চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় রচিত এটি প্রথম কে প্রমাণ করেন?
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবির নাম কি?
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকার
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস এর নাম কি?
দুর্গেশনন্দিনী
'শেষের কবিতা' উপন্যাসের নায়ক কে?
অমিত রায়
বঙ্গবন্ধু লেখা প্রকাশিত দ্বিতীয় বইয়ের নাম কি?
কারাগারের রোজনামচা
উপগ্রহ
(গ্রহের তুল্য) অব্যয়ীভাব সমাস
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য
(ইন্দ্রিয় দ্বারা গ্রাহ্য) তৎপুরুষ সমাস
সন্ত্ৰীক
(স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান) বহুব্রীহি সমাস
বিষাদসিন্ধু
(বিষাদ রূপ সিন্ধু) রূপক কর্মধারয় সমাস
দম্পতি
(জায়া ও পতি) দ্বন্দ্ব সমাস
অষ্টরম্ভা
কাঁচকলা / ফাঁকি
একাদশে বৃহস্পতি
সৌভাগ্যের বিষয়
কেতাদুরস্ত
পরিপাটি
ছাদনাতলা
বিবাহের মন্ডপ
তাসের ঘর
ক্ষণস্থায়ী
ঊর্মি
ঢেউ, তরঙ্গ
গর্জন
চিৎকার, নিনাদ
গল্প
কাহিনী, উপকথা
সিংহ
পশুরাজ, কেশরী
বন
অরণ্য, কান্তর
সংবিধান
সম্ + বিধান
উত্তমর্ণ
উত্তম + ঋণ
বনস্পতি
বন + পতি
রবীন্দ্র
রবি + ইন্দ্র
নীরিহ
নিঃ+ ঈহ
একুশে ফেব্রুয়ারি বঙ প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিকা হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিত্রভাষর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিশোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উল্লেখ। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা দিয়ে রে ভালো এক ঢেলে দিয়েছিল রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত ও সফিউর। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃতাধার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাদের রক্তের বিনিময়ে শৃলযুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী কামলা এ মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে ছড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে UNESCO কর্তৃক বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছে এক বিশাল খ্যাতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বজুড়ে অমর একুশের উদ্যাপন নিসন্দেহে এক বিশাল জাতীয় গৌরব ও সম্মানের। ২০০০ সাল থেকে UNESCO এর गा রাষ্ট্রগুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে। ২০০১ সালের ১৫ মার্চ বিশ্বের সব মাতৃভাষার গবেষণা, উন্নজন ও সংরক্ষণে কাজ করার উদ্যোগে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের স্থাপন করেন ঢাকার সেগুনবাগিচায়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভাষাসংক্রান্ত গবেষণা, ভাষা শিক্ষাশাপাশি এটি ভাষার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন হিসেবে কাছে করছে যা বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদায় আসীন করতে ভূমিকা রাখছে। ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে ৪র্থ কমিটিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ফলে এটি বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষার প্রতি বিশ্ববাসীর অনূষ্ঠ সমর্থন এবং সম্মান প্রদর্শনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা বিশ্বজুড়ে নেড়ে চলেছে। মাতৃভাষার সংখ্যার বিচারে বাংলা ভাষা পৃথিবীর একটি শক্তিশালী ভাষা। একমাত্র আফ্রিকার সিয়েরালিওনে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ বাংলাকে স্বীকৃতির বিল পাস করে। ফলে বাংলা ভাষা লাভ করে এক অনন্য মর্যাদা। এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে ৩০টি দেশের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে বাংলা বিভাগ, সেখানে প্রতি বারো হাজার হাজার অবাঙালি পড়ুয়া বাংলাভাষা শিক্ষা ও গবেষণার কাজে করছে। এছাড়া চীনা ভাষায় রবীন্দ্র রচনাবলির ৩০ পরে অনুবাদ এবং লালনের গান ও দর্শন ইংরেজি জাপানি ভাষার অনুবাদ হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় সারা পৃথিবীতে একুশে আমাদের মননের বাতিঘর হিসেবে। একুশ এখন সারা বিশ্বের ভাষা ও অধিকারজনিত সংগ্রাম ও মর্যাদার প্রতীক। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে আমাদের অহংকার শহীদ মিনার।