ভাষণে: আর মার্টিন লুথার কিংয়ের ভাষণ ছি কৃষ্ণাঙ্গদের মানবাধিকার রক্ষার আহবান। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার ডাক, মুক্তি আহবান- একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা। 

মনে রাখতে হবে হেনরি-লিঙ্কন-চার্চিল-লুথার কিং চরম বিপদ, আতঙ্ক, কোটি-কোটি মানুষের দ্বিমুখী চাপের মধ্যে জাফ দেননি- বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছেন রাইফেল-মেশিনগান-কামানের গোলার মুখে- রেসকোর্স ময়দানে তখন তার মাথার চক্কর দিচ্ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান। সরদার ফজলুল করিমের কথা স্মরণ করে বলি, সেদিনের সেই মুহূর্ত চোখে না দেখে বোঝানো সম্ভব নয় বঙ্গবন্ধু সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মহিমা ও তাৎপর্য। 

১৯৭১ সালের ছাব্বিশে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ নয় মাসের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের প্রধান শক্তি-উৎস। 

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের ধারায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখ থাকবে। এ কথাই যেন ব্যক্ত হয়েছে অন্নদাশংকর রায়ের অম্লান এই শব্দগুচ্ছেঃ 

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনন্য স্থপতি। দীর্ঘ সাধনায় বাঙালির মানসলোকে তিনি সঞ্চার করেছে স্বাধীনতার বাসনা। উপনিবেশ-শৃঙ্খলিত একটি ঘুমন্ত জাতিকে তিনি জাগ্রত করেছেন, তাদের করে তুলেছেন স্বপ্নমুখী, রক্তমুখী মুক্তিমুখী। এই যে একটি জাতির মানস প্রকল্পকে জাগিয়ে তোলা- এটাই বঙ্গবন্ধুর অক্ষয় অবদান। ঔপনিবেশিক অবকাঠামোর মধ্যে তার মতো জাতীয়তাবাদী নেতার জাগরণ রীতিমতো বিস্ময়কর। পুরো বদ্বীপকে তিনি জাগিয়ে তুলেছেন, কিংবা বলি তার স্পর্শে পুরো দেশ জেগে উঠেছে- এ কারণেই তিনি বঙ্গবন্ধু, এ কারণেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ বাঙালি জাতি আজ এক সুতোয় বাঁধা একটি অপরটির পরিপূরক, পরস্পর একাত্ম। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি স্বাধীনতার যে ঘোষণা দেন, সেখানেও দেশের মাটির কথা তিনি চরম বিপদের মুখেও উচ্চারণ করেন নির্ভীকচিত্তে। স্মরণ করা যায় বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণাঃ This may be m last message from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh, whenever you are and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must g on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieve. Joy Bangla. 

দেশকে ভালোবাসতেন বলেই বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন মিলিত বাঙালির। তিনি ছিলেন বাঙালির ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির ধারক। তার কাছে সর্বদা প্রাধান্য পেয়েছে মানুষের মানব-পরিচয়। এ কারণে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি সাম্প্রদায়িক মনোভাবকে তিনি ঐতিহ্য সংস্কৃতির ধারক বাঙালির জন্য অসম্মানের বলে মনে করতেন। 

বাংলাদেশ ও বাঙালি সত্তাকে তিনি কী বিপুলভাবে ভালোবাসতেন, তা বোঝা যায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে তিনি যে ভাষণ দেন, তা থেকে। ওই ভাষণে তিনি বলেছিলেন 'আমার ছেলের পাশে আমার জন্য কবরও খোঁড়া হয়েছিল।... আমি ঠিক করেছিলাম, আমি তাদের নিকট নতি স্বীকার করব না। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা। জয় বাংলা।' 

এ বক্তব্য থেকেই অনুধাবন করা যায়, দেশের জন্য, বাঙালির জন্য, বাংলাভাষার জন্য বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসা। ১৯ জানুয়ারির ভাষণে কেবল দেশপ্রেম নয়, বঙ্গবন্ধুর উদার মানবতাবোধ এবং সদর্থক বিবেচনারও পরিচয় ব্যক্ত হয়েছিল। সে দিনের ভাষণে সুস্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়েছিল এই উদার মানবচেতনা, এই মহৎ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, এই মহৎ বন্ধুভাবাপন্ন মানসিকতা, আবার একই সঙ্গে অন্যায়ের প্রতিবিধান বাসনা আমার পশ্চিম পাকিস্তানের ভায়েরা, আপনাদের প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই। আমি চাই আপনারা সুখে থাকুন। আপনাদের সেনাবাহিনী আমাদের অসংখ্য লোককে হত্যা করেছে তবুও আপনাদের প্রতি আমার কোনো আক্রোশ নেই। আপনারা স্বাধীন থাকুন, আমরাও স্বাধীন থাকি। বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে ধরনের বন্ধুত্ব হতে পারে, আপনাদের সঙ্গেও শুধুমাত্র সেই বন্ধুত্বই হতে পারে। কিন্তু যারা অন্যায়ভাবে আমাদের মানুষদের মেরেছে, তাদের অবশ্যই বিচার হবে। 

উদ্ধৃতির শেষের বাক্যটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু সচেতনভাবে এখানে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলেছেন। তার রক্তের উত্তরাধিকারবাহী সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের উন্নতি আর প্রগতির স্বপ্নসারথি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় এবং সাহসী সিদ্ধান্তে বাংলার মাটিতে একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের বক্তব্য আরও তাৎপর্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে। 

বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- এগিয়ে যেতে হবে আরও অনেক দূর। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে, শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সেটাই হবে জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ উপায়।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন
2.

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা

Created: 2 months ago | Updated: 11 hours ago

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা (পরের অনুরোধে কষ্ট পাওয়া) = অনুরোধে ঢেঁকি গিলে কি ভুলটাই না করেছি।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন
3.

আষাঢ়ে গল্প

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি গল্প; উদ্ভট গল্প) = অফিস কামাই করে তোমার আষাঢ়ে গল্প শুনতে আসিনি।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন
4.

উলুবনে মুক্তা ছড়ানো

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

উলুবনে মুক্তা ছড়ানো (বৃথা আয়োজন) = রাজনকে উপদেশ দেওয়া আর উলুবনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন
5.

কেউ কেটা

Created: 2 months ago | Updated: 2 days ago

কেউ কেটা (সামান্য) = আলী কেউ কেটা ধরনের লোক নয়, ওর সাথে পেরে উঠবে না ।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন
6.

খয়ের খাঁ

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

খয়ের খাঁ (চাটুকার) = তুমি তো বড় সাহেবের খয়ের খাঁ, তিনি যা বলেন তুমি তাই করো।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুনঃ
7.

দিগন্ত

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

দিগন্ত = দিক্ + অন্ত ।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুনঃ
8.

কথাচ্ছলে

Created: 2 months ago | Updated: 1 week ago

কথাচ্ছলে = কথা + ছলে।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুনঃ
9.

পদ্ধতি

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

পদ্ধতি = পদ + হতি।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুনঃ
10.

কৃষ্টি

Created: 2 months ago | Updated: 3 days ago

কৃষ্টি = কৃষ্ + তি ।

সন্ধি বিচ্ছেদ করুনঃ
11.

সংবাদ

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

সংবাদ = সম্ + বাদ ।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
12.

অনেকের মধ্যে একজন

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

অনেকের মধ্যে একজন = অন্যতম।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
13.

আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা = আত্মকেন্দ্রিক।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
14.

যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি।

এক কথায় প্রকাশ করুনঃ
15.

যা দমন করা কষ্টকর

Created: 2 months ago | Updated: 1 week ago

যা দমন করা কষ্টকর = দুর্দমনীয়।

Make sentences with meaning:
16.

At daggers drawn

Created: 2 months ago | Updated: 4 days ago

At daggers drawn (অবর্ণনীয় হওয়া) = The two brothers are now at daggers drawn.

Make sentences with meaning:
17.

Beggar description

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

Beggar description (চরম শত্রুতাপূর্ণ অবস্থা) = His miseries are beggar description.

Make sentences with meaning:
18.

Capital punishment

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

Capital punishment (মৃত্যুদণ্ড )= Capital punishment in Bangladesh is a legal form of punishment.

Make sentences with meaning:
19.

Dead letter

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

Dead letter (যে আইন আর চালু নেই ) = The law is a dead letter now.

Make sentences with meaning:
20.

Laughing stock

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

Laughing stock (উপহাসের পাত্র) = He is nothing but a laughing stock.

Fill in the blanks with suitable words.
21.

There was a barricade---the road.

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

There was a barricade on the road.
বাক্যের অর্থঃ রাস্তায় অবরোধ ছিল।

Fill in the blanks with suitable words.
22.

He was accused---negligence.

Created: 2 months ago | Updated: 1 week ago

He was accused---negligence.

He was accused of negligence.

বাক্যের অর্থঃ অবহেলার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

Fill in the blanks with suitable words.
23.

He is eager---the post.

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

He is eager---the post.

He is eager for the post.

বাক্যের অর্থঃ পদটির জন্য তিনি উৎসুক ছিলেন।

Fill in the blanks with suitable words.
24.

Poverty is---obstacle to progress.

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

Poverty is---obstacle to progress.

Poverty is an obstacle to progress.

বাক্যের অর্থঃ দারিদ্র উন্নয়নের প্রতিবন্ধক।

Fill in the blanks with suitable words.
25.

He prohibited me---going out.

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

He prohibited me---going out.

He prohibited me from going out.
বাক্যের অর্থঃ বাইরে যাওয়া থেকে তিনি আমাকে বিরত রেখেছিলেন।

Correct the sentences:
26.

1, you and he is friend.

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

I, you and he is friend.

=You, he and I are friend. 
বাক্যের অর্থঃ তুমি, আমি ও সে বন্ধু।

Correct the sentences:
27.

Myself did the work.

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

Myself did the work.

= I did the work myself. 
বাক্যের অর্থঃ আমি নিজেই কাজটি করেছিলাম।

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

We had good breakfast yesterday.

= We had a good breakfast yesterday. 
বাক্যের অর্থঃ গতকাল আমাদের ভালো নাস্তা ছিল।

Correct the sentences:
29.

Let I go.

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

Let I go. 
= Let me go. 
বাক্যের অর্থঃ আমাকে যেতে দাও ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

He is a very wise and most intelligent boy in the class.

= He is the wisest and the most intelligent boy in the class. 
বাক্যের অর্থঃ সে এই শ্রেণির সবচেয়ে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান বালক।

দেয়া আছে, ২ জন পুরুষ = ৩ জন বালক 
৪ জন পুরুষ = × = ৬ জন বালক 

সেই হিসেবে ৬ জন পুরুষ = × = ৯ জন বালক 

এখন ৪ জন পুরুষ + ১০ জন বালক = ৬ + ১০ = ১৬ জন বালক 

আবার, ৬ জন পুরুষ + ১৫ জন বালক = ৯ + ১৫ = ২৪ জন বালক 

এখন, ১৬ জন বালক কাজটি করে = ২১ দিনে 

 ১ জন বালক কাজটি করে = (২১ × ১৬) দিনে 

 ২৪ জন বালক কাজটি করে = × = ১৪ দিনে

উৎপাদকে বিশ্লেষণ করুনঃ
34.

a2 – 1 + 2b - b2

Created: 2 months ago | Updated: 20 hours ago

দেয়া আছে, a2 – 1 + 2b – b2

= a2 - (b2 - 2b + 1) 

= a2 - {(b)2-2xb x 1 + 12

= a²-(b-1)² 

= (a + b - 1) { (a– (b - 1) }

= (a + b - 1) (a -b+1)

উৎপাদকে বিশ্লেষণ করুনঃ
35.

x3 + 6x2y + 11xy2 + 6y3

Created: 2 months ago | Updated: 1 day ago

দেয়া আছে, x3 + 6x2y + 11xy2 + 6y3

= x3 + x2y + 5x2y + 5xy2 + 6xy2 + 6y3

= x² (x + y) +5xy (x + y) + 6y² (x + y) 

= (x + y) (x²+5xy + 6y²

= (x + y) (x²+3xy + 2xy +6y²

= (x + y) (x + 3y) (x + 2y)

দেয়া আছে, a4 + a2 b2 + b4 = 3…………(i)

এবং a2+ab+b2= 3………….(ii)

(i) সমীকরণ হতে পাই, ‍a4+a2b2+b4=3

=(a2)2+2×a2×b2+(a2)2-a2b2=3 =(a2+b2)-(ab)2=3 =(a2+ab+b2) (a2-ab+b2)=3 =3(a2-ab+b2)=3 a2-ab+b2=1..................(iii)

এখন (ii) এবং (iii) নং সমীকরণ যোগ করে পাই

a2+ab+b2+a2-ab+b2=3+1 =2(a2+b2)=4 (a2+b2) = 42=2

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতা (স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের সপ্তম তফসিলে) ঘোষণাপত্র সংযোজন করা হয়েছে।

Created: 2 months ago | Updated: 8 hours ago

১৭ই মার্চ, ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জন্মের একশত বছর পুর্তিতে ১৭ই মার্চ, ২০২০ জনশতবার্ষিকের আয়োজন করা হয়। মুজিববর্ষের সময়কাল ধরা হয় ১৭ মার্চ ১৭ মার্চ ২০২১। তবে করোনার কারণে মুজিবর্ষের সকল আয়োজন স্থগিত হওয়ায় বর্ধিত সময় ধরা হয় ১৭ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১।

Created: 2 months ago | Updated: 2 weeks ago

জাতীয় স্মৃতিসৌধের অবস্থান সাভার, ঢাকা।

স্বাধীনতা পুরস্কার। স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ, এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে 'টেস্ট মর্যাদা' লাভ করে ২৬ জুন, ২০০০। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের দশম সদস্য দেশ। বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলে ভারতের বিপক্ষে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল, আফগানিস্তান এবং জিম্বাবুয়ে নারী ক্রিকেট দলকে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়া হয় ২ এপ্রিল, ২০২১ সালে।

Created: 2 months ago | Updated: 7 hours ago

বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের সদস্য পদ লাভ করে।

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

নোবেল বিজয়ী প্রথম বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় টেলিমেডিসিন। অর্থাৎ টেলিফোন, ইন্টারনেট, মোবাইল ইত্যাদি মিডিয়া ব্যবহার করে দেশে বা বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের পদ্ধতিকে টেলিমেডিসিন বলে।

২০২২ সালে ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আরব দেশ কাতারে। আর ২০২৬ সালে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যৌথভাবে আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডায় ।

Created: 2 months ago | Updated: 3 weeks ago

UNESCO এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Educational Scientific and Cultural Organization. ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত। ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা। বিশ্বে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রসার এবং উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো এই সংস্থার কার্যক্রম। ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে লন্ডন সম্মেলনে ইউনেস্কো প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৪৬ সালে এই সংস্থা জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে ।

Related Sub Categories