অভীষ্ট
অভীষ্ট(স্বর) = অভি + ইষ্ট
পর্যালোচনা
পর্যালোচনা(স্বর) = পরি + আলোচনা
তস্কর
তস্কর(ব্যঞ্জন, নিপা) = তদ্ + কর
তস্কর(ব্যঞ্জন, নিপা) = তৎ + কর
দুঃখপ্রাপ্ত
দুঃখপ্রাপ্ত(তপু, ২) = দুঃখকে প্রাপ্ত
দ্রুতগামী
দ্রুতগামী(তৎ, উপ) = দ্রুত গমন করে যে
'কারাগারের রোজনামচা' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
শেখ মুজিব।
বাঙ্গালি জনগোষ্ঠির সর্বজনীন কথ্য ভাষারীতির নাম কী?
আদর্শ কথ্য রীতি।
নির্জনতার কবি' কাকে বলা হয়?
জীবনানন্দ দাশকে।
'শেষের কবিতা' কোন ধরনের গ্রন্থ?
উপন্যাস।
'রজনী' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
হুমায়ূন আহমেদ।
ভূমিকা
ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবনের পথ ধরে আসা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বিজয়ে আজ বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বাস্তবায়ন অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশর বাস্তবায়নের পর সরকারের নতুন লক্ষ্য “স্মার্ট বাংলাদেশ।” ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত এবং উদ্ভাবনী। অর্থাৎ সব কাজই হবে স্মার্ট।
স্মার্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে দেওয়ার যে লক্ষ্য ধরে সরকার কাজ করছে, সেই বাংলাদেশই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ।’ আর সেজন্য চারটি ভিত্তি ধরে সরকার কাজ করছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে ইন-শা-আল্লাহ।
চার স্তম্ভে স্মার্ট বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরে এখন 'স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্তম্ভ চারটি। যথা :
ক) স্মার্ট সিটিজেন
খ) স্মার্ট ইকোনমি
গ) স্মার্ট গভর্নমেন্ট
ঘ) স্মার্ট সোসাইটি
ক) স্মার্ট সিটিজেন
এই স্তম্ভের আওতায় দেশের সকল নাগরিক প্রযুক্তিগত সুবিধা পাবে।
খ) স্মার্ট ইকোনমি
এই স্তম্ভের আওতায় দেশের ইকোনমিকে ডিজিট্যাল করা হবে।
গ) স্মার্ট গভর্নমেন্ট
এই স্তম্ভের আওতায় দেশের সরকারি কার্যক্রমগুলো অনলাইন পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ঘ) স্মার্ট সোসাইটি
এই স্তম্ভের আওতায় যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিট্যাল করা হবে।
ডেল্টা প্ল্যান
২০৪১ সালেই শেষ নয়, ২১০০ সালেও এই বঙ্গীয় বদ্বীপ যেন জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়, দেশ উন্নত হয়, দেশের মানুষ যাতে ‘সুন্দরভাবে, স্মার্টলি’ বাঁচতে পারে, সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে সুধীজনের মন্তব্য
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাইন্ডসেট পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের আলেম সমাজ ও বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো। বিজ্ঞ আলেম সমাজের বক্তব্যে বলা হয়েছে, “আমরা প্রযুক্তিবান্ধব, প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ মানুষ তৈরি করতে চাই। যাদেরকে মানবিক ও সৃজনশীল হতে হবে।” হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও হিউম্যানওয়্যারকে একসাথে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন বিভিন্ন মুসলিম উদ্যোক্তারা।
স্মার্ট প্রযুক্তি
২০২১ সালেই আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ফাইভজি (5G) সেবা চালু করেছি এবং এরইমধ্যে ফাইভজি (5G) কানেক্টিভিটি সেবা নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে আমাদেরকে ফাইভজি কানেক্টিভিটি সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।
উপসংহার
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং নগর উন্নয়নে বেশ জোরেসোরে কাজ চলছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়কে মোকাবেলা করতে ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু প্রস্তুতির প্রয়োজন, সরকার তার অধিকাংশই সুসম্পন্ন করেছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বলতে স্মার্ট নাগরিক, সমাজ,অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর হবে। মনে রাখতে হবে, স্মার্ট বাংলাদেশ কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের নয়, এটা দেশের ১৬ কোটি মানুষের, মুসলিম জনতার ধ্যানজ্ঞান ও চিন্তা-ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু।