অবনত
অবনত = উন্নত
উৎকর্ষ
উৎকর্ষ = অপকর্ষ
অর্বাচীন
অর্বাচীন = প্রাচীন
বৈরাগ্য
বৈরাগ্য = আসক্ত
নশ্বর
নশ্বর = অবিনশ্বর/অমর
আগরম বাগড়ম
আগরম বাগড়ম (অর্থহীন কথা) আগরম বাগড়ম কথা না বলে কাজের কথা বল ব্যাটা।
অষ্টরম্ভা
অষ্টরম্ভা (ফাঁকি দেয়া) মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে রাজু আমাকে অষ্টরম্ভা দিয়েছে।
বিন্দু বিসর্গ
বিন্দু বিসর্গ (সামান্য) আমি এ ব্যপারে বিন্দু বিসর্গ ও জানি না।
অন্তর টিপুনি
অন্তর টিপুনি (গোপন ব্যথা) নাইম এর অন্তর টিপুনির কথা তুমি কখন জানলে?
কচ্ছপের কামড়
কচ্ছপের কামড় (নাছোড়বান্দা) রাজু স্যার ক্লাসে কচ্ছপের কামড়ের মতো সবার থেকে পড়া আদায় করে।
অরিকে দমন করে যে
অরিকে দমন করে যে = অরিন্দম।
শোনামাত্র যার মনে থাকে
শোনামাত্র যার মনে থাকে = শ্রুতিধর।
কাজে যার অভিজ্ঞতা আছে
কাজে যার অভিজ্ঞতা আছে = করিতকর্মা।
যা মাটি ভেদ করে উঠে
যা মাটি ভেদ করে উঠে = উদ্ভিদ।
ক্ষুদ্র বাগান
ক্ষুদ্র বাগান = বাগিচা।
পরিবেশ দূষণ চার প্রকার যথাঃ বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ এবং শব্দ দূষণ। শিল্পায়নকে পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। শিল্প-কারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি যেমনঃ তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের জন্য পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কল-কারখানা ও ইটভাটা হতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমনের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। তাছাড়া যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, মলমূত্র ত্যাগ ও হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা পরিবেশ দূষণের উৎস। বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ দূষিত হয়। অপরিকল্পিত এবং যথেচ্ছার জীবনযাপন, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, যানবাহন ও শিল্পাঞ্চল ইত্যাদির ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য অধিক বাসস্থান ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে হচ্ছে। গাছপালা ও বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং খাদ্য-শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটছে। পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষ ও জীবজন্তুর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ ক্যান্সার, চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের মতে নিম্নাঞ্চল ভবিষ্যতে পানিতে তলিয়ে যাবে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। বনায়নের পরিমাণ বাড়াতে হবে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের আয়তনের শতকরা ৩০ ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। উদ্বেগের বিষয় হলো, আমাদের দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণ শতকরা ৭ ভাগ, যা ধীরে ধীরে কমছে। অতএব পরিকল্পিতভাবে বনজ, ফলজ ও ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। কল-কারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে এবং রি-সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্যানারির বর্জ্য যেন পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তুত পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চাইলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্র আইনের যথাযথ ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।