বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ || হিসাব সহকারী (07-05-2022) || 2022

All

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন:
1.

খয়ের খাঁ

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

খয়ের খাঁ (চাটুকার): তুমি তো বড় সাহেবের খয়ের খাঁ, তিনি যা বলেন তুমি তাই করো ।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন:
2.

উড়ো চিঠি

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

উড়ো চিঠি (বেনামি চিঠি/ নামহীন চিঠি): ভয় দেখাবার জন্যে একটা উড়ো চিঠি লেখা হয়েছে ।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন:
3.

ডান হাতের ব্যাপার

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

ডান হাতের ব্যাপার (খাওয়া): আগে ডান হাতের ব্যাপারটা সেরে নিতে দাও ।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন:
4.

তাসের ঘর

Created: 3 months ago | Updated: 5 days ago

তাসের ঘর (ক্ষণস্থায়ী): একমাত্র ছেলে পরীক্ষায় ফেল করায় মায়ের স্বপ্ন তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে গেল ।

অর্থসহ বাক্য রচনা করুন:
5.

পটল তোলা

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

পটল তোলা (মারা যাওয়া): বুড়ো আজ বাদে কাল পটল তুলবে অথচ রাগ কমে না ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
6.

অস্তি

Created: 3 months ago | Updated: 5 days ago

অস্তি = নাস্তি ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
7.

ওস্তাদ

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

ওস্তাদ = শাগরেদ ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
8.

টাটকা

Created: 3 months ago | Updated: 5 days ago

টাটকা = বাসি ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
9.

সঞ্চয়

Created: 3 months ago | Updated: 5 days ago

সঞ্চয় = অপচয় ।

বিপরীত শব্দ লিখুন:
10.

সুশীল

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

সুশীল = দুঃশীল ।

এক কথায় প্রকাশ করুন:
11.

সরোবরে জন্মে যা

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

সরোবরে জন্মে যা = সরোজ। 

এক কথায় প্রকাশ করুন:
12.

অনেকের মধ্যে একজন

Created: 3 months ago | Updated: 5 days ago

অনেকের মধ্যে একজন = অন্যতম ।

এক কথায় প্রকাশ করুন:
13.

যিনি প্রথম পথ দেখান

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

যান প্রথম পথ দেখান = পথপ্রদর্শক

এক কথায় প্রকাশ করুন:
14.

যার অন্য কোন উপায় নেই

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

যার অন্য কোন উপায় নেই = অনন্যোপায়।

এক কথায় প্রকাশ করুন:
15.

প্রায় মৃত

Created: 3 months ago | Updated: 3 days ago

প্রায় মৃত = মুমূর্ষু ।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে একদিন

যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী-যমুনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।” ধানমন্ডি এই নাম্বার। মেইন রোড থেকে কিছুদূর গিয়ে ডান দিকে একটা ব্রীজ। ব্রীজ পেরোলেই সাইন বোর্ড ঘোষণা করছে সামনেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। গেট এ চেক আপের কড়াকড়ি একটা প্রশ্নই বারবার মনে করিয়ে দেয়- সেদিন তোমরা কোথায় ছিলে? আজকের সতর্কতাটা যদি ৪৭ বছর আগে দেখাতে তাহলে হয়ত বঙ্গবন্ধু আজ জীবিত থাকতেন। যাই হোক, মোবাইল জমা দিয়ে কার্ড নিয়ে আমরা ঢুকে গেলাম জাদুঘরের ভিতর। দুটো অংশ সেখানে। একটা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, একটা সম্প্রসারিত জাদুঘর। বাড়িটাতে ঢোকার সময় প্রথমেই যে ঘরটা চোখে পরে তা হল রান্নাঘর। রান্নার হাড়ি-পাতিল-ডেকচিগুলো এমনভাবে রাখা যে হঠাৎ এক মূহুর্তের জন্য ভুলেই গিয়েছিলাম এখানে আর কেউ কখনো রান্না করতে আসবে না। তিনতলা বাড়িটার একতলায় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ এ নিহত সবার ছবি আর কিছু আসবাবপত্র। দোতলায় ওঠার সিঁড়ি বাইতে, হেঁটে হেঁটে একের পর এক ঘরগুলো দেখতে দেখতে একটা কথাই বারবার মনে হচ্ছিল- এই বাড়িতে একদিন বঙ্গবন্ধু থাকতেন। এই পথ ধরে তিনি হাঁটতেন। এই ডাইনিং টেবিলে খেতেন। বঙ্গবন্ধুর বেডরুম আজো গুলির চিহ্ন ধারণ করে আছে। গুলি লেগে আছে শেখ জামাল আর তার নববধূর ঘরটিতেও । 

তৃতীয় তলাটা মূলত ছাদ। এক পাশে পড়ার ঘর। নিরিবিলি এই ঘরটা বরাদ্দ থাকত পরিবারের কোন সদস্যের পরীক্ষা থাকলে তার জন্য। আর একপাশে শেখ কামাল আর সুলতানা কামাল এর ঘর। পনেরই আগস্টের হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট সবকিছুর পর ও আগের মত করে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে ঘরগুলোকে। শেখ কামালের ঘরে পিয়ানো, সেতার সব জায়গা মত আছে। শুধু সেগুলো বাজানোর জন্য শেখ কামাল বেঁচে নেই। ফুলদানিতে ১৪ আগস্ট, ১৯৭৫ এ সাজিয়ে রাখা ফুল। শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু স্মৃতি ধারন করে রেখেছে। হয়ত সুলতানা কামালের এতটুকু স্পর্শের স্মৃতি। সেই সিঁড়িতে আজো বুলেটের দাগ। জাতির পিতার রক্তের দাগ।

পাশেই সম্প্রসারিত জাদুঘর। চার তলা বিশিষ্ট জাদুঘরটিতে প্রতি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে এই দেশটার জন্য বঙ্গবন্ধু আর তার পরিবারের আত্মত্যাগের কাহিনি। মহাত্মা গান্ধী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী দের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণ মুজিব এর ছবি। ভাষা আন্দোলনের ছবি। কেন যেন বায়ান্নতে ছাত্রদের আন্দোলনে রাস্তায় শুয়ে পরার ছবি দেখে শাহবাগের ছবিগুলো মনে ভাসছিল। আহত সহযোদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ মুজিব ভাষণ দিচ্ছেন নৌকায় চড়ছেন। কত টুকরা টুকরা স্মৃতি। একসাথে করলে কি হয়? হয় একটি জাতির জন্মের ইতিহাস। শেখ কামাল- শেখ জামালের একাত্তরের রনাঙ্গনের পোশাক, ছোট্ট রাসেলের খেলার বল এমনকি খোপের পায়রাগুলো পর্যন্ত এক মহাত্মার কথা প্রতি মূহর্তে স্মরন করিয়ে দেয়।

চার তলাব্যাপী ইতিহাসের প্রদর্শনী দেখা শেষে আবার ঘরে ফেরা। শুধু কানে বাজছিল বঙ্গবন্ধুর সেই অমর উক্তি- “ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় বলে যাব আমি বাঙালি। বাংলা আমার দেশ। বাংলা আমার ভাষা। বাংলার মাটি আমার স্থান।

Related Sub Categories